প্রকাশের সময়ঃ
১০:৫২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
২০৬
বার পড়া হয়েছে
নারী শ্রমিকদের এক সাথে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
ধামরাই প্রতিনিধি:
পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। ধর্ম, জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ দিনটি উদযাপন করে থাকেন। এই পহেলা বৈশাখের আগের দিন প্রায় দুই হাজার পোশাককর্মীদের নিয়ে বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করল ধামরাইয়ের (জিডিএল) গ্ল্যামার ড্রেসেস লিমিটেড নামের পোশাক কারখানা।
কারখানার পক্ষ থেকে কাজের দিনেই কর্মঘণ্টা বন্ধ রেখে শ্রমিকদের কাজে উৎসাহ ও বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরে এক ব্যতিক্রমী আয়োজন করে। কাজের ফাঁকে এমন আয়োজনে আনন্দে মেতে ওঠেন কারখানার সকাল কর্মীরা। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই গ্ল্যামার ড্রেসেস লিমিটেড কারখানায় ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়।
দেখা যায়, কারখানার পক্ষ থেকে তালপাতা, পাটখড়ি, বাঁশসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে স্টল তৈরি করা হয়েছে। আর এসব স্টলে রয়েছে হাতে বানানো ছোট গরুর গাড়ি, পাখির বাসা, কাঁথা, মাছ ধরার জাল, জমি চাষের যন্ত্রপাতি, দেশীয় বিভিন্ন পিঠাসহ বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জিনিসপত্র। এছাড়া এই আয়োজনে ছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে কারখানার শ্রমিকদের অংশগ্রহণেই মুখরিত হয়ে উঠেছিল মঞ্চ। কেউ গান গেয়ে, কেউ গানের তালে নেচে মঞ্চ মাতিয়েছেন।
কারখানা শ্রমিক হৃদয় হোসেন বলেন, আমরা সকাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ করছি। কারখানা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ আমাদের বিনোদনের এমন ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। কর্মক্ষেত্রে গ্রামের এমন হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেয়ে আমরা সবাই আনন্দিত। আমাদের কারখানায় এমন আনন্দ উদযাপনের সুযোগ পেয়ে আমরা সবাই খুশি। সকলে মিলে আনন্দ উপভোগ করছি।
শ্রমিকদের নিয়ে এমন আয়োজনের উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করেছেন কারখানার কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা জুয়েল। তিনি বলেন, আমরা মালিক-শ্রমিক সবাই মিলে একটি পরিবার। সারা বছর কাজের চাপে বিনোদনের কোনো সুযোগ থাকে না। তাই মালিকপক্ষ আমাদের নিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এমন সুযোগ করে দিয়েছেন।
হারিয়ে যাওয়া বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরে কাজের ফাঁকে শ্রমিকদের একটু আনন্দ দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য বলে জানান টেক্সটাউন গ্রুপের মহা ব্যবস্থাপক মানব সম্পদ বিভাগের জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালিদের ঐতিহ্য। গ্রাম-বাংলার হারানো ঐতিহ্য আমরা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আমাদের কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকদের নিয়ে আজ একটি ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছি। কারণ শ্রমিক ভাইয়েরা আমাদের একটি অংশ। পহেলা বৈশাখ কারখানা বন্ধ থাকবে বিধায় আজকে কর্মঘণ্টা বন্ধ করে আমরা পহেলা বৈশাখের আনন্দকে উপভোগ করছি।
পোশাক কারখানাগুলোতে সঠিক সময়ে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের পাশাপাশি বছরের বিশেষ দিনগুলোতে এমন আয়োজন করা হলে শ্রমিকেরা কাজে উৎসাহ বাড়বে বলে জানান তিনি।