
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার কৃষ্ণদিয়া রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রীতে কার্পেটিং পিচঢালাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে কাজ শেষ না হতেই ঢালাই উঠে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও রাস্তার দু’পাশে শোল্ডার না থাকায় বৃষ্টিতে মাটি ধসে ভেঙ্গে যাওয়ার যাতায়াত বন্ধেরও আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান কথা বলতে রাজি হননি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলার কার্যালয় থেকে জানাযায়, উথলী-জাফরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের সংযোগ রাস্তা মইন্যার গুদারা থেকে কৃষ্ণদিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তায় ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা মীর এজাজ ক্রিয়েটিভপ্লাস ইন্টারন্যাশনাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বরাদ্ধ পায়। নির্ধারিত সময়ে কাজটি শুরু করতে না পারলেও বাড়িয়েছে সময় কাজ শুরুর পর থেকে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, রাস্তার দু’পাশে ৯০০মিলিমিটার শোল্ডার ধরা থাকলেও, না করেই কার্পেটিং পীছ ডালাইয়ের কাজ শুরু করেছেন । এলাকাবাসী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে জানালে কোন কর্ণপাত করেনি। বিটুমিনের তাপমাত্রা ১৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাথরের সঙ্গে এই বিটুমিন মেশানোর পর তাপমাত্রা থাকারকথা ১৪০-১৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু, সেখানে রয়েছে ১৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে রাস্তা টেকসই হবে না বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ‘রাস্তার কাজ এতোটাই দায়সাড়া ও নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে। বারবার তাদের বিষয়টি জানালেও কোন কাজ হয়নি। কোন মতে কাজ করেই বিল তুলে যাওয়ার ধান্ধা করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. মনিরুজ্জামান জানান,বর্তমানে মাটি না পাওয়ায় শোল্ডার করা যায়নি। কার্পেটিংয়ের পরে শোল্ডার করা হবে। এখানে নিম্নমানের কোন সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে না। নির্মাণ সামগ্রী আনার পর ল্যাব টেস্ট করার পর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন,‘কাজের ব্যাপারে তথ্য চাইলে নিতে পারেন। কিন্তু, এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে পারবো না।’
এ ব্যাপারে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন,‘আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে স্পটে পাঠাচ্ছি। তিনি বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’