০৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানিকগঞ্জে বিদ্যালয় স্থানান্তরে বাঁধা, প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মানববন্ধন

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৭:০৪:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

 

আব্বাসী, স্টাফ রিপোর্টারঃ মানিকগঞ্জে বিদ্যালয় স্থানান্তরে বাঁধার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সচেতন মহল। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের ছনকা বাজারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, ২০১৫ সালে বরাইদ ইউনিয়নের ছনকা গ্রামে ‘ছনকা উচ্চ বিদ্যালয়’ নামে ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী এলাকায় টিনশেড একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে চরাঞ্চলের শত-শত দরিদ্র শিক্ষার্থীরা সুবিধা পেতে শুরু করে। পরবর্তীতে বিদ্যলয়টি ২০২২ সালে এমপিওভুক্ত হয়। ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা এবং শিক্ষার্থীদের বাড়তি চাপে জেলা শিক্ষা অফিস বিষয়টি অধিদপ্তরে জানালে বিদ্যালয়টি পাকা ভবনের জন্য অনুমোদন করা হয়। ধলেশ্বরী নদী তীরবর্তী এলাকায় বিদ্যালয়টির অবস্থান হওয়ায় স্থানীয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বিদ্যালয়টিকে নদীর ওপার ছনকা বাজার সংলগ্ন স্কুলের নামে দান করা ৮২ শতক জমির উপর স্থায়ী ভবনের প্রস্তাবনা দিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করে। এই কাজে বাধসাধে নদীর ওপারের বাসিন্দারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ছনকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ এক দশক কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভাঙ্গন কবলিত নদী ধলেশ্বরীর পাড়ে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বিদ্যালয়টি পূর্বের স্থান থেকে ঝুঁকিমুক্ত স্থানে স্থানান্তর করা হচ্ছে। বিষয়টা এই অঞ্চলের জনসাধারণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। এই মহতী কাজেও কেউ কেউ বাঁধা প্রদান করে বিদ্যালয়টি না হওয়ার জন্য অপ তৎপরতা চালাচ্ছে। গ্রামবাসী এ অন্যায়, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতি অন্যায় মেনে নেবে না।
শিক্ষার্থীরা বলেন, নদীর পাড়ের স্কুলে পাঠদানে আমরা খুবই আতঙ্কে আছি। যেকোনো সময়ই নদী ভাঙনের কবলে পড়ে আমাদের বিদ্যালয়টি বিলীন হয়ে যাবে। আমরা স্থায়ী ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করতে পারলে আর দুশ্চিন্তা থাকবে না। আমরা এখানে যে টিনশেড ভবনে পড়াশোনা করছি সেখানে গ্রীষ্মের তীব্র তাপ এবং আসাড়ের বৃষ্টিতে পাঠদান ব্যাহত হয়। বর্ষা মাসে স্কুলের চারিদিকে পানি থই-থই করে। আমরা শিক্ষার্থীরা ভয়ে স্কুলে যেতে পারি না। আমাদের বিদ্যালয়ে পাকা ভবন হলে আমাদের পড়ালেখার মান বাড়বে।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ছনকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুস ছালাম, শিক্ষক প্রতিনিধি নিখিল চন্দ্র সরকার, অভিভাবক প্রতিনিধি সানোয়ার হোসেন, ছনকা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আমিনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হোসেন, বরাইদ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমদ আলী, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা,ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুন্তাজ আলী, যুবদল নেতা সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

সাভারে গণধর্ষণের পরে ১৩ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে হত্যা, আটক ১

মানিকগঞ্জে বিদ্যালয় স্থানান্তরে বাঁধা, প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মানববন্ধন

প্রকাশের সময়ঃ ০৭:০৪:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

আব্বাসী, স্টাফ রিপোর্টারঃ মানিকগঞ্জে বিদ্যালয় স্থানান্তরে বাঁধার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সচেতন মহল। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের ছনকা বাজারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, ২০১৫ সালে বরাইদ ইউনিয়নের ছনকা গ্রামে ‘ছনকা উচ্চ বিদ্যালয়’ নামে ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী এলাকায় টিনশেড একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে চরাঞ্চলের শত-শত দরিদ্র শিক্ষার্থীরা সুবিধা পেতে শুরু করে। পরবর্তীতে বিদ্যলয়টি ২০২২ সালে এমপিওভুক্ত হয়। ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা এবং শিক্ষার্থীদের বাড়তি চাপে জেলা শিক্ষা অফিস বিষয়টি অধিদপ্তরে জানালে বিদ্যালয়টি পাকা ভবনের জন্য অনুমোদন করা হয়। ধলেশ্বরী নদী তীরবর্তী এলাকায় বিদ্যালয়টির অবস্থান হওয়ায় স্থানীয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বিদ্যালয়টিকে নদীর ওপার ছনকা বাজার সংলগ্ন স্কুলের নামে দান করা ৮২ শতক জমির উপর স্থায়ী ভবনের প্রস্তাবনা দিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করে। এই কাজে বাধসাধে নদীর ওপারের বাসিন্দারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ছনকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ এক দশক কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভাঙ্গন কবলিত নদী ধলেশ্বরীর পাড়ে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বিদ্যালয়টি পূর্বের স্থান থেকে ঝুঁকিমুক্ত স্থানে স্থানান্তর করা হচ্ছে। বিষয়টা এই অঞ্চলের জনসাধারণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। এই মহতী কাজেও কেউ কেউ বাঁধা প্রদান করে বিদ্যালয়টি না হওয়ার জন্য অপ তৎপরতা চালাচ্ছে। গ্রামবাসী এ অন্যায়, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতি অন্যায় মেনে নেবে না।
শিক্ষার্থীরা বলেন, নদীর পাড়ের স্কুলে পাঠদানে আমরা খুবই আতঙ্কে আছি। যেকোনো সময়ই নদী ভাঙনের কবলে পড়ে আমাদের বিদ্যালয়টি বিলীন হয়ে যাবে। আমরা স্থায়ী ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করতে পারলে আর দুশ্চিন্তা থাকবে না। আমরা এখানে যে টিনশেড ভবনে পড়াশোনা করছি সেখানে গ্রীষ্মের তীব্র তাপ এবং আসাড়ের বৃষ্টিতে পাঠদান ব্যাহত হয়। বর্ষা মাসে স্কুলের চারিদিকে পানি থই-থই করে। আমরা শিক্ষার্থীরা ভয়ে স্কুলে যেতে পারি না। আমাদের বিদ্যালয়ে পাকা ভবন হলে আমাদের পড়ালেখার মান বাড়বে।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ছনকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুস ছালাম, শিক্ষক প্রতিনিধি নিখিল চন্দ্র সরকার, অভিভাবক প্রতিনিধি সানোয়ার হোসেন, ছনকা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আমিনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হোসেন, বরাইদ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমদ আলী, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা,ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুন্তাজ আলী, যুবদল নেতা সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।