আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ ধনকুবের ইলন মাস্ক প্রকাশ্যে জাতিসংঘ এবং উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার ধারণাকে সমর্থন করেছেন।
রোববার (২ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন পদক্ষেপের পক্ষে এক পোস্টের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ইলন মাস্ক মন্তব্য করেন, 'আমি একমত।'
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারাও জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের পাশাপাশি মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটোতে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার কথা বলেছেন।
গত মাসে সিনেটর মাইক লি জাতিসংঘ থেকে সম্পূর্ণভাবে ওয়াশিংটনকে সরে আসার প্রস্তাব করে। তিনি জাতিসংঘকে 'অত্যাচারীদের প্ল্যাটফর্ম' হিসাবে বর্ণনা করেন। কেননা উল্লেখযোগ্য তহবিল সত্ত্বেও সংস্থাটি যুদ্ধ, গণহত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মহামারি প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে।
লি'র মনোভাবের প্রতিধ্বনি করে মাস্ক এক্স-পোস্টে লিখেছেন, আমেরিকা জাতিসংঘ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে অনেক বেশি তহবিল সরবরাহ করে থাকে।
২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প 'জাতিসংঘকে দুর্বল ও অযোগ্য' আখ্যায়িত করে বলেছিলেন, 'এটি গণতন্ত্রের বন্ধু নয়।'
গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল।
একই মাসে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পদে ট্রাম্পের মনোনীত এলিস স্টেফানিক জাতিসংঘের 'আর্থিক চর্চার' সমালোচনা করেন এবং আন্তর্জাতিক শাসন ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টির প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
ন্যাটো নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন মাস্ক। ফেব্রুয়ারিতে তিনি স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী যুগে ন্যাটোর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি পূর্ণ পর্যালোচনার আহ্বান জানান। আমেরিকান করদাতারা ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বহন করছে, যেটির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মাস্ক।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho