5:24 am, Friday, 23 May 2025

শারীরিক ও স্থানীয় প্রতিবন্ধকতা পিছনে ফেলে মধুপুরের ইউএনওর পথচলা

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ 07:37:54 pm, Thursday, 8 May 2025
  • 172 বার পড়া হয়েছে

 

আঃ হামিদ মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ দেশের সাধারণ জনগণের কাছাকাছি সরকারি সেবা পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা। জুলাই – আগষ্ট ছাত্র -জনতার বিপ্লব পরবর্তী একাধারে উপজেলার ইউএনও,সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি , উপজেলা পরিষদের প্রশাসক এবং পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে কাজ করছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা সরকারি সকল সিদ্ধান্তের সঠিক বাস্তবায়নসহ জনগণের  প্রকৃত সেবায় নিয়োজিত হবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দায়িত্বের বাইরে গিয়েও অনেক সময় যখন কোনো কোনো সরকারি কর্মকর্তা সাধারণ জনগণকে ভালো রাখার জন্য দিন রাত কাজ করেন আর তাঁদের কাজের ধারাবাহিক গতি যখন মনে দাগ লাগার মতো হয় তখন তাঁরা সাধারণ জনগণসহ আপামর জনতার শ্রদ্ধার পাত্রে পরিণত হন। এমনই একজন টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জুবায়ের হোসেন । যিনি ২০০৪ সালের গ্রামীণ অপচিকিৎসায় বাম হাত হারান মাত্র ১৪ বছর বয়সে। নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নিজ কর্মগুণ ও চেষ্টায় হয়েছেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য।

চাকরির শুরু হয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে। সহকারী কমিশনার( ভূমি) হিসেবে কাজ করেছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে। তিনি জয় করেছেন মধুপুর বাসীর মন।

উপজেলার পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করছেন যেমন রাস্তাঘাট,ড্রেন নির্মাণ, টিআর কাবিখা কাজ পরিদর্শন,হাটবাজারের উন্নয়ন।

মধুপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তিনি উপজেলার উন্নয়নে অসংখ্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার কাছে আসা সব সেবা প্রার্থীকে তিনি হাসিমুখে কাঙ্খিত সেবা দেওয়ার চেষ্টা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে সম্পূর্ণরূপে দালালমুক্ত হয়ে সরকারি সেবা পেতে পারে সেই উদ্যোগ নিয়েছেন। উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। মধুপুর উপজেলা ও পৌরসভাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছেন তিনি। জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

৩৫ তম বিসিএসের এই কর্মকর্তা ২০২৪ সালের ০৮ ফেব্রুয়ারিতে মধুপুর যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সরকারি খাস জমি উদ্ধার, শিক্ষার মান বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন, অবৈধ ফুটপাত দখলমুক্তকরণ, যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বাধিক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ এবং সাধারণ মানুষের সরকারি সেবা নিশ্চিত করাসহ সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করে ইতিমধ্যে তিনি উপজেলায় একজন মানবিক কর্মকর্তা হিসেবে সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, যোগদানের পর তিনি উপজেলার বনের খাস জমি,রেকর্ডীয় খাসজমি উদ্ধারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেন। মোঃজুবায়ের হোসেন মধুপুরে যোগদানের পর উপজেলার শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারি কাজে উপজেলার বিভিন্ন।

প্রান্তে উপস্থিতির পাশাপাশি তিনি‌ প্রায়ই বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজ পরিদর্শন করছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে শিক্ষকদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে করণীয় নির্ধারণে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন।

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান উন্নয়নে নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা যাতে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ইংরেজি শিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারে সে জন্য তিনি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব,ডিবেটিং ক্লাবের উদ্বোধন করেছেন।

অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করতে না‌ পারে এজন্য তিনি নিয়মিত জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন।
মধুপুর উপজেলা পাহাড়ী লাল মাটি এবং পাহাড়ী টিলা কাটা বন্ধে তিনি দিনরাত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে উপজেলায় নজির স্থাপন করেছেন এবং অনেক টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন।

মধুপুর উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসাবস। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এলাকায় ইতিমধ্যে ৩৮ টি বাড়ি,৪২ জনকে বাই সাইকেল,হাস মুরগি, গরু ও ৮০০ জনকে সরকারি শিক্ষাবৃত্তি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উপকারভোগী নির্বাচন করেছেন।

এসব উন্নয়ন কাজ অনিয়ম দূর করতে গিয়ে স্থানীয় কিছু ব্যক্তির রোষানলে ও পড়ছেন। কিন্তু সকল প্রতিবন্ধকতা পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন স্ব মহিমায় এই নির্ভীক কর্মবীর।

উপজেলার গারোবাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, এই বাজার সৃষ্টি অব্দি এতো বেশি উন্নয়ন কোন উপজেলা নির্বাহী অফিসার করেনি।
বাজারের ড্রেন নির্মাণ ইটের সলিংকরণ সবই উনার হাত ধরে হয়েছে।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি মধুপুর উপজেলা ‌শাখার সভাপতি ও কালা মাঝি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাশার বলেন, আমাদের উপজেলার ইতিহাসে এমন জনবান্ধব ইউএনও আমরা আগে দেখিনি। তিনি অল্প কয়েকদিনে যেভাবে সকলের ভালোবাসা পেয়েছেন, তাঁর মতো এমন ভালো লোকের কারণেই এই দেশ একদিন উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাবে। তিনি উপজেলার সকল মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আলী ফরিদ বলেন, আমাদের বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার একজন ব্যতিক্রমী জনবান্ধব কর্মকর্তা। তিনি মধুপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। নির্ভীকভাবে ছুটে চলেছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। ‌ প্রতিদিন হাসিমুখে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন দর্শনার্থীদের। এমন জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পেয়ে সত্যিই আমরা খুবই আনন্দিত।উনি প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিনই শেষ করেন।পেন্ডিং বলতে উনার কিছু নেই।

ইউএনও’র এসব সাফল্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মধুপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক জলিল বলেন, সরকারের মাঠ প্রশাসনের একজন  কর্মকর্তা এবং মানবসেবক হিসেবে মধুপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা অসাধারণ একজন মানুষ। সরকারের অর্পিত প্রতিটি দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে তিনি সঠিক ভাবে পালন করে যাচ্ছেন।

জুলাই – আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী একটি কঠিন সময়ে তিনি অত্যন্ত সুন্দর ও সফলভাবে তাঁর পেশাদারিত্ব ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে সবকিছু ম্যানেজ করেছেন।‌ নিজ কর্ম গুণে তিনি মানুষের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। তার আন্তরিকতা ও ভালোবাসায় উপজেলার আপামর জনসাধারণ মুগ্ধ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃজুবায়ের হোসেন বলেন , সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সব সময় চেষ্টা করি মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের। জেনে বুঝে কখনো আমার দায়িত্বে অবহেলা করিনি। মাঠ প্রশাসনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে গ্রামের প্রান্তিক মানুষের সাথে কাজ করার এই সুযোগ।এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাচ্ছি না।

তিনি আরও বলেন, এই উপজেলার মানুষ খুবই আন্তরিক। ‌ যেকোনো প্রয়োজনে জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের সহযোগিতা পাওয়া যায়। ‌যতদিন মধুপুর উপজেলায় আছি মানুষের জীবনযাত্রাসহ উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাব। তিনি দায়িত্ব পালনে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীদের, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চান তিনি।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

শারীরিক ও স্থানীয় প্রতিবন্ধকতা পিছনে ফেলে মধুপুরের ইউএনওর পথচলা

প্রকাশের সময়ঃ 07:37:54 pm, Thursday, 8 May 2025

 

আঃ হামিদ মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ দেশের সাধারণ জনগণের কাছাকাছি সরকারি সেবা পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা। জুলাই – আগষ্ট ছাত্র -জনতার বিপ্লব পরবর্তী একাধারে উপজেলার ইউএনও,সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি , উপজেলা পরিষদের প্রশাসক এবং পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে কাজ করছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা সরকারি সকল সিদ্ধান্তের সঠিক বাস্তবায়নসহ জনগণের  প্রকৃত সেবায় নিয়োজিত হবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দায়িত্বের বাইরে গিয়েও অনেক সময় যখন কোনো কোনো সরকারি কর্মকর্তা সাধারণ জনগণকে ভালো রাখার জন্য দিন রাত কাজ করেন আর তাঁদের কাজের ধারাবাহিক গতি যখন মনে দাগ লাগার মতো হয় তখন তাঁরা সাধারণ জনগণসহ আপামর জনতার শ্রদ্ধার পাত্রে পরিণত হন। এমনই একজন টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জুবায়ের হোসেন । যিনি ২০০৪ সালের গ্রামীণ অপচিকিৎসায় বাম হাত হারান মাত্র ১৪ বছর বয়সে। নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নিজ কর্মগুণ ও চেষ্টায় হয়েছেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য।

চাকরির শুরু হয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে। সহকারী কমিশনার( ভূমি) হিসেবে কাজ করেছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে। তিনি জয় করেছেন মধুপুর বাসীর মন।

উপজেলার পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করছেন যেমন রাস্তাঘাট,ড্রেন নির্মাণ, টিআর কাবিখা কাজ পরিদর্শন,হাটবাজারের উন্নয়ন।

মধুপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তিনি উপজেলার উন্নয়নে অসংখ্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার কাছে আসা সব সেবা প্রার্থীকে তিনি হাসিমুখে কাঙ্খিত সেবা দেওয়ার চেষ্টা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে সম্পূর্ণরূপে দালালমুক্ত হয়ে সরকারি সেবা পেতে পারে সেই উদ্যোগ নিয়েছেন। উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। মধুপুর উপজেলা ও পৌরসভাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছেন তিনি। জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

৩৫ তম বিসিএসের এই কর্মকর্তা ২০২৪ সালের ০৮ ফেব্রুয়ারিতে মধুপুর যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সরকারি খাস জমি উদ্ধার, শিক্ষার মান বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন, অবৈধ ফুটপাত দখলমুক্তকরণ, যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বাধিক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ এবং সাধারণ মানুষের সরকারি সেবা নিশ্চিত করাসহ সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করে ইতিমধ্যে তিনি উপজেলায় একজন মানবিক কর্মকর্তা হিসেবে সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, যোগদানের পর তিনি উপজেলার বনের খাস জমি,রেকর্ডীয় খাসজমি উদ্ধারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেন। মোঃজুবায়ের হোসেন মধুপুরে যোগদানের পর উপজেলার শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারি কাজে উপজেলার বিভিন্ন।

প্রান্তে উপস্থিতির পাশাপাশি তিনি‌ প্রায়ই বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজ পরিদর্শন করছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে শিক্ষকদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে করণীয় নির্ধারণে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন।

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান উন্নয়নে নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা যাতে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ইংরেজি শিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারে সে জন্য তিনি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব,ডিবেটিং ক্লাবের উদ্বোধন করেছেন।

অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করতে না‌ পারে এজন্য তিনি নিয়মিত জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন।
মধুপুর উপজেলা পাহাড়ী লাল মাটি এবং পাহাড়ী টিলা কাটা বন্ধে তিনি দিনরাত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে উপজেলায় নজির স্থাপন করেছেন এবং অনেক টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন।

মধুপুর উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসাবস। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এলাকায় ইতিমধ্যে ৩৮ টি বাড়ি,৪২ জনকে বাই সাইকেল,হাস মুরগি, গরু ও ৮০০ জনকে সরকারি শিক্ষাবৃত্তি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উপকারভোগী নির্বাচন করেছেন।

এসব উন্নয়ন কাজ অনিয়ম দূর করতে গিয়ে স্থানীয় কিছু ব্যক্তির রোষানলে ও পড়ছেন। কিন্তু সকল প্রতিবন্ধকতা পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন স্ব মহিমায় এই নির্ভীক কর্মবীর।

উপজেলার গারোবাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, এই বাজার সৃষ্টি অব্দি এতো বেশি উন্নয়ন কোন উপজেলা নির্বাহী অফিসার করেনি।
বাজারের ড্রেন নির্মাণ ইটের সলিংকরণ সবই উনার হাত ধরে হয়েছে।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি মধুপুর উপজেলা ‌শাখার সভাপতি ও কালা মাঝি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাশার বলেন, আমাদের উপজেলার ইতিহাসে এমন জনবান্ধব ইউএনও আমরা আগে দেখিনি। তিনি অল্প কয়েকদিনে যেভাবে সকলের ভালোবাসা পেয়েছেন, তাঁর মতো এমন ভালো লোকের কারণেই এই দেশ একদিন উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাবে। তিনি উপজেলার সকল মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আলী ফরিদ বলেন, আমাদের বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার একজন ব্যতিক্রমী জনবান্ধব কর্মকর্তা। তিনি মধুপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। নির্ভীকভাবে ছুটে চলেছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। ‌ প্রতিদিন হাসিমুখে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন দর্শনার্থীদের। এমন জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পেয়ে সত্যিই আমরা খুবই আনন্দিত।উনি প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিনই শেষ করেন।পেন্ডিং বলতে উনার কিছু নেই।

ইউএনও’র এসব সাফল্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মধুপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক জলিল বলেন, সরকারের মাঠ প্রশাসনের একজন  কর্মকর্তা এবং মানবসেবক হিসেবে মধুপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা অসাধারণ একজন মানুষ। সরকারের অর্পিত প্রতিটি দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে তিনি সঠিক ভাবে পালন করে যাচ্ছেন।

জুলাই – আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী একটি কঠিন সময়ে তিনি অত্যন্ত সুন্দর ও সফলভাবে তাঁর পেশাদারিত্ব ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে সবকিছু ম্যানেজ করেছেন।‌ নিজ কর্ম গুণে তিনি মানুষের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। তার আন্তরিকতা ও ভালোবাসায় উপজেলার আপামর জনসাধারণ মুগ্ধ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃজুবায়ের হোসেন বলেন , সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সব সময় চেষ্টা করি মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের। জেনে বুঝে কখনো আমার দায়িত্বে অবহেলা করিনি। মাঠ প্রশাসনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে গ্রামের প্রান্তিক মানুষের সাথে কাজ করার এই সুযোগ।এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাচ্ছি না।

তিনি আরও বলেন, এই উপজেলার মানুষ খুবই আন্তরিক। ‌ যেকোনো প্রয়োজনে জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের সহযোগিতা পাওয়া যায়। ‌যতদিন মধুপুর উপজেলায় আছি মানুষের জীবনযাত্রাসহ উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাব। তিনি দায়িত্ব পালনে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীদের, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চান তিনি।