০৫:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার ‘ছোচা জাকির’

 

সাভারঃ আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা হাইওয়ে সড়কের পাশের ফুটপাতে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে স্থানীয় হকারদের গণপিটুনির শিকার হয়েছে মো. জাকির হোসেন (৫০) ওরফে ছোচা জাকির।

আজ শনিবার (২১ জুন) দুপুরে ছোচা জাকির ও তার সঙ্গীরা প্রতিদিনের মতো ওই এলাকায় গিয়ে হকারদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করেন। তখন ক্ষুব্ধ হকাররা একত্র হয়ে তাকে ধাওয়া করে এবং মারধর শুরু করে।

জাকির আত্মরক্ষার জন্য পাশের দারুল হাসান ট্রাস্টের একটি সিকিউরিটি কক্ষে আশ্রয় নেন। তবে উত্তেজিত জনতা সেখান থেকেও টেনে বের করে তাকে আবারও গণধোলাই দেয়।

স্থানীয় হকাররা অভিযোগ করে বলেন, ছোচা জাকির দীর্ঘদিন ধরেই নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক ও আশপাশের এলাকায় ফুটপাত থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিলো। আজকে আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে তাকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সে আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ও হকাররা চাঁদাবাজদের ধাওয়া করলে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও জাকিরকে ধরে গণধোলাই দেওয়া হয়।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার প্রত্যক্ষ মদদে এসব অবৈধ চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। যার ফলে এতদিন কেউ মুখ খুলতে সাহস করত না।

এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও জাকিরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

আশুলিয়ায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার ‘ছোচা জাকির’

আশুলিয়ায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার ‘ছোচা জাকির’

প্রকাশের সময়ঃ ১০:২৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

 

সাভারঃ আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা হাইওয়ে সড়কের পাশের ফুটপাতে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে স্থানীয় হকারদের গণপিটুনির শিকার হয়েছে মো. জাকির হোসেন (৫০) ওরফে ছোচা জাকির।

আজ শনিবার (২১ জুন) দুপুরে ছোচা জাকির ও তার সঙ্গীরা প্রতিদিনের মতো ওই এলাকায় গিয়ে হকারদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করেন। তখন ক্ষুব্ধ হকাররা একত্র হয়ে তাকে ধাওয়া করে এবং মারধর শুরু করে।

জাকির আত্মরক্ষার জন্য পাশের দারুল হাসান ট্রাস্টের একটি সিকিউরিটি কক্ষে আশ্রয় নেন। তবে উত্তেজিত জনতা সেখান থেকেও টেনে বের করে তাকে আবারও গণধোলাই দেয়।

স্থানীয় হকাররা অভিযোগ করে বলেন, ছোচা জাকির দীর্ঘদিন ধরেই নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক ও আশপাশের এলাকায় ফুটপাত থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিলো। আজকে আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে তাকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সে আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ও হকাররা চাঁদাবাজদের ধাওয়া করলে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও জাকিরকে ধরে গণধোলাই দেওয়া হয়।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার প্রত্যক্ষ মদদে এসব অবৈধ চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। যার ফলে এতদিন কেউ মুখ খুলতে সাহস করত না।

এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও জাকিরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।