০৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শার্শায় গৃহবধূকে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৪:৫৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • ১৫৮ বার পড়া হয়েছে

 

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শায় গলায় ফাঁস দিয়ে হাজেরা খাতুন (১৭) নামে এক গৃহবধূকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধায় শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে ঐ গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এঘটনায় গতকাল রাতেই থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন নিহতের পরিবার।

নিহত হাজেরা খাতুন টেংরা গ্রামের আকাশ হোসেনের স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী ঝিকরগাছা উপজেলার দেওলী গ্রামের মেহেদী হাসানের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছর আগে ঝিকরগাছার দেউলী গ্রামের মেহেদী হাসানের মেয়ে হাজেরা খাতুনকে ভালবেসে বিয়ে করেন শার্শা উপজেলার টেংরা গ্রামের মৃত জামসেদ আলীর ছেলে আকাশ হোসেন। প্রথমে তাদের সংসার ভালো চললেও পরে আকাশ ও হাজেরা খাতুনের হাজেরা খাতুনের সাথে প্রায় মণমালীন্য হতো। ঘটনার দিন তাদের দুজনের মধ্যে মারামারি হয়। পরে স্বামী আকাশ বাজারে গেলে স্ত্রী হাজেরা ঘরের ভিতর আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে আকাশ ঘরে ফিরে স্ত্রীকে ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে উদ্ধার করে বাগআঁচড়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নিহত হাজেরা খাতুনের পিতা মেহেদী হাসান জানান, তার মেয়ের সাথে তার জামাই ও দাদী শাশুড়ী রাহিমা সবসময় খারাপ ব্যবহার করতো। তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দাদী শাশুড়ি রহিমা কলহ বাঁধিয়ে দিতো। ঘটনার দিন তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে এক পর্যায়ে তার জামাই আকাশ ও তার দাদী রহিমা মিলে হাজেরাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজাতে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচার করতে হসপিটালে নিয়ে যায়। পরে মেয়ে অসুস্থ বলে খবর দিলে এসে মেয়েকে মৃত অস্থায় দেখতে পাই । এসময় তিনি অভিযোগ করেন তার মেয়ে আত্মহত্যা করেননি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এসময় তিনি অশ্রুধরা কন্ঠে তার মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন।

এবিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হতে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

বুড়িমারী স্থলবন্দরে ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

শার্শায় গৃহবধূকে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ

প্রকাশের সময়ঃ ০৪:৫৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শায় গলায় ফাঁস দিয়ে হাজেরা খাতুন (১৭) নামে এক গৃহবধূকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধায় শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে ঐ গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এঘটনায় গতকাল রাতেই থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন নিহতের পরিবার।

নিহত হাজেরা খাতুন টেংরা গ্রামের আকাশ হোসেনের স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী ঝিকরগাছা উপজেলার দেওলী গ্রামের মেহেদী হাসানের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছর আগে ঝিকরগাছার দেউলী গ্রামের মেহেদী হাসানের মেয়ে হাজেরা খাতুনকে ভালবেসে বিয়ে করেন শার্শা উপজেলার টেংরা গ্রামের মৃত জামসেদ আলীর ছেলে আকাশ হোসেন। প্রথমে তাদের সংসার ভালো চললেও পরে আকাশ ও হাজেরা খাতুনের হাজেরা খাতুনের সাথে প্রায় মণমালীন্য হতো। ঘটনার দিন তাদের দুজনের মধ্যে মারামারি হয়। পরে স্বামী আকাশ বাজারে গেলে স্ত্রী হাজেরা ঘরের ভিতর আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে আকাশ ঘরে ফিরে স্ত্রীকে ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে উদ্ধার করে বাগআঁচড়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নিহত হাজেরা খাতুনের পিতা মেহেদী হাসান জানান, তার মেয়ের সাথে তার জামাই ও দাদী শাশুড়ী রাহিমা সবসময় খারাপ ব্যবহার করতো। তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দাদী শাশুড়ি রহিমা কলহ বাঁধিয়ে দিতো। ঘটনার দিন তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে এক পর্যায়ে তার জামাই আকাশ ও তার দাদী রহিমা মিলে হাজেরাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজাতে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচার করতে হসপিটালে নিয়ে যায়। পরে মেয়ে অসুস্থ বলে খবর দিলে এসে মেয়েকে মৃত অস্থায় দেখতে পাই । এসময় তিনি অভিযোগ করেন তার মেয়ে আত্মহত্যা করেননি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এসময় তিনি অশ্রুধরা কন্ঠে তার মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন।

এবিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হতে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।