
জাবি প্রতিনিধিঃ ৩২ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটগ্রহণ শেষে সেদিন রাতেই গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. খন্দকার লুৎফুল এলাহী, অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা এবং নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. রাশিদুল আলম।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। এর আগে রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তফসিল ঘোষণার কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
উপাচার্য বলেন, “জাকসুর গঠনতন্ত্রের ৮(খ) ধারার আলোকে একই দিনে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী:
আগামী ১২ মে খসড়া ভোটার তালিকা ও খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ, ২১ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খসড়া ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি গ্রহণ ও খসড়া আচরণবিধি সম্পর্কে মতামত গ্রহণের শেষ তারিখ, ৩০ জুন চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ, ১ জুলাই থেকে ৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমাদান কার্যক্রম চলবে (প্রার্থী কিংবা তার প্রতিনিধি কর্তৃক)।
এ ছাড়া ৯ জুলাই মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ১১ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্রের বৈধতা এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ, ১৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত আপিলের শুনানি গ্রহণ ও আপিলের রায় ঘোষণা, ১৪ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ, ১৫ জুলাই প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ, ১৬ জুলাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ এবং একই তারিখ থেকে ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণার কার্যক্রম চলবে।
সবশেষ, ৩১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ এবং এদিন রাতে ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ তিন দশক ধরে জাকসু না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে শিক্ষার্থীদের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পাচ্ছে।