১১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে বাড়ি গাড়ি উচ্চ বিলাসী নেতাদের সাত মাসে কোটিপতি

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১১:০১:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

 

স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এরই মধ্যে বর্তমানে একেবারেই খালি মাঠে থাকা নারায়ণগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীদের কেউ কেউ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন। কয়েক মাসের ব্যবধানের নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের কেউ কেউ গাড়ি ও বাড়ির মালিক হয়ে গেছেন।

বিশেষ করে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা যেন এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। মূলদল বিএনপি সহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পদে থাকা নেতাদের অনেকেই গাড়ি ও বাড়ি সহ বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেছেন। নেতারা উচ্চ বিলাসী জীবন যাপন শুরু করছেন। নেতারা দামি গাড়ি হাঁকিয়ে চলেন। আবার কেউ কেউ অর্থ সম্পদের মালিক হলেও তারা আপাতত নিরব ভূমিকায় রয়েছেন।

বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদের মালিক হলেও সেটা আপাতত প্রকাশ করছেন না। নিজেদের পদ-পদবী টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সময় সুযোগ অনুযায়ী গাড়ি বাড়ির মালিক হবেন।

বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মূলদল বিএনপির পদে থাকা নেতাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে ফ্ল্যাট কিনছেন। কেউ কেউ দামি গাড়ি ব্যবহার করছেন। নারায়ণগঞ্জ আদালতের অনেক সিনিয়র আইনজীবী আছেন যারা প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী কিংবা আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত অথবা কর্মী সমর্থকের মামলায় আইনজীবী হিসেবে লড়াই করছেন।

পেশার দোহাই দিয়ে তাদের জামিনের পক্ষে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিনিময়ে ওই সকল নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করছেন। আদালতপাড়ায় এমন অনেক আইনজীবী আছেন যারা শুধুমাত্র বৈষম্যবিরোধী মামলা আসামী হওয়া আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী নেতাকর্মী সমর্থকদের পক্ষে হলফনামা গাড়ি মালিক হয়ে গেছেন। যদিও বর্তমানে হলফনামা বন্ধ রয়েছে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এই হলফনামা নিয়ে বেশ জমজমাট ছিলো আদালতপাড়া।

এদিকে বিএনপির এমনও অনেক নেতা রয়েছেন যারা আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে বিভিন্ন ভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। বিভিন্নভাবে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় দেউলিয়া হয়ে পড়েছিলেন। বর্তমানে তারা সেই দেউলিয়া কাটিয়ে উঠে বিপুল পরিমাণ অর্থবিত্তের মালিক হয়ে গেছেন। তাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে শহরের এলিট শ্রেণির ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছেন।

সূত্র বলছে, টানা তিন মেয়াদ ধরে ক্ষমতা শেষ চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছিলো আওয়ামী লীগ। যদিও চতুর্থ মেয়াদে এক বছরের বেশি ক্ষমতা স্থায়ী হয়নি। তবে এই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরেই তাদের দখলদারিত্ব বিরাজ ছিলো। এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোনো প্রভাব ছিলো না।

এরই মধ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আর এই পতনের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেলেও ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে তাদের বিভিন্ন অপকর্ম জনসাধারণের সামনে উঠে আসছে। সেই সাথে অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

কিন্তু আওয়ামী লীগের এসকল অপকর্ম পুরোপুরি প্রকাশ হওয়ার আগেই তাদের অপকর্ম যেন ঢেকে যাচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্বারা। তাদের শাস্তি নিশ্চিত হওয়া আগেই বিএনপির নেতাকর্মীরা নুতন করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৭ মাসে বিএনপির নেতাকর্মীরা যেসকল অপকর্ম করেছেন তাতেই যেন আড়াল হয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অপকর্ম। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিএনপির নেতাকর্মীদের অপকর্ম নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে।

গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী মূলদর নারায়ণগঞ্জ বিএনপি সহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। যার মাধ্যমে প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের হাতে লাখ লাখ টাকা উঠে আসছে।

এর আগে আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাবস্থায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেক নির্যাতন নীপিড়নের শিকার হয়েছেন। দিনের পর দিন মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে পরিবার পরিজন ছেড়ে দিন যাপন করতে হচ্ছে। সেই সাথে তারা আন্দোলন সংগ্রামেও অংশ নিতে পারতেন না। ব্যবসা বাণিজ্যেও নানাভাবেই বাধার শিকার হয়েছেন। সব মিলিয়ে তাদের যেন স্বাভাবিক জীবন যাপন ছিলো না।

এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আর এই পতনের সাথে সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। এই অবস্থায় একদম খালি মাঠে রয়েছে বিএনপি। দীর্ঘদিন পর খালি মাঠে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি যেন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছেন। কেউ কাউকে মানছেন না। অনেক সময় নিজেরাই নিজেদের সাথে প্রভাব আধিপত্যের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরাই যেন বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে আবির্ভাব হয়েছেন। প্রতিনিয়তই নারায়ণগঞ্জের কোনো না কোনো এলাকায় কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্ব›দ্বীতার খবর পাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা নির্দেশনা দিয়েছেন একরকম কিন্তু অধস্তন নেতাকর্মীরা করছেন আরেকরকম। তাদেরকে কোনোভাবেই যেন

