০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

 

শেরপুরঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার “দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র” পরিদর্শন করেন অর্ন্তবর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

২৬ মে সোমবার সকালে নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের প্রস্তাবিত দাওধারা পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি।

হাতি-মানুষের দ্বন্ধ নিরসনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্ন্তবর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “হাতিতো আপনার, আমার ভাষা বুঝবেনা। হাতি বসবাসের কতটুকু জায়গা উপযুক্ত হলে, হাতি সেই জায়গা থেকে বের হয়ে আসবেনা-এটাই হচ্ছে যুগোপযোগী কথা। এটাই হচ্ছে বৈজ্ঞানিক কথা। এখানে আবিস্কারের কোন প্রয়োজন নেই”।

পরে মধুটিলা ইকোপার্কে জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে হাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণকারী দুটি পরিবারকে ৩লাখ করে ৬লাখ টাকার অনুদানের চেক প্রদান করেন।

এসময়  প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বন সংরক্ষক এএসএম জহির উদ্দিন আকন, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. শাহীন কবির, পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড.মোহাম্মদ আলী রেজা খান, সহকারি বন সংরক্ষক মো. সাদেকুল ইসলাম খান, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি সহ বিভিন্ন রেঞ্জের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলার “দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্রটি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে বনবিভাগ ও জেলা প্রশাসনের মধ্য বিরোধ চলে আসছে। বন বিভাগ বলছে, সেখানকার জমিটুকু ডিসি খাঁস হলেও জায়গাটি পাহাড় ব্যাস্টিত ও হাতির আশ্রয়স্থল। ওখানে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হলে বন্যহাতির আশ্রয়স্থল হারিয়ে লেকালয়ে চলে আসবে। এতে মানুষ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিরোধপূর্ণ বিষয়টি সরেজমিনে দেখার জন্যেই অর্ন্তবর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ঘটনাস্থলে আসেন। তবে এলাকাবাসী ও জেলা প্রশাসন সেখানে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

দেবহাটা জলবদ্ধতা নিরাসনে অবৈধ নেট,পাটা, অপসারণ করলেন নির্বাহী কর্মকর্তা

শেরপুরে গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

প্রকাশের সময়ঃ ০৫:২৩:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

শেরপুরঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার “দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র” পরিদর্শন করেন অর্ন্তবর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

২৬ মে সোমবার সকালে নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের প্রস্তাবিত দাওধারা পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি।

হাতি-মানুষের দ্বন্ধ নিরসনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্ন্তবর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “হাতিতো আপনার, আমার ভাষা বুঝবেনা। হাতি বসবাসের কতটুকু জায়গা উপযুক্ত হলে, হাতি সেই জায়গা থেকে বের হয়ে আসবেনা-এটাই হচ্ছে যুগোপযোগী কথা। এটাই হচ্ছে বৈজ্ঞানিক কথা। এখানে আবিস্কারের কোন প্রয়োজন নেই”।

পরে মধুটিলা ইকোপার্কে জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে হাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণকারী দুটি পরিবারকে ৩লাখ করে ৬লাখ টাকার অনুদানের চেক প্রদান করেন।

এসময়  প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বন সংরক্ষক এএসএম জহির উদ্দিন আকন, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. শাহীন কবির, পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড.মোহাম্মদ আলী রেজা খান, সহকারি বন সংরক্ষক মো. সাদেকুল ইসলাম খান, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি সহ বিভিন্ন রেঞ্জের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলার “দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্রটি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে বনবিভাগ ও জেলা প্রশাসনের মধ্য বিরোধ চলে আসছে। বন বিভাগ বলছে, সেখানকার জমিটুকু ডিসি খাঁস হলেও জায়গাটি পাহাড় ব্যাস্টিত ও হাতির আশ্রয়স্থল। ওখানে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হলে বন্যহাতির আশ্রয়স্থল হারিয়ে লেকালয়ে চলে আসবে। এতে মানুষ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিরোধপূর্ণ বিষয়টি সরেজমিনে দেখার জন্যেই অর্ন্তবর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ঘটনাস্থলে আসেন। তবে এলাকাবাসী ও জেলা প্রশাসন সেখানে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।