রাউফুর রহমান পরাগঃ আশুলিয়া এলাকায় গভীর রাতে দীর্ঘ সময়ের লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত একটানা বিদ্যুৎ না থাকায় ঘুম, নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বিপাকে পড়েছে আশুলিয়া ও এর আশপাশের এলাকার মানুষ।
নির্বিচারে এই লোডশেডিংয়ে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রচণ্ড গরমে ঘরে থাকা দায় হয়ে উঠেছে, আবার বাহিরেও নিরাপত্তার অভাব। বাইপাইল, জামগড়া, আরিচা রোড, নবীনগর ও এর আশেপাশের এলাকার অনেক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, প্রায় প্রতিদিনই একাধিকবার বিদ্যুৎ চলে যায় এবং গভীর রাতে লোডশেডিং স্থায়ী হয় ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত।
স্থানীয় এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, “সারাদিন কাজের পর রাতে একটু ঘুমাতে চাই। কিন্তু রাত ১২টা নাই, ১টা ২টা নাই যখন তখন কারেন্ট চইলা যায়, গরমে ঘুমাইবার পারি না। সকালে আবার ডিউটিতে যাইতে হয়—শরীল ভাইঙ্গা যাইতাছে।”
অন্যদিকে এলাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, গভীর রাতে দোকান বা গোডাউনে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বেড়েছে। অন্ধকারে বাড়ছে চুরি ও সন্ত্রাসের ঝুঁকি। অনেকেই ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইনভার্টার বা জেনারেটর স্থাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা সবার সাধ্যের মধ্যে নেই।
আশুলিয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, “জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং চলছে। তাছাড়া পাশেই ডিইপিজেড মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট এলাকা, সেখানকার নিরবচ্ছিন্ন একটা লোড সাপ্লাই তো আছেই। আমরা চেষ্টা করছি যেন রাতের সময়টাতে কম বিভ্রাট হয়, তবে অচিরেই এ লোডশেডিং সমস্যা কমে যাবে।”
স্থানীয় জনসাধারণের দাবি, নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হোক, যাতে মানুষ অন্তত নিজেদের প্রস্তুত রাখতে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho