০১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জবি শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরলেও নিশ্চুপ উপদেষ্টাগণ, প্রতিবাদের ভাষায় ফুঁসছে শিক্ষার্থীরা

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১১:২২:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

 

জবি প্রতিনিধি,মোঃ রাসেল খান: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে পুরো শিক্ষার্থী সমাজ। রাজপথে দিনের পর দিন দাবি আদায়ের সংগ্রামে অংশ নেওয়া তরুণ উপদেষ্টাদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী দীপ্তি চৌধুরী সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“কয়দিন আগে যারা রাজপথে নির্যাতিত হয়েছে দাবি আদায়ের আন্দোলনে, তারা কেমন করে সারাদিন জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত হওয়া দেখে চুপ করে থাকলো!”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “জগন্নাথে চান্স পেতে যেখানে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয়, সেখানে দিনের পর দিন রাষ্ট্র যদি অবহেলা করে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় করার দরকারটা কী ছিল?”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা সংকট, আবাসন সমস্যা, অবকাঠামোগত দুরবস্থা, এবং ছাত্রদের জন্য রাজনৈতিক দখলদারির বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই ক্ষোভ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, একটি ফ্লোরে তিন-চারটি বিভাগের ক্লাস, এমনকি বাসস্টেশন বানিয়ে দেওয়া প্রধান ফটকের অপ্রতুলতা তাদের প্রতিনিয়ত ভোগাচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, তরুণ উপদেষ্টারা কি শুধু নির্দিষ্ট কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি? জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা যখন রক্তাক্ত, তখন সেই তরুণ প্রতিনিধিরা কোথায় ছিলেন?

ফিন্যান্স বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী জাবেদ হোসাইন চৌধুরী বলেন,
“সারাদিন বৃষ্টিতে ভেজা রক্তাক্ত শিক্ষার্থীদের আপনি অফিস শেষে বাসায় যাওয়ার আগে সুশীল আশার বাণী শুনাইতে আসলেন… অভ্যুত্থানের টগবগে রক্ত।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

ইসরায়েলি হামলায় বেড়েই চলছে মৃত্যুর মিছিল, একদিনে ৭৮ জন নিহত 

জবি শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরলেও নিশ্চুপ উপদেষ্টাগণ, প্রতিবাদের ভাষায় ফুঁসছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশের সময়ঃ ১১:২২:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

 

জবি প্রতিনিধি,মোঃ রাসেল খান: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে পুরো শিক্ষার্থী সমাজ। রাজপথে দিনের পর দিন দাবি আদায়ের সংগ্রামে অংশ নেওয়া তরুণ উপদেষ্টাদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী দীপ্তি চৌধুরী সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“কয়দিন আগে যারা রাজপথে নির্যাতিত হয়েছে দাবি আদায়ের আন্দোলনে, তারা কেমন করে সারাদিন জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত হওয়া দেখে চুপ করে থাকলো!”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “জগন্নাথে চান্স পেতে যেখানে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয়, সেখানে দিনের পর দিন রাষ্ট্র যদি অবহেলা করে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় করার দরকারটা কী ছিল?”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা সংকট, আবাসন সমস্যা, অবকাঠামোগত দুরবস্থা, এবং ছাত্রদের জন্য রাজনৈতিক দখলদারির বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই ক্ষোভ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, একটি ফ্লোরে তিন-চারটি বিভাগের ক্লাস, এমনকি বাসস্টেশন বানিয়ে দেওয়া প্রধান ফটকের অপ্রতুলতা তাদের প্রতিনিয়ত ভোগাচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, তরুণ উপদেষ্টারা কি শুধু নির্দিষ্ট কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি? জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা যখন রক্তাক্ত, তখন সেই তরুণ প্রতিনিধিরা কোথায় ছিলেন?

ফিন্যান্স বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী জাবেদ হোসাইন চৌধুরী বলেন,
“সারাদিন বৃষ্টিতে ভেজা রক্তাক্ত শিক্ষার্থীদের আপনি অফিস শেষে বাসায় যাওয়ার আগে সুশীল আশার বাণী শুনাইতে আসলেন… অভ্যুত্থানের টগবগে রক্ত।