
সহিদুল ইসলাম বিভাগীয় প্রতিনিধি রংপুরঃ হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে দুদিনে লালমনিহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ন্যায় ১নং ভোটমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা এবং ১ নং ভোটমারী ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মাষ্টার ।
পুরো উপজেলার ন্যায় ভোটমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঝড় ও দমকা হাওয়ায় লণ্ডভণ্ড হয়েছে তিনশত ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। উপড়ে গেছে কয়েকশ’ গাছ। এ ছাড়া ঝড়ো বাতাসে আম, লিচু, ভুট্টা, গম, ধানসহ উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক । এতে ব্যবসা বাণিজ্যসহ নিম্নআয়ের মানুষরা পড়েছেন বিপাকে।
শনিবার ও রবিবার ২৭ ও ২৮ এপ্রির রাতের এ ঝড় ও দমকা হাওয়ার কবলে উপজেলার সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভোটমারী ও কাকিনা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। ঘরবাড়ির সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড়ে সবজি ক্ষেতের অভাবনীয় ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের।
বাতাসে ভুট্টা ও পাট গাছ হেলে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। হেলে পড়া ভুট্টা এবং পাট ক্ষেতের উৎপাদন অনেক কমে যাওয়ার শঙ্কা করছেন চাষিরা।
এ বিষয় ভোটমারী ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মাষ্টার বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছি। এবারের কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নের মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনশত বসতবাড়ি লন্ডভন্ডসহ ভুট্টা ও ইরি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা
ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে বলেন, ঝড়ে উপজেলার ভোটমারী এবং কাকিনা ইউনিয়নে বেশ কিছু ঘরবাড়ি, বিভিন্ন উঠতি ফসল নষ্ট হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে তালিকা মোতাবেক অর্থ ও মানবিক সাহায্য প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে হতাহতের কোনো খবর নেই বলেও জানান তিনি।