
নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পূর্ব শিয়াচর নিবাসী দুই সন্তানের জননী রাদিয়া সুলতানা ইমা। বড় সন্তানের বয়স ১০ বছর। ছোট সন্তানের বয়স মাত্র ১৯ দিন। তিনি সরকারি তোলারাম কলেজের সমাজ কর্ম বিভাগের একজন মেধাবী ছাত্রী। এ বছর ফার্স্ট ক্লাস ফলাফল পেয়ে অনার্স শেষ করেছেন। কিন্তু তার কিছুদিন পূর্বেই ছয় মাস আগে তার স্বামী তাকে ও ফুই সন্তানকে রেখে নতুন একজনকে বিবাহ করে। সে সময় রাদিয়া সুলতানা তার দ্বিতীয় সন্তান সম্ভবা ও অন্ত:সত্ত্বা ছিলেন। উল্টো পাষন্ড স্বামী নানান হয়রানিমূলক মামলা করে তাকে নাজেহাল করে রাখে।
আর্থিক টানাপোড়ন ও পরিবারে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার মতো কেউ না থাকায় সমস্যা ও সংকটে দিন পার করছিলেন রাদিয়া সুলতানা। কিন্তু তার দৃঢ় মনোবল তাকে তার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য তাড়িত করে তোলে। দুই সন্তান মানুষ করার জন্য তিনি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান। দীর্ঘ সময় আর্থিক সংস্থান না হওয়ায় তোলারাম কলেজের মাস্টার্সে ভর্তির শেষ দিনে রবিবার (২৯ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী এর শরনাপন্ন হলে তাকে ভর্তির জন্য ৫ হাজার টাকাসহ মোট ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী। রাদিয়া সুলতানা অশ্রুসজল চোখে ইউএনও’র মানবিক আচরণের জন্য তাকে দোয়া করেন। তার এ ধরণের মানবিক কার্যক্রম দেশের মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস সচেতন মহলের।