১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর 

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১২:১৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ লম্বা ছুটির ঘোষণাতেই রাঙা হতে শুরু করে যে উৎসব, তা পূর্ণতার ডানা মেলতে থাকে আকাশে এক ফালি চাঁদ দেখতে পাওয়ার খবরের পর থেকেই। এক মাস রোজার পর আনন্দের বারতা নিয়ে বাংলাদেশে আবার এল খুশির ঈদ।

মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসব সোমবার উদযাপনে প্রস্তুত সারাদেশ; সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে দীর্ঘ ছুটিতে গ্রামে প্রিয়জনের কাছে পৌঁছেও গেছেন মানুষ। নগরী ও শহরে যারা রয়ে গেছেন তারাও দীর্ঘ অবকাশে পরিবার, প্রতিবেশী ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ আয়োজনের ব্যবস্থা করে রেখেছেন।

আগের রোজার ঈদে ছুটি ছিল ছয় দিনের, সঙ্গে যোগ হয়েছিল বাংলা নববর্ষ উদযাপনের উপলক্ষ। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাহী আদেশে ৩ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণায় অন্তত ৯ দিনের ছুটি পেয়েছেন চাকরিজীবীরা। আবার ২৬ মার্চের বন্ধের পর যারা বৃহস্পতিবার ছুটি নিতে পেরেছেন তারা পেয়েছেন আরও দুদিন বেশি।

এ লম্বা ছুটি আর মহাসড়কগুলোর বাকি থাকা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার ফলে এবার স্বস্তি আর নির্বিঘ্নে গ্রামে ফিরতে পেরেছেন ঘরমুখো লাখো মানুষ। শেষ সময়েও রাজধানী ছেড়েছেন অনেকে; ফাঁকা হয়ে গেছে সদাব্যস্ত ঢাকার সড়ক।

মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় বছর কয়েক ধরে সীমিত আয়ের মানুষের ব্যয় সাশ্রয়ের অভ্যাসের মধ্যে এসেছে এবারের ঈদ। যে কারণে ঈদের কেনাকাটায় পরিবারের সবার মনও হয়ত ভরে ওঠেনি। তবু এক মাসের সিয়াম সাধনা শেষে শাওয়ালের চাঁদ দেখার খবরে ঈদের আনন্দে সেই মন খারাপের ভার কেটে গেছে। উৎসবের আয়োজনের শেষ প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন সবাই।

চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ঠিক থাকায় কয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে এবারের রোজায় অনেকটা স্বস্তি ছিল নিত্যপণ্যের বাজারেও।

Tag :
About Author Information

সাভারে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ

আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর 

প্রকাশের সময়ঃ ১২:১৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ লম্বা ছুটির ঘোষণাতেই রাঙা হতে শুরু করে যে উৎসব, তা পূর্ণতার ডানা মেলতে থাকে আকাশে এক ফালি চাঁদ দেখতে পাওয়ার খবরের পর থেকেই। এক মাস রোজার পর আনন্দের বারতা নিয়ে বাংলাদেশে আবার এল খুশির ঈদ।

মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসব সোমবার উদযাপনে প্রস্তুত সারাদেশ; সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে দীর্ঘ ছুটিতে গ্রামে প্রিয়জনের কাছে পৌঁছেও গেছেন মানুষ। নগরী ও শহরে যারা রয়ে গেছেন তারাও দীর্ঘ অবকাশে পরিবার, প্রতিবেশী ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ আয়োজনের ব্যবস্থা করে রেখেছেন।

আগের রোজার ঈদে ছুটি ছিল ছয় দিনের, সঙ্গে যোগ হয়েছিল বাংলা নববর্ষ উদযাপনের উপলক্ষ। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাহী আদেশে ৩ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণায় অন্তত ৯ দিনের ছুটি পেয়েছেন চাকরিজীবীরা। আবার ২৬ মার্চের বন্ধের পর যারা বৃহস্পতিবার ছুটি নিতে পেরেছেন তারা পেয়েছেন আরও দুদিন বেশি।

এ লম্বা ছুটি আর মহাসড়কগুলোর বাকি থাকা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার ফলে এবার স্বস্তি আর নির্বিঘ্নে গ্রামে ফিরতে পেরেছেন ঘরমুখো লাখো মানুষ। শেষ সময়েও রাজধানী ছেড়েছেন অনেকে; ফাঁকা হয়ে গেছে সদাব্যস্ত ঢাকার সড়ক।

মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় বছর কয়েক ধরে সীমিত আয়ের মানুষের ব্যয় সাশ্রয়ের অভ্যাসের মধ্যে এসেছে এবারের ঈদ। যে কারণে ঈদের কেনাকাটায় পরিবারের সবার মনও হয়ত ভরে ওঠেনি। তবু এক মাসের সিয়াম সাধনা শেষে শাওয়ালের চাঁদ দেখার খবরে ঈদের আনন্দে সেই মন খারাপের ভার কেটে গেছে। উৎসবের আয়োজনের শেষ প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন সবাই।

চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ঠিক থাকায় কয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে এবারের রোজায় অনেকটা স্বস্তি ছিল নিত্যপণ্যের বাজারেও।