সহিদুল ইসলাম বিভাগীয় প্রতিনিধি রংপুর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি তৎকালীন প্রক্টর অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান রাসেলকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এনিয়ে ওই মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে তাজহাট থানা পুলিশ।
বুধবার (৭ মে) দিবাগত রাত ২টায় নিজ বাসা থেকে রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম সরদার।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুধবার (৭ মে) বিস্ফোরক আইনে ৭১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বেরোবি রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশীদ। মামলার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেসপাস শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোক্তারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ৩৬ জন শিক্ষার্থী, ২ জন শিক্ষক, ১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীসহ আরও অনেকে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৮০-১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ ও ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত করেন। ১১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদের ওপর আক্রমণ করা হয়। ১৬ জুলাই পুলিশ ও বহিরাগত অজ্ঞাতনামা ৮০ থেকে ১০০ জন আসামি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, লাঠিসোঁটা, রড, ছুরি, রামদা, কিরিচসহ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। পুলিশও নিরস্ত্র ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করে।
তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম সরদার বলেন, কোটা আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho