০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে ঝড়ে ভেঙে যায় অসহায় বিধবা আনোয়ারা বেগমের বসতঘর: ভাঙ্গা ঘরে মানবেতর জীবন

 

শেরপুরঃ শেরপুরে হঠাৎ ঝড়ের তান্ডবে সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের হোসেনখিলা গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৭০) নামে এক অসহায় বিধবা মহিলার বসতঘরটি ভেঙে যায়। বিধবা আনোয়ারা বেগম মৃত আব্দুল মুন্নাফের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি অনেক কষ্টে ভাঙ্গা ঘরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

জানা যায়, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে গত ১০ জুন মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি। আর সেই ঝড়ে ভেঙে যায় ওই অসহায় বিধবা মহিলার একমাত্র থাকার বসত ঘরটি। এখন ভাঙ্গা ঘরেই রাত কাটাচ্ছেন অসহায় বিধবা আনোয়ারা বেগম।

১২ জুন বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের হোসেনখিলা গ্রামের বাসিন্দা বিধবা আনোয়ারা বেগমের বসতঘরটি ঝড়- তুফানে ভেঙে মাটিতে পরে রয়েছে। আর সেই ভাঙ্গা ঘরেই অনেক কষ্টে রাত কাটাচ্ছেন ওই অসহায় বিধবা মহিলা।

বিধবা আনোয়ারা বেগম বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে এশার নামাজ পরে আমি আর আমার মেয়ে একসাথে ঘুমাইছি, রাতে ঝড়- তুফান উঠছে আমি কানেও শুনিনা, চোখেও দেখি না, আমার মেয়ে আমারে কইতাছে তুফান আইসে, একটু পরেই কি জানি একটা শব্দ হইলো, আমি কইতাছে আমার মাথার মধ্যে পানি কয় থেকে পরতাছে পরে আমার মেয়ে আমারে কইতাছে তুফানে ঘর পরে গেছে, পরে সারারাত ভাঙ্গা ঘরেই আছিলাম, সকালে খবর পেয়ে আমার মেয়েরা আমারে ঘর থেকে বাইরে বের করে। আমি অনেক কষ্টে ভাঙ্গা ঘরেই থাকতাছি। সরকারে কাছে থাকার জন্য একটা ঘর চাই।

হোসেনখিলা গ্রামের রতন মিয়া বলেন, ঝড়ে বিধবা মহিলার বসতঘরটি ভেঙে যায়। এরআগে একবার ঝড়ে ঘরটি ভেঙে গেছিলো আমরা একাবাসী মিলে অসহায় বিধবা মহিলার ঘরটি মেরামত করে দেয়।
মঙ্গলবার রাতে ঝড়ে আবারও ঘরটি ভেঙে যায়। সে চোখেও কম দেখে এবং কানেও কম শুনে এখন তার থাকার মতো কোন ঘর নাই, অনেক কষ্টে ভাঙ্গা ঘরে থাকতাছে, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানায় সরকার যেন একটা থাকার ঘরের ব্যবস্থা করে দেন।

রমজান আলী বলেন, তিনি খুবই অসহায়, অনেক কষ্টে সে জীবন যাপন করে, ঝড়ে তার থাকার ঘরটি ভেঙে যায়। সরকার যদি একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে তার অনেক উপকার হতো।

লিটন মিয়া বলেন, তিনি একজন অসহায় মানুষ তার থাকার ঘরটি ঝড়ে ভেঙে পরে গেছে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি বিধবা মহিলারে যাতে সরকারের পক্ষ থেকে একটা থাকার ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

বিধবা মহিলার মেয়ে বিলকিস বলেন, আমার মা একজন গরীব মানুষ। সে চোখে কম দেখে এবং কানেও কম শুনে। ঝড়ে আমার মায়ের ঘরটি ভেঙে পরে যায়। পরে সকালে ভেঙে পরা ঘর থেকে আমার মাকে বের করি। আমার মায়ের থাকার কোন ঘর নাই, আমরা সরকারের কাছে একটা ঘরটা চাই।

সরকার যেন বিধবা মহিলাকে একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দেন এমনটা দাবি এলাকাবাসীর।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

শেরপুরে ঝড়ে ভেঙে যায় অসহায় বিধবা আনোয়ারা বেগমের বসতঘর: ভাঙ্গা ঘরে মানবেতর জীবন

প্রকাশের সময়ঃ ১০:২৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

 

শেরপুরঃ শেরপুরে হঠাৎ ঝড়ের তান্ডবে সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের হোসেনখিলা গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৭০) নামে এক অসহায় বিধবা মহিলার বসতঘরটি ভেঙে যায়। বিধবা আনোয়ারা বেগম মৃত আব্দুল মুন্নাফের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি অনেক কষ্টে ভাঙ্গা ঘরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

জানা যায়, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে গত ১০ জুন মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি। আর সেই ঝড়ে ভেঙে যায় ওই অসহায় বিধবা মহিলার একমাত্র থাকার বসত ঘরটি। এখন ভাঙ্গা ঘরেই রাত কাটাচ্ছেন অসহায় বিধবা আনোয়ারা বেগম।

১২ জুন বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের হোসেনখিলা গ্রামের বাসিন্দা বিধবা আনোয়ারা বেগমের বসতঘরটি ঝড়- তুফানে ভেঙে মাটিতে পরে রয়েছে। আর সেই ভাঙ্গা ঘরেই অনেক কষ্টে রাত কাটাচ্ছেন ওই অসহায় বিধবা মহিলা।

বিধবা আনোয়ারা বেগম বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে এশার নামাজ পরে আমি আর আমার মেয়ে একসাথে ঘুমাইছি, রাতে ঝড়- তুফান উঠছে আমি কানেও শুনিনা, চোখেও দেখি না, আমার মেয়ে আমারে কইতাছে তুফান আইসে, একটু পরেই কি জানি একটা শব্দ হইলো, আমি কইতাছে আমার মাথার মধ্যে পানি কয় থেকে পরতাছে পরে আমার মেয়ে আমারে কইতাছে তুফানে ঘর পরে গেছে, পরে সারারাত ভাঙ্গা ঘরেই আছিলাম, সকালে খবর পেয়ে আমার মেয়েরা আমারে ঘর থেকে বাইরে বের করে। আমি অনেক কষ্টে ভাঙ্গা ঘরেই থাকতাছি। সরকারে কাছে থাকার জন্য একটা ঘর চাই।

হোসেনখিলা গ্রামের রতন মিয়া বলেন, ঝড়ে বিধবা মহিলার বসতঘরটি ভেঙে যায়। এরআগে একবার ঝড়ে ঘরটি ভেঙে গেছিলো আমরা একাবাসী মিলে অসহায় বিধবা মহিলার ঘরটি মেরামত করে দেয়।
মঙ্গলবার রাতে ঝড়ে আবারও ঘরটি ভেঙে যায়। সে চোখেও কম দেখে এবং কানেও কম শুনে এখন তার থাকার মতো কোন ঘর নাই, অনেক কষ্টে ভাঙ্গা ঘরে থাকতাছে, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানায় সরকার যেন একটা থাকার ঘরের ব্যবস্থা করে দেন।

রমজান আলী বলেন, তিনি খুবই অসহায়, অনেক কষ্টে সে জীবন যাপন করে, ঝড়ে তার থাকার ঘরটি ভেঙে যায়। সরকার যদি একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে তার অনেক উপকার হতো।

লিটন মিয়া বলেন, তিনি একজন অসহায় মানুষ তার থাকার ঘরটি ঝড়ে ভেঙে পরে গেছে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি বিধবা মহিলারে যাতে সরকারের পক্ষ থেকে একটা থাকার ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

বিধবা মহিলার মেয়ে বিলকিস বলেন, আমার মা একজন গরীব মানুষ। সে চোখে কম দেখে এবং কানেও কম শুনে। ঝড়ে আমার মায়ের ঘরটি ভেঙে পরে যায়। পরে সকালে ভেঙে পরা ঘর থেকে আমার মাকে বের করি। আমার মায়ের থাকার কোন ঘর নাই, আমরা সরকারের কাছে একটা ঘরটা চাই।

সরকার যেন বিধবা মহিলাকে একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দেন এমনটা দাবি এলাকাবাসীর।