আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে নেওয়ার প্রলোভনে অন্ধ হয়ে পড়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সে অন্ধত্বেই অনেকটা অসম একটি যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলেন নিজের দেশকে। এবার যখন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তখন আবারও সেই ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বায়না ধরছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
জেলেনস্কি বলেছেন, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের প্রবেশের বিনিময়ে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে প্রস্তুত আছেন। তবে তার এই চাওয়া আর পূরণ হচ্ছেনা। ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার কোনা সুযোগ নেই বলে স্পস্ট করেছেন ট্রাম্প।
বুধবার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ত্যাগ করতে হবে। জোটে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনার কারণেই এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তিতে পৌঁছাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকেও ছাড় দিতে হবে বলে জানান তিনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন সফরে আসছেন। তিনি এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন যার ফলে আমেরিকা কিয়েভের লাভজনক ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের ওপর বস্তুত অধিকার পাবে।
তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার বিনিময়ে এই খনিজ চুক্তি চাইছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন আমেরিকার কাছে ৫০০ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ ঋণী। এই অর্থ তিনি ফেরত চান। ট্রাম্পের মতে, এই সহায়তা আমেরিকা এমনি এমনি দেয়নি।
তবে কিয়েভ প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সহায়তা হিসেবে এর চেয়ে অনেক কম পেয়েছে তারা আর ওই খসড়ায় ইউক্রেনের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চান।
কিন্তু বুধবার ট্রাম্প বলেন, ‘আমি (ইউক্রেনকে) খুব বেশি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে যাচ্ছি না। আমরা চাই ইউরোপ এটি করুক।’ ট্রাম্প আরও বলেন, আমেরিকা অন্য কোনো দেশের জন্য আর ত্যাগ স্বীকার করতে চায় না।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho