
ডেস্ক নিউজঃ উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র, সৃষ্টি হয়েছে ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কা।
এ অবস্থায় দেশের চারটি সমুদ্র বন্দর—চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রাকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ভোলা জেলায় সকাল থেকেই নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে এবং নদীগুলো বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে।
আকাশে কখনও মেঘ, আবার কখনও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করছে। কোথাও কোথাও হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হয়েছে।
সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ)।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ইতোমধ্যে প্রাথমিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
কর্মকর্তাদের সতর্ক রাখা হয়েছে এবং জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জিও ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে।
ভোলা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উপপরিচালক সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার ১৩ হাজার ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি শনিবার (২৪ মে) সকালে একটি জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সভা আহ্বান করা হয়েছে।
এছাড়া জেলায় দুর্যোগকালে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ১৯টি কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলের সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা সময়মতো নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস পাওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন এবং প্রশাসনের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।