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

নারায়ণগঞ্জে বাড়ি গাড়ি উচ্চ বিলাসী নেতাদের সাত মাসে কোটিপতি

প্রকাশের সময়ঃ ১১:০১:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এরই মধ্যে বর্তমানে একেবারেই খালি মাঠে থাকা নারায়ণগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীদের কেউ কেউ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন। কয়েক মাসের ব্যবধানের নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের কেউ কেউ গাড়ি ও বাড়ির মালিক হয়ে গেছেন।

বিশেষ করে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা যেন এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। মূলদল বিএনপি সহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পদে থাকা নেতাদের অনেকেই গাড়ি ও বাড়ি সহ বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেছেন। নেতারা উচ্চ বিলাসী জীবন যাপন শুরু করছেন। নেতারা দামি গাড়ি হাঁকিয়ে চলেন। আবার কেউ কেউ অর্থ সম্পদের মালিক হলেও তারা আপাতত নিরব ভূমিকায় রয়েছেন।

বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদের মালিক হলেও সেটা আপাতত প্রকাশ করছেন না। নিজেদের পদ-পদবী টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সময় সুযোগ অনুযায়ী গাড়ি বাড়ির মালিক হবেন।

বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মূলদল বিএনপির পদে থাকা নেতাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে ফ্ল্যাট কিনছেন। কেউ কেউ দামি গাড়ি ব্যবহার করছেন। নারায়ণগঞ্জ আদালতের অনেক সিনিয়র আইনজীবী আছেন যারা প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী কিংবা আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত অথবা কর্মী সমর্থকের মামলায় আইনজীবী হিসেবে লড়াই করছেন।

পেশার দোহাই দিয়ে তাদের জামিনের পক্ষে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিনিময়ে ওই সকল নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করছেন। আদালতপাড়ায় এমন অনেক আইনজীবী আছেন যারা শুধুমাত্র বৈষম্যবিরোধী মামলা আসামী হওয়া আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী নেতাকর্মী সমর্থকদের পক্ষে হলফনামা গাড়ি মালিক হয়ে গেছেন। যদিও বর্তমানে হলফনামা বন্ধ রয়েছে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এই হলফনামা নিয়ে বেশ জমজমাট ছিলো আদালতপাড়া।

এদিকে বিএনপির এমনও অনেক নেতা রয়েছেন যারা আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে বিভিন্ন ভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। বিভিন্নভাবে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় দেউলিয়া হয়ে পড়েছিলেন। বর্তমানে তারা সেই দেউলিয়া কাটিয়ে উঠে বিপুল পরিমাণ অর্থবিত্তের মালিক হয়ে গেছেন। তাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে শহরের এলিট শ্রেণির ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছেন।

সূত্র বলছে, টানা তিন মেয়াদ ধরে ক্ষমতা শেষ চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছিলো আওয়ামী লীগ। যদিও চতুর্থ মেয়াদে এক বছরের বেশি ক্ষমতা স্থায়ী হয়নি। তবে এই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরেই তাদের দখলদারিত্ব বিরাজ ছিলো। এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোনো প্রভাব ছিলো না।

এরই মধ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আর এই পতনের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেলেও ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে তাদের বিভিন্ন অপকর্ম জনসাধারণের সামনে উঠে আসছে। সেই সাথে অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

কিন্তু আওয়ামী লীগের এসকল অপকর্ম পুরোপুরি প্রকাশ হওয়ার আগেই তাদের অপকর্ম যেন ঢেকে যাচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্বারা। তাদের শাস্তি নিশ্চিত হওয়া আগেই বিএনপির নেতাকর্মীরা নুতন করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৭ মাসে বিএনপির নেতাকর্মীরা যেসকল অপকর্ম করেছেন তাতেই যেন আড়াল হয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অপকর্ম। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিএনপির নেতাকর্মীদের অপকর্ম নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে।

গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী মূলদর নারায়ণগঞ্জ বিএনপি সহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। যার মাধ্যমে প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের হাতে লাখ লাখ টাকা উঠে আসছে।

এর আগে আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাবস্থায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেক নির্যাতন নীপিড়নের শিকার হয়েছেন। দিনের পর দিন মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে পরিবার পরিজন ছেড়ে দিন যাপন করতে হচ্ছে। সেই সাথে তারা আন্দোলন সংগ্রামেও অংশ নিতে পারতেন না। ব্যবসা বাণিজ্যেও নানাভাবেই বাধার শিকার হয়েছেন। সব মিলিয়ে তাদের যেন স্বাভাবিক জীবন যাপন ছিলো না।

এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আর এই পতনের সাথে সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। এই অবস্থায় একদম খালি মাঠে রয়েছে বিএনপি। দীর্ঘদিন পর খালি মাঠে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি যেন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছেন। কেউ কাউকে মানছেন না। অনেক সময় নিজেরাই নিজেদের সাথে প্রভাব আধিপত্যের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরাই যেন বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে আবির্ভাব হয়েছেন। প্রতিনিয়তই নারায়ণগঞ্জের কোনো না কোনো এলাকায় কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্ব›দ্বীতার খবর পাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা নির্দেশনা দিয়েছেন একরকম কিন্তু অধস্তন নেতাকর্মীরা করছেন আরেকরকম। তাদেরকে কোনোভাবেই যেন