
জবি প্রতিনিধি, মোঃ রাসেল খান: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ফের প্রমাণিত হলো ফিন্যান্স বিভাগের প্রতি শিক্ষার্থীদের অগাধ আস্থা ও আগ্রহ।
ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকায় দেখা গেছে, ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিফট-১ এবং শিফট-৩ থেকে প্রথম স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন, এবং তাঁরা ফিন্যান্স বিভাগকেই প্রথম পছন্দ (১ম চয়েস) হিসেবে নির্বাচন করেছেন। একইভাবে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মেধাতালিকায় প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীও ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।
বিশ্লেষণে দেখা যায়,
শিফট-১ থেকে মেধাক্রম ১ থেকে ১১১ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।
শিফট-৩ থেকে মেধাক্রম ১ থেকে ১২৬ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফিন্যান্সে মনোনীত হয়েছেন।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মেধাক্রম ১ থেকে ১২ পর্যন্ত এবং
মানবিক বিভাগ থেকে মেধাক্রম ৫ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ বায়েজিদ আলী বলেন,
> “আমি শুরুতে ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত সকল শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানাই। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় যারা প্রথম স্থান অধিকার করে, তাদের বেশিরভাগই ফিন্যান্স বিভাগকে প্রথম পছন্দ হিসেবে নির্বাচন করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রতি বছর যারা মেধাতালিকায় শীর্ষে থাকে, তারাই ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়।
এখানকার পড়াশোনার মান, নিয়মিত সেমিনার, সফট স্কিল উন্নয়ন কার্যক্রম, ক্যারিয়ার বিষয়ক আলোচনা এবং ক্লাব কার্যক্রম ফিন্যান্স বিভাগকে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করেছে।
আমাদের বিভাগ কোয়ান্টিটি স্ট্র্যাটেজি মেনে চলে, কোনো সেশনজট নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না বলে আমরা আশাবাদী। ফিন্যান্স বিভাগের এই ধারাবাহিক সাফল্য বজায় থাকবে ইনশাআল্লাহ।”
এ বিষয়ে ফিন্যান্স বিভাগের ১৮তম আবর্তনের শিক্ষার্থী জাবেদ চৌধুরী বলেন,
> “বর্তমানে ফিন্যান্স বিভাগে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এর প্রধান কারণ হলো ভালো বেতনের সুযোগ, গ্লোবাল ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা, নিজস্ব ব্যবসায় দক্ষতা অর্জন এবং আর্থিক বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা। এছাড়া অর্থনীতি ও বাজার ব্যবস্থাপনায় গভীর ধারণা তৈরি হয়, যা পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে বড় সুবিধা এনে দেয়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সদস্যরা জানান, এ বছর ফিন্যান্স বিভাগে আবেদনকারীর সংখ্যা এবং মেধাবীদের উপস্থিতি অন্যান্য বিভাগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল। যা ভবিষ্যতে ফিন্যান্স বিভাগের জন্য আরও বড় সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে।
বর্তমানে ফিন্যান্স বিভাগের এই ধারাবাহিক সাফল্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সুনাম বৃদ্ধিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
অন্যান্য বিভাগের ভর্তি পরিস্থিতি:
অন্যান্য বিভাগেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে।হিসাববিজ্ঞান বিভাগে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১ম শিফটে সর্বশেষ মেধাক্রম ১২৯ পর্যন্ত এবং
৩য় শিফটে সর্বশেষ মেধাক্রম ১১২ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হিসাববিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মেধাক্রম ২৬ পর্যন্ত এবং
মানবিক বিভাগ থেকে মেধাক্রম ১২ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হিসাববিজ্ঞান বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন।
পাশাপাশি, ম্যানেজমেন্ট ও মার্কেটিং বিভাগেও শিক্ষার্থীরা উল্লেখযোগ্যভাবে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে:
১ম শিফটে ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সর্বশেষ মেধাক্রম ২৩১ পর্যন্ত এবং ৩য় শিফটে ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সর্বশেষ মেধাক্রম ২৪২ পর্যন্ত। এছাড়া
১ম শিফটে মার্কেটিং বিভাগে সর্বশেষ মেধাক্রম ২৪০ পর্যন্ত এবং ৩য় শিফটে
মার্কেটিং বিভাগে সর্বশেষ মেধাক্রম ২২৪ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা মনোনীত হয়েছেন।
এসব তথ্য স্পষ্ট করে যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের বিভাগগুলো, বিশেষ করে ফিন্যান্স, হিসাববিজ্ঞান, ম্যানেজমেন্ট এবং মার্কেটিং বিভাগে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও মনোনয়ন সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।