০৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধুপুরে ফুলবানু হত্যা কান্ডের ৫ মাস পর রহস্য উদঘাটন

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৮:২৮:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

 

আঃ হামিদ মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে ষাটোর্ধ্ব মহিলা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে মধুপুর থানা পুলিশ। নৃশংস এই হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে দুইজন এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মধুপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আরিফুল ইসলাম।
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, গত ২৭ অক্টোবর ২০২৪ উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের শালিকা গ্রামে ফুলবানু বেগম (৬০) নামের এই বৃদ্ধ মহিলা আনারস বাগানে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে আটককৃত আসামীরা দাড়ালো কাচি দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এবং হত্যার পর তার কানের দুল ও নাকফুল নিয়ে নেয়। আর এ বিষয় নিয়ে হত্যাকান্ডের একদিন পর ২৮ অক্টোবর তার বড় ছেলে মোঃ বাহার আলী বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৫। এএসপি মো. আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পাঁচ মাসের অধিক নিবিড় অনুসন্ধান করে হত্যাকান্ডটির মূল রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে।

আটককৃত চার আসামীরা হলো উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের শালিকা পূর্বপাড়া মৃত সামছুল হকের ছেলে মোঃ আসাদ মিয়া (২৮), একই এলাকার মৃত নয়ন মিয়ার ছেলে ফারুক হোসেন ফালু (৪৫), শালিকা দক্ষিণ পাড়ার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মোঃ রমজান আলী ভোলা (৫৭) ও মহিষমারা বেচুরাঘুনি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সুজন মিয়া (২৭) ।

মামলার বিবরণী ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, মামলাটি তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য ও ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, নিহত ফুলবানুর (৬০) প্রবাসী ছোট ছেলের বউকে আসামী মোঃ ফারুক হোসেন (ফালু) প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করত।

নিহত ফুলবানু বিষয়টি জানতে পেরে আসামী ফালুকে সর্তক করাসহ স্থানীয় প্রতিবেশিকে জানায়। ফলে উক্ত আসামী ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় ফুলবানুকে হত্যা করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। নিহত ব্যক্তি প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৭ অক্টোবর ২০২৪খ্রি তারিখ দুপুর ২ টার সময় গরুর ঘাস কাটার জন্য নির্জন আনারস বাগানে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তাকে একা পেয়ে আসামীগণ ঘিরে ফেলে ঘাস কাটার কাস্তে দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম ও শ্বাস রোধ করে ফুলবানু এর মৃত্যু নিশ্চিত করে। সেই সময়ে নিহত এর কানে থাকা স্বর্ণের দুল ও নাকফুল নিয়ে পালিয়ে যায়।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

শার্শায় বিশেষ অভিযানে মাদকসহ আটক ৪

মধুপুরে ফুলবানু হত্যা কান্ডের ৫ মাস পর রহস্য উদঘাটন

প্রকাশের সময়ঃ ০৮:২৮:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

 

আঃ হামিদ মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে ষাটোর্ধ্ব মহিলা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে মধুপুর থানা পুলিশ। নৃশংস এই হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে দুইজন এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মধুপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আরিফুল ইসলাম।
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, গত ২৭ অক্টোবর ২০২৪ উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের শালিকা গ্রামে ফুলবানু বেগম (৬০) নামের এই বৃদ্ধ মহিলা আনারস বাগানে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে আটককৃত আসামীরা দাড়ালো কাচি দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এবং হত্যার পর তার কানের দুল ও নাকফুল নিয়ে নেয়। আর এ বিষয় নিয়ে হত্যাকান্ডের একদিন পর ২৮ অক্টোবর তার বড় ছেলে মোঃ বাহার আলী বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৫। এএসপি মো. আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পাঁচ মাসের অধিক নিবিড় অনুসন্ধান করে হত্যাকান্ডটির মূল রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে।

আটককৃত চার আসামীরা হলো উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের শালিকা পূর্বপাড়া মৃত সামছুল হকের ছেলে মোঃ আসাদ মিয়া (২৮), একই এলাকার মৃত নয়ন মিয়ার ছেলে ফারুক হোসেন ফালু (৪৫), শালিকা দক্ষিণ পাড়ার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মোঃ রমজান আলী ভোলা (৫৭) ও মহিষমারা বেচুরাঘুনি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সুজন মিয়া (২৭) ।

মামলার বিবরণী ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, মামলাটি তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য ও ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, নিহত ফুলবানুর (৬০) প্রবাসী ছোট ছেলের বউকে আসামী মোঃ ফারুক হোসেন (ফালু) প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করত।

নিহত ফুলবানু বিষয়টি জানতে পেরে আসামী ফালুকে সর্তক করাসহ স্থানীয় প্রতিবেশিকে জানায়। ফলে উক্ত আসামী ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় ফুলবানুকে হত্যা করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। নিহত ব্যক্তি প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৭ অক্টোবর ২০২৪খ্রি তারিখ দুপুর ২ টার সময় গরুর ঘাস কাটার জন্য নির্জন আনারস বাগানে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তাকে একা পেয়ে আসামীগণ ঘিরে ফেলে ঘাস কাটার কাস্তে দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম ও শ্বাস রোধ করে ফুলবানু এর মৃত্যু নিশ্চিত করে। সেই সময়ে নিহত এর কানে থাকা স্বর্ণের দুল ও নাকফুল নিয়ে পালিয়ে যায়।