০৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরনে দগ্ধ মা-মেয়ে, অবস্থা আশঙ্কাজনক

 

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকায় গ্যাস লাইনে লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণে মা ও মেয়ে দগ্ধ হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দিবাগত রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।

দগ্ধরা হলেন নাজমা বেগম (৪০) এবং তার মেয়ে মোছা. আফরোজা আক্তার (১৬)। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীর একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকতেন নাজমা বেগম। তাদের বাসার নিচ দিয়ে যাওয়া গ্যাস লাইনে লিকেজ ছিল। রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটার দিকে সেই লিকেজ থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে এবং এতে মা ও মেয়ে গুরুতর দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে দ্রুত জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন রুবেল খান নামে এক স্বজন। তিনি জানান, নাজমা বেগম পেশায় বাসাবাড়িতে কাজ করতেন।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, মা নাজমা বেগমের ও মেয়ে আফরোজা আক্তারের শরীরের ২২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। দুজনেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের দুজনকে হাই ডিপেন্ডেন্সি কেয়ার ইউনিট (HDU)-এ ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরনে দগ্ধ মা-মেয়ে, অবস্থা আশঙ্কাজনক

প্রকাশের সময়ঃ ১০:১৬:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

 

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকায় গ্যাস লাইনে লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণে মা ও মেয়ে দগ্ধ হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দিবাগত রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।

দগ্ধরা হলেন নাজমা বেগম (৪০) এবং তার মেয়ে মোছা. আফরোজা আক্তার (১৬)। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীর একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকতেন নাজমা বেগম। তাদের বাