০১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৭:৩৭:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

 

মিজানুর রহমান মিলন, শেরপুর প্রতিনিধিঃ কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে শেরপুরে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা শহরের থানার মোড় চত্বর থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে মিছিলটি রঘুনাথ বাজার, নিউমার্কেট, খরমপুর হয়ে খোয়ারপাড় মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে জেলা শহরের রঘুনাথ বাজার থানার মোড় চত্বরে জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোঃ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম।

এসময় তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসের বর্ষীয়ান নেতাদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। এতে শেরপুরের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহ-সেক্রেটারী জেনারেল আলহাজ্ব কামরুজ্জামানকেও হত্যা করেছে। এছাড়াও ওইসব জামায়াতের নেতাদের শহীদী মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দদের শেখ হাসিনা মৃত্যুদণ্ড দিয়েও ক্ষান্ত থাকেনি। সে জামায়াতেকে নিশ্চিহ্ন করতে এটিএম আজহারুল ইসলামসহ অন্যান্য জামায়াতে নেতাকর্মীদের অন্ধকার কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। এসব করেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে দিতে পারেনি। কিন্তু ২০২৪ জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর অনেক বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হলেও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জামায়াতে কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেয় নাই।
এছাড়াও তিনি হুশিয়ারি দিয়ে আরো বলেন, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানীর দিনে আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। তাছাড়া দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আর যারা এই মিথ্যা মামলায় স্বাক্ষ্য দিয়েছে, যে বিচারকরা রায় দিয়েছিলেন তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে স্বৈরাচারী সরকারের বাতিল করা জামায়াত-শিবিরের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক ও জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য মু. গোলাম কিবরিয়া, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বাদল, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল আওয়াল, সদর উপজেলা আমির মাওলানা আতাউর রহমান, পৌর শহর শাখার আমির মাওলানা নুরুল আমীন, সাবেক জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল বাতেন, গাজীপুর মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারী ফারদিন হাসান হাসিব, বাংলাদেশ মাদরাসা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সদস্য সচিব হাফেজ আল আমীন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি আশরাফুজ্জামান মাসুম, সাবেক সভাপতি জাকারিয়া প্রমূখ।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

মানিকগঞ্জে দাওয়াতি মিছিল অনুষ্ঠিত

শেরপুরে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশের সময়ঃ ০৭:৩৭:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

মিজানুর রহমান মিলন, শেরপুর প্রতিনিধিঃ কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে শেরপুরে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা শহরের থানার মোড় চত্বর থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে মিছিলটি রঘুনাথ বাজার, নিউমার্কেট, খরমপুর হয়ে খোয়ারপাড় মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে জেলা শহরের রঘুনাথ বাজার থানার মোড় চত্বরে জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোঃ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম।

এসময় তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসের বর্ষীয়ান নেতাদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। এতে শেরপুরের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহ-সেক্রেটারী জেনারেল আলহাজ্ব কামরুজ্জামানকেও হত্যা করেছে। এছাড়াও ওইসব জামায়াতের নেতাদের শহীদী মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দদের শেখ হাসিনা মৃত্যুদণ্ড দিয়েও ক্ষান্ত থাকেনি। সে জামায়াতেকে নিশ্চিহ্ন করতে এটিএম আজহারুল ইসলামসহ অন্যান্য জামায়াতে নেতাকর্মীদের অন্ধকার কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। এসব করেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে দিতে পারেনি। কিন্তু ২০২৪ জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর অনেক বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হলেও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জামায়াতে কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেয় নাই।
এছাড়াও তিনি হুশিয়ারি দিয়ে আরো বলেন, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানীর দিনে আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। তাছাড়া দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আর যারা এই মিথ্যা মামলায় স্বাক্ষ্য দিয়েছে, যে বিচারকরা রায় দিয়েছিলেন তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে স্বৈরাচারী সরকারের বাতিল করা জামায়াত-শিবিরের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক ও জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য মু. গোলাম কিবরিয়া, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বাদল, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল আওয়াল, সদর উপজেলা আমির মাওলানা আতাউর রহমান, পৌর শহর শাখার আমির মাওলানা নুরুল আমীন, সাবেক জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল বাতেন, গাজীপুর মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারী ফারদিন হাসান হাসিব, বাংলাদেশ মাদরাসা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সদস্য সচিব হাফেজ আল আমীন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি আশরাফুজ্জামান মাসুম, সাবেক সভাপতি জাকারিয়া প্রমূখ।