স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষ হয়েছিল বিএনপির দুই পক্ষে। এ সময় সোহাগ নামের এক যুবককে পিস্তল হাতে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। তার সঙ্গে দলীয় বা ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর।
গতকাল শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাগর বলেন, 'আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, অস্ত্রধারী সোহাগ বিএনপি, ছাত্রদল বা কোনো অঙ্গসংগঠনের কোনো পদে নেই। সে কখনও বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত নয়। ছাত্রদল বা বিএনপি কখনওই অস্ত্র ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।' এ সময় অস্ত্রধারী সোহাগকে দ্রুত গ্রেপ্তারেও দাবি জানান তিনি।
আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির কয়েকটি পক্ষের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাকিবুর রহমান সাগরের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় নাসিকের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, আলো বিয়নপির পাবেথ সহয্যইনবিষয়ক সম্পাদক শাহআলম মানিক ও রুহুল আমিনের লোকজনের। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ১০টি মোটরসাইকেল। এ সময় আদমজী-নারায়ণগঞ্জ সড়কের পূর্ব পাশে ডিএনডি সেচ খালের সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায় সোহাগকে।
ছাত্রদলের সাবেক নোতা সাগরের ভাষ্য, 'ঘটনার দিন আমি ব্যক্তিগত কাজে সোনারগাঁয়ে ছিলাম। হঠাৎ ফোন লাই মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মো, মানিক ও সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোহনকে যুবলীগের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি মতিউর রহমান মতির সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা-চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখেছে। ওই হামলায় অংশ নেয় পাবনাই বাবু, বুইট্টা রনিসহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে আমি সরাসরি থানায় অবস্থান করি। এ সংঘর্ষে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।'
অস্ত্রধারী সোহাগকে ৭নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা উল্লেখ করে সাগর বলেন, সে আমার কোনো আত্মীয় নয়।' সাগর ৬ মার্চের ঘটনার জন্য আগে নাসিকের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করেছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho