০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগ নেতার হামলায় যুবদল নেতা আহত

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৭:৩২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

 

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ ধামরাই পৌর যুব দলের সদস্য ও ছাত্র দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলামে উপর দফায় দফায় হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। এ হামলার ঘটনায় জড়িত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলার পলাতক আসামি এবং ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আরফান মিয়া।

গত ২৩শে ফেব্রয়ারী সকালে পৌর শহরের মলয়ঘাট এলাকায় শরিফুল ইসলামের নিজ বাসায় আসার সময় আওয়ামী লীগ নেতা আরফান মিয়ার ফ্যামিলি তার উপর অতর্কিত হামলার চালায়। এলাকাবাসীর চেষ্টায় কোন মতে নিজের জিবন নিয়ে ফিরে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় তার বাসায় আফার মিয়া নিজে তার দলবল সহ হামলা চালানোর চেষ্টা করে।

এবিষয়ে যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম বলেন,
গত ২৩ শে ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় উপজেলা থেকে আমার নিজ বাসায় যাওয়ার সময় আরফান মিয়ার মা সেলিনা খাতুন আমাকে পিছন থেকে ডাক দেয় এবং বাসার ভিতরে প্রবেশের জন্য অনুনয় করে বলে বাবা তোর লগে একটু কথা কমু। একটু ভিতরে আয় বাবা কয়দিন পর পর রাত্রে বাড়িতে পুলিশ আসে।

এই কথা বলে কৌশলে ভিতরে নেয়। ভিতরে নিয়ে আমাকে সরাসরি বলে তুই আমার পোলার একমাত্র শত্রু তুই আমাগো বাড়িতে পুলিশ পাঠাইছো । একপর্যায়ে আরফানের বোন সোনিয়া এবং তানিয়া ও আরফানের স্ত্রী আমার উপর ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে এবং তার স্ত্রী এবং বোন সোনিয়া আমার উপর হামলা করে এবং সবজি কাটার বুটি দা দিয়ে আমাকে কোপ দেয়ার চেষ্টা করলে ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসে এবং সে কোনরকমে প্রাণে বেঁচে যাই এখনো গায়ে জখমের চিহ্ন রয়েছে । পরবর্তীতে ধামরাই থানায় একটি জিডি করি যাহার নং ১২৭২। আসামি আরফান মিয়া জিডির কথা শুনতে পেয়ে সপ নিজে থানায় একটি অভিযোগ করে যে শরীফুল ইসলাম রাম দা নিয়ে তার বাসায় গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এস আই মোস্তফা তার সহযোগীদের নিয়ে আমার বাসায় যায় এবং জিজ্ঞাসা বাদ করে এক পর্যায়ে পুলিশের সামনেই আরফান মিয়া এবং তার বোন জামাই রহিম ও তার বড় ভাই জাহিদ আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। তদন্ত কারি এস আই মোস্তফা তদন্ত করে অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি , এলাকার কেউ বলে নাই যে রাম দা নিয়ে আরফানের বাসায় গিয়েছি ।

এ বিষয়ে যুবদক নেতা শরীফুল ইসলামের কাছে আরো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরফান এবং আমি ২০০৩ সাল থেকে সমিতির ব্যবসা করি এবং দুটি লাইসেন্স আমরা নেই একটা উপজেলা সমাজ সেবা থেকে যার নিবন্ধন নং ঢ ০৮২৬ এবং উপজেলা সমবায় হতে নিবন্ধন নেয় যাহার নং ১৪৯/১০ এই সমিতির সভাপতি হিসেবে আমি শরীফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক আরফান মিয়া।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরফান মিয়া হওয়ায় সমস্ত প্রক্রিয়া গুলো তিনি নিজে দেখা শুনা করে এবং সমিতির টাকায় ক্রয় কৃত সমস্ত জমি আরফানের নিজ নামে করে ফেলে এবং এ বিষয়ে সভাপতি শরিফুল ইসলাম কথা বলতে গেলে তাহার নামে ৪০ লাখ টাকার চেক ডিজওনার মামলা করে।

পরে সভাপতি হিসেবে আমি সমিতির টাকা( ৮৩,৫৫,২৫৩) উদ্ধারের জন্য মামলা দায়ের করি । পিবিআই তদন্তের রিপোর্টে ঘটনার সত্যতা প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হয়। হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য জামিন নেয়। এর পরে আরফানের নামে একের অধিক মামলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের হেড অব দ্যা এইচ আর ডি যৌথ তদন্ত করে আরফান মিয়া কে ব্যাংকিং রীতিনীতি ভঙ্গ করার দায়ে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পিয়ন পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে। গত আনুমানিক ৫/৬ দিন আগে রাত ২ ঘটিকার সময় সাদ হত্যা মামলার অজ্ঞাত আসামি ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আরফান মিয়া কে গ্রেপ্তার করার জন্য ধামরাই থানার এস আই জিয়ার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু তখন আসামি আরফান মিয়া পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর পদধারী এই আওয়ামী লীগের নেতা আরফান মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

মধুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন আহত, থানায় অভিযোগ

ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগ নেতার হামলায় যুবদল নেতা আহত

প্রকাশের সময়ঃ ০৭:৩২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ ধামরাই পৌর যুব দলের সদস্য ও ছাত্র দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলামে উপর দফায় দফায় হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। এ হামলার ঘটনায় জড়িত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলার পলাতক আসামি এবং ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আরফান মিয়া।

গত ২৩শে ফেব্রয়ারী সকালে পৌর শহরের মলয়ঘাট এলাকায় শরিফুল ইসলামের নিজ বাসায় আসার সময় আওয়ামী লীগ নেতা আরফান মিয়ার ফ্যামিলি তার উপর অতর্কিত হামলার চালায়। এলাকাবাসীর চেষ্টায় কোন মতে নিজের জিবন নিয়ে ফিরে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় তার বাসায় আফার মিয়া নিজে তার দলবল সহ হামলা চালানোর চেষ্টা করে।

এবিষয়ে যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম বলেন,
গত ২৩ শে ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় উপজেলা থেকে আমার নিজ বাসায় যাওয়ার সময় আরফান মিয়ার মা সেলিনা খাতুন আমাকে পিছন থেকে ডাক দেয় এবং বাসার ভিতরে প্রবেশের জন্য অনুনয় করে বলে বাবা তোর লগে একটু কথা কমু। একটু ভিতরে আয় বাবা কয়দিন পর পর রাত্রে বাড়িতে পুলিশ আসে।

এই কথা বলে কৌশলে ভিতরে নেয়। ভিতরে নিয়ে আমাকে সরাসরি বলে তুই আমার পোলার একমাত্র শত্রু তুই আমাগো বাড়িতে পুলিশ পাঠাইছো । একপর্যায়ে আরফানের বোন সোনিয়া এবং তানিয়া ও আরফানের স্ত্রী আমার উপর ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে এবং তার স্ত্রী এবং বোন সোনিয়া আমার উপর হামলা করে এবং সবজি কাটার বুটি দা দিয়ে আমাকে কোপ দেয়ার চেষ্টা করলে ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসে এবং সে কোনরকমে প্রাণে বেঁচে যাই এখনো গায়ে জখমের চিহ্ন রয়েছে । পরবর্তীতে ধামরাই থানায় একটি জিডি করি যাহার নং ১২৭২। আসামি আরফান মিয়া জিডির কথা শুনতে পেয়ে সপ নিজে থানায় একটি অভিযোগ করে যে শরীফুল ইসলাম রাম দা নিয়ে তার বাসায় গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এস আই মোস্তফা তার সহযোগীদের নিয়ে আমার বাসায় যায় এবং জিজ্ঞাসা বাদ করে এক পর্যায়ে পুলিশের সামনেই আরফান মিয়া এবং তার বোন জামাই রহিম ও তার বড় ভাই জাহিদ আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। তদন্ত কারি এস আই মোস্তফা তদন্ত করে অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি , এলাকার কেউ বলে নাই যে রাম দা নিয়ে আরফানের বাসায় গিয়েছি ।

এ বিষয়ে যুবদক নেতা শরীফুল ইসলামের কাছে আরো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরফান এবং আমি ২০০৩ সাল থেকে সমিতির ব্যবসা করি এবং দুটি লাইসেন্স আমরা নেই একটা উপজেলা সমাজ সেবা থেকে যার নিবন্ধন নং ঢ ০৮২৬ এবং উপজেলা সমবায় হতে নিবন্ধন নেয় যাহার নং ১৪৯/১০ এই সমিতির সভাপতি হিসেবে আমি শরীফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক আরফান মিয়া।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরফান মিয়া হওয়ায় সমস্ত প্রক্রিয়া গুলো তিনি নিজে দেখা শুনা করে এবং সমিতির টাকায় ক্রয় কৃত সমস্ত জমি আরফানের নিজ নামে করে ফেলে এবং এ বিষয়ে সভাপতি শরিফুল ইসলাম কথা বলতে গেলে তাহার নামে ৪০ লাখ টাকার চেক ডিজওনার মামলা করে।

পরে সভাপতি হিসেবে আমি সমিতির টাকা( ৮৩,৫৫,২৫৩) উদ্ধারের জন্য মামলা দায়ের করি । পিবিআই তদন্তের রিপোর্টে ঘটনার সত্যতা প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হয়। হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য জামিন নেয়। এর পরে আরফানের নামে একের অধিক মামলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের হেড অব দ্যা এইচ আর ডি যৌথ তদন্ত করে আরফান মিয়া কে ব্যাংকিং রীতিনীতি ভঙ্গ করার দায়ে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পিয়ন পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে। গত আনুমানিক ৫/৬ দিন আগে রাত ২ ঘটিকার সময় সাদ হত্যা মামলার অজ্ঞাত আসামি ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আরফান মিয়া কে গ্রেপ্তার করার জন্য ধামরাই থানার এস আই জিয়ার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু তখন আসামি আরফান মিয়া পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর পদধারী এই আওয়ামী লীগের নেতা আরফান মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।