মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ মধুপুরের গোলাবাড়ী ইউনিয়নের মাঝিরা বাজারে গ্রাম্য সালিশকে কেন্দ্র করে মারামারি এবং ভাংচুরের ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ক্লাব এবং একটি বাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত বুধবার (৫ মার্চ) বিকেলে মাঝিরা মোড়ে মহাদাস গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে নাজমুল এর সাথে স্থানীয় অটোচালক মাঝিরা গ্রামের আব্দুস সাত্তার এর ছেলে সোহেল এর সাথে অটোভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘরে পরে বৃহস্পতিবার রাতে মাঝিরা মোড়ে অবস্থিত হুমায়ুন কবির তালুকদার স্মৃতি যুব সংঘ ক্লাবে স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ঘটনার আপস মিমাংসার চেষ্টা করা হলে বিবাদী পক্ষের মাঝিরা গ্রামের আব্দুস সাত্তার এর ছেলে সোহেল রানা উপস্থিত হয়নি।
শুক্রবার বিকালে উক্ত ঘটনার জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে গোলাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির তালুকদার ঘটনাস্থলে গিয়ে শনিবার (৮ মার্চ) এ বিষয়ে মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এর কিছুক্ষণ পর বাসুদেববাড়ী (তালুকদারবাড়ী) করিম তালুকদার এর ছেলে বাপ্পী, মুলু তালুকদার এর ছেলে ওসামা এবং একই গ্রামের বিপ্লব সহ দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের উস্কানিতে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায় এবং এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। এসময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে মহাদাস গ্রামের মহির উদ্দিন এর ছেলে বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ এবং ৮ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক দল মধুপুর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব আব্দুল মমিন গুরুতর আহত হন।
সংঘর্ষের সময় হুমায়ুন কবির তালুকদার স্মৃতি যুব সংঘের অফিস এবং মহাদাস গ্রামের অনিফুল্লাহ এর ছেলে রব্বানী ওরফে নিলয় এর বাড়ী ভাংচুর করে হামলাকারীরা।
এ ব্যাপারে মধুপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই আরিফ বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho