০৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শার্শায় আধিপত্য বিস্তারে দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, বোমা ও গুলিবর্ষণ

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৯:১৪:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

 

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দলীয় অফিস ভাঙচুর, একাধিক বোমা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় দু’জন আহত হয়েছেন।

সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের অগ্রভুলোট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, অগ্রভুলোট গ্রামের রওশান আলীর ছেলে আতিয়ার (৫৮) ও একই গ্রামের সৈয়দ আলী গাইনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৫৫)। তারা দুজন হামিদ গ্রুপের সমর্থক।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসেনের কর্মি বাবলুসহ বেশ কয়েকজন একটি পাওনা টাকার সালিশ করছিলেন। এতে বাধা দেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ সরদারের সমর্থকরা। এরই জের ধরে সোমবার রাতে অগ্রভুলোট বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।এসময় গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ সরদার গ্রুপের সমর্থক আতিয়ার রহমান ও শরিফুল ইসলাম নামে দুইজন ব্যক্তি আহত হন।এ খবর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ সরদারের সমর্থকদের কাছে ছড়িযে পড়লে। পরে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদের এক থেকে দুইশ কর্মীরা অগ্রভুলোট বাজারে সহ-সভাপতি সরোয়ারের কর্মি বাবলুর দলীয় অফিস, চেয়ার, টেবিলসহ সকল প্রকার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে তার সমর্থক আবু শামা, শাহ আলম, কবির হোসেনসহ প্রায় ৫ /৬ জনের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ, ও গুলিবর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে।এদিকে এ ঘটনার পর থেকে সরোয়ার হোসেনের সমর্থকের প্রায় ২০ টি পরিবার বাড়ি ছাড়া রয়েছে।

গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসেন বলেন, দুই পক্ষের মারামারির পরে হামিদ সরদারের নেতৃত্বে দুই থেকে তিনশ দুর্বৃত্তরা রাত ১১ টার দিকে প্রথমে অগ্রভুলট বাজারে দলীয় অফিস ভাঙচুর করে। পরে ৮ থেকে ১০ টি বাড়িতে ভাঙচুর, একাধিক বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি বর্ষণ করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলংকার লুটপাট করে নিয়ে চলে যায়। বর্তমানে আমিসহ গ্রামের মানুষেরা আতঙ্কে জীবন যাপন করছেন।

গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল হামিদ সরদার জানান, আমি কিছু জানি না, সকালে এসে শুনি আমার কর্মীরা নাকি বোমা হামলা ও ভাঙচুর করেছে। যেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, যারা বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সাথে রাজনীতি করেছে, তারাই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে নাভারণ সার্কেলের এএস’পি নিশাদ আল নাহিয়ান জানান, খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থল যায়। এসময় উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে ও পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকা হওয়াতে বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে তিনি জানান।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

৩ মামলায় সাবেক মেয়র আইভীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর

শার্শায় আধিপত্য বিস্তারে দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, বোমা ও গুলিবর্ষণ

প্রকাশের সময়ঃ ০৯:১৪:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দলীয় অফিস ভাঙচুর, একাধিক বোমা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় দু’জন আহত হয়েছেন।

সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের অগ্রভুলোট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, অগ্রভুলোট গ্রামের রওশান আলীর ছেলে আতিয়ার (৫৮) ও একই গ্রামের সৈয়দ আলী গাইনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৫৫)। তারা দুজন হামিদ গ্রুপের সমর্থক।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসেনের কর্মি বাবলুসহ বেশ কয়েকজন একটি পাওনা টাকার সালিশ করছিলেন। এতে বাধা দেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ সরদারের সমর্থকরা। এরই জের ধরে সোমবার রাতে অগ্রভুলোট বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।এসময় গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ সরদার গ্রুপের সমর্থক আতিয়ার রহমান ও শরিফুল ইসলাম নামে দুইজন ব্যক্তি আহত হন।এ খবর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ সরদারের সমর্থকদের কাছে ছড়িযে পড়লে। পরে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদের এক থেকে দুইশ কর্মীরা অগ্রভুলোট বাজারে সহ-সভাপতি সরোয়ারের কর্মি বাবলুর দলীয় অফিস, চেয়ার, টেবিলসহ সকল প্রকার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে তার সমর্থক আবু শামা, শাহ আলম, কবির হোসেনসহ প্রায় ৫ /৬ জনের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ, ও গুলিবর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে।এদিকে এ ঘটনার পর থেকে সরোয়ার হোসেনের সমর্থকের প্রায় ২০ টি পরিবার বাড়ি ছাড়া রয়েছে।

গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসেন বলেন, দুই পক্ষের মারামারির পরে হামিদ সরদারের নেতৃত্বে দুই থেকে তিনশ দুর্বৃত্তরা রাত ১১ টার দিকে প্রথমে অগ্রভুলট বাজারে দলীয় অফিস ভাঙচুর করে। পরে ৮ থেকে ১০ টি বাড়িতে ভাঙচুর, একাধিক বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি বর্ষণ করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলংকার লুটপাট করে নিয়ে চলে যায়। বর্তমানে আমিসহ গ্রামের মানুষেরা আতঙ্কে জীবন যাপন করছেন।

গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল হামিদ সরদার জানান, আমি কিছু জানি না, সকালে এসে শুনি আমার কর্মীরা নাকি বোমা হামলা ও ভাঙচুর করেছে। যেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, যারা বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সাথে রাজনীতি করেছে, তারাই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে নাভারণ সার্কেলের এএস’পি নিশাদ আল নাহিয়ান জানান, খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থল যায়। এসময় উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে ও পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকা হওয়াতে বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে তিনি জানান।