০১:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক, কারখানা মালিকদের স্বস্তি প্রকাশ

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০২:০৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

 

রাউফুর রহমান পরাগঃ আশুলিয়ায় অবস্থিত ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) বিদ্যুৎ সংকটের কারণে দুই দিন ধরে ব্যাহত হওয়া উৎপাদন কার্যক্রম আজ বুধবার সকাল থেকে আবার স্বাভাবিকভাবে চালু হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় আজ সকালে পুরোদমে উৎপাদনে ফিরেছে কারখানাগুলো। তবে কারখানা মালিকরা বলছেন গত দুই দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় তাদের জ্বালানি খরচ বাবদ অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে কয়েক কোটি টাকা।

ডিইপিজেড সূত্রে জানা গেছে, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পাওয়ার প্লান্টে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত সোমবার দুপুর থেকে ডিইপিজেড এলাকায় বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি কারখানায়।

পরে বিকল্প উৎস হিসেবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহ শুরু হয়। ধাপে ধাপে সরবরাহ বাড়িয়ে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক শরীফুল ইসলাম বলেন, “সোমবার থেকে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সীমিত পরিসরে বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও উৎপাদনের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। কয়েকটি কারখানা জেনারেটর চালিয়ে আংশিক কার্যক্রম চালিয়ে নেয়। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যায়।”

তিনি আরও জানান, ‘উর্ধ্বতন বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা ডিইপিজেডের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছেন।’

বর্তমানে ডিইপিজেডের সব কারখানায় পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

মধুখালীতে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময় সভা

ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক, কারখানা মালিকদের স্বস্তি প্রকাশ

প্রকাশের সময়ঃ ০২:০৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

রাউফুর রহমান পরাগঃ আশুলিয়ায় অবস্থিত ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) বিদ্যুৎ সংকটের কারণে দুই দিন ধরে ব্যাহত হওয়া উৎপাদন কার্যক্রম আজ বুধবার সকাল থেকে আবার স্বাভাবিকভাবে চালু হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় আজ সকালে পুরোদমে উৎপাদনে ফিরেছে কারখানাগুলো। তবে কারখানা মালিকরা বলছেন গত দুই দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় তাদের জ্বালানি খরচ বাবদ অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে কয়েক কোটি টাকা।

ডিইপিজেড সূত্রে জানা গেছে, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পাওয়ার প্লান্টে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত সোমবার দুপুর থেকে ডিইপিজেড এলাকায় বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি কারখানায়।

পরে বিকল্প উৎস হিসেবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহ শুরু হয়। ধাপে ধাপে সরবরাহ বাড়িয়ে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক শরীফুল ইসলাম বলেন, “সোমবার থেকে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সীমিত পরিসরে বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও উৎপাদনের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। কয়েকটি কারখানা জেনারেটর চালিয়ে আংশিক কার্যক্রম চালিয়ে নেয়। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যায়।”

তিনি আরও জানান, ‘উর্ধ্বতন বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা ডিইপিজেডের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছেন।’

বর্তমানে ডিইপিজেডের সব কারখানায় পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।