০৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভয়াবহ পানি সংকটে গাজাবাসি

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১২:৪৫:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ ইসরায়েলি কোম্পানি মেকোরোট গাজা উপত্যকায় পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে অবরুদ্ধ উপত্যাকাটির মোট পানি সরবরাহের ৭০ শতাংশ বন্ধ হয়ে গেছে।

গাজা পৌরসভার মুখপাত্র হোসনি মেহান্নার জানিয়েছে, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে পূর্ব গাজা শহরের শুজাইয়া পাড়ায় অবস্থিত প্রধান পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেখানে গত বৃহস্পতিবার থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে।

মেহান্না তুর্কি গণমাধ্যম আনাদোলুকে বলেন, এই বিঘ্নের কারণগুলো এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করছি যাতে এলাকায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের কারণে পাইপলাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, এই বিঘ্ন সরাসরি সামরিক কার্যকলাপের কারণে হতে পারে অথবা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ইচ্ছাকৃত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে হতে পারে।

মেহান্না সতর্ক করে বলেছেন, কারণ যাই হোক না কেন এর পরিণতি ভয়াবহ।

যদি মেকোরোট থেকে পানি প্রবাহ শীঘ্রই চালু করা না হয়, তাহলে গাজা ভয়ংকর পানি সংকটের মুখোমুখি হবে।

বছরের পর বছর ধরে অবরোধ, অবকাঠামোগত ধস এবং ভূগর্ভস্থ পানির দূষণের কারণে গাজা ইতোমধ্যেই বিশুদ্ধ পানির দীর্ঘস্থায়ী সংকটে ভুগছে, মানবিক পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত থাকায় এখন ব্যাপক পানিশূন্যতার ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সামরিক আক্রমণে গাজায় ৫০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির পর মার্চ মাসে সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু হয়।

Tag :
About Author Information

ভয়াবহ পানি সংকটে গাজাবাসি

প্রকাশের সময়ঃ ১২:৪৫:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ ইসরায়েলি কোম্পানি মেকোরোট গাজা উপত্যকায় পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে অবরুদ্ধ উপত্যাকাটির মোট পানি সরবরাহের ৭০ শতাংশ বন্ধ হয়ে গেছে।

গাজা পৌরসভার মুখপাত্র হোসনি মেহান্নার জানিয়েছে, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে পূর্ব গাজা শহরের শুজাইয়া পাড়ায় অবস্থিত প্রধান পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেখানে গত বৃহস্পতিবার থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে।

মেহান্না তুর্কি গণমাধ্যম আনাদোলুকে বলেন, এই বিঘ্নের কারণগুলো এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করছি যাতে এলাকায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের কারণে পাইপলাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, এই বিঘ্ন সরাসরি সামরিক কার্যকলাপের কারণে হতে পারে অথবা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ইচ্ছাকৃত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে হতে পারে।

মেহান্না সতর্ক করে বলেছেন, কারণ যাই হোক না কেন এর পরিণতি ভয়াবহ।

যদি মেকোরোট থেকে পানি প্রবাহ শীঘ্রই চালু করা না হয়, তাহলে গাজা ভয়ংকর পানি সংকটের মুখোমুখি হবে।

বছরের পর বছর ধরে অবরোধ, অবকাঠামোগত ধস এবং ভূগর্ভস্থ পানির দূষণের কারণে গাজা ইতোমধ্যেই বিশুদ্ধ পানির দীর্ঘস্থায়ী সংকটে ভুগছে, মানবিক পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত থাকায় এখন ব্যাপক পানিশূন্যতার ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সামরিক আক্রমণে গাজায় ৫০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির পর মার্চ মাসে সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু হয়।