রাউফুর রহমান পরাগঃ সাভার উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতে আওয়ামীলীগের একটি সংগঠন জয় বাংলা ক্লাবের এক নেতার নাম থাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারী উপজেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওই কমিটিতে তাকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রাখা হয়।
আর এতেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন ওই কমিটির দায়িত্বরতরা। অন্যদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীরা।
কমিটিতে স্থান পাওয়া ওই নেতার নাম রাকিব মুসুল্লী। তিনি জয় বাংলা ক্লাব মহিপুর থানা কমিটির সভাপতি ছিলেন।বর্তমানে তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজ এলাকায় পটুয়াখালীতে আওয়ামিলীগের জয় বাংলা ক্লাবের রাজনীতি করে আসছিলেন।এছাড়াও তার নিজ এলাকার আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মীদের সাথে ছিল তার চলাফেরা।
এরপর থেকে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সভা সেমিনার ও দলীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতেন তিনি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতন হলে খোলস পাল্টে দল বদল করে। পরে ছাত্র আন্দোলনের অজুহাতে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সাভার উপজেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটিতে স্থান নেয়।
এই কমিটির মূখ্য সংগঠক তামিম আজহার বলেন,আমার নিজের নাম দিছে এই কমিটিতে আমি নিজেও তো জানি না। বেশিরভাগ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীকে নিয়ে এই কমিটি করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজমুল হাসান বলেন,আমরা যারা আন্দোলনের সময় সামনের কাতারে ছিলাম তাদের জন্য লজ্জাজনক ঘটনা আওয়ামিলীগের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরর কমিটিতে নাম দেওয়া। যারা এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত।
রুমন নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন,রাকিবের মতো অনেকেই আছেন যারা নিজেদের রক্ষা করতে এই কমিটিতে পদ নিয়েছেন।আন্দোলনের সময় তারাই আবার ছাত্র হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন।
এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাকিব মুসুল্লী কে একাধিকবার তার মুঠোফোন কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho