০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঁচ আগষ্টের পর বন্ধ কারখানা আগে থেকেই বন্ধ ছিলো; শ্রম ও কর্মস্থান উপদেষ্টা 

ঢাকাঃ পাঁচ আগষ্টের পরে যে সমস্ত তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এগুলো কারখানা আগে থেকেই বন্ধ ছিলো বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড.এম সাখায়োত হোসেন।

মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে সাভারে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসিতে) ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড ষ্টাফ কলেজ মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট এর উদ্যোগে সামরিক বাহিনীর এক সেমিনারে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড.এম সাখায়োত হোসেন এসময় আরও বলেন,বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলোর মালিক কারখানা চালু থাকায় ব্যাক থেকে টাকা নিয়েছে সেই টাকা শ্রমিকদের বেতন দেয় নাই। কাজও করে নাই এসব কারখানার মালিকের যদি ব্যাংক হিসেব নেওয়া হয় দুই’শ থেকে তিন’শ কোটি টাকার কমে না কারণ টাকা নিয়েছে এখন ব্যাংক তাদের টাকা দেয় না।

এজন্য তারা কারখানা চালাতে পারছে না  টাকা পয়সা নিয়ে বেশির ভাগ মালিক বিদেশে চলে গেছে একটা কোম্পানী এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি যারা তিন’শ কোটি টাকা নিয়েছে ঋণ খেলাপি হয়েছে। তার পরেও ব্যাক টাকা দিয়েছে পলিটিক্স কালেকশনে ব্যাবসা করলে এরক হবে।

সব গার্মেন্টস তো বন্ধ হলে ১৭ পার্সেন এক্সপোর্ট হতো না এবং চিটাগাং পোট কুলাতে পারছে না। যে গুলো বন্ধ হয়েছে সেগুলো সাব কনট্রাকে কাজ করাতো শ্রমিকদের দিয়ে তাই খুব ডিফিকাল্ট নেই হ্যাঁ অনেক বেকরত্ব বেড়েছে তবে অনেকে আবার নতুন করে অন্য কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছে এবং বেক্সিমকো যে বন্ধ হয়েছে সেসব কারখানার শ্রমিকরা চিটাগাংসহ অন্য যায়গায় কাজে যোগ দিয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন,বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া বা অন্য কেউ কিনে নিলে তাদেরকে ব্যাংক ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা করবে কিন্তু এটা অনেক সময় লাগবে বলেও বলেন তিনি।

এসময় বাংলাদেশসহ বিশে^র চব্বিশটি দেশের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশ গ্রহণ করেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

শার্শায় বিশেষ অভিযানে মাদকসহ আটক ৪

পাঁচ আগষ্টের পর বন্ধ কারখানা আগে থেকেই বন্ধ ছিলো; শ্রম ও কর্মস্থান উপদেষ্টা 

প্রকাশের সময়ঃ ০৩:২৪:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

ঢাকাঃ পাঁচ আগষ্টের পরে যে সমস্ত তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এগুলো কারখানা আগে থেকেই বন্ধ ছিলো বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড.এম সাখায়োত হোসেন।

মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে সাভারে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসিতে) ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড ষ্টাফ কলেজ মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট এর উদ্যোগে সামরিক বাহিনীর এক সেমিনারে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড.এম সাখায়োত হোসেন এসময় আরও বলেন,বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলোর মালিক কারখানা চালু থাকায় ব্যাক থেকে টাকা নিয়েছে সেই টাকা শ্রমিকদের বেতন দেয় নাই। কাজও করে নাই এসব কারখানার মালিকের যদি ব্যাংক হিসেব নেওয়া হয় দুই’শ থেকে তিন’শ কোটি টাকার কমে না কারণ টাকা নিয়েছে এখন ব্যাংক তাদের টাকা দেয় না।

এজন্য তারা কারখানা চালাতে পারছে না  টাকা পয়সা নিয়ে বেশির ভাগ মালিক বিদেশে চলে গেছে একটা কোম্পানী এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি যারা তিন’শ কোটি টাকা নিয়েছে ঋণ খেলাপি হয়েছে। তার পরেও ব্যাক টাকা দিয়েছে পলিটিক্স কালেকশনে ব্যাবসা করলে এরক হবে।

সব গার্মেন্টস তো বন্ধ হলে ১৭ পার্সেন এক্সপোর্ট হতো না এবং চিটাগাং পোট কুলাতে পারছে না। যে গুলো বন্ধ হয়েছে সেগুলো সাব কনট্রাকে কাজ করাতো শ্রমিকদের দিয়ে তাই খুব ডিফিকাল্ট নেই হ্যাঁ অনেক বেকরত্ব বেড়েছে তবে অনেকে আবার নতুন করে অন্য কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছে এবং বেক্সিমকো যে বন্ধ হয়েছে সেসব কারখানার শ্রমিকরা চিটাগাংসহ অন্য যায়গায় কাজে যোগ দিয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন,বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া বা অন্য কেউ কিনে নিলে তাদেরকে ব্যাংক ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা করবে কিন্তু এটা অনেক সময় লাগবে বলেও বলেন তিনি।

এসময় বাংলাদেশসহ বিশে^র চব্বিশটি দেশের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশ গ্রহণ করেন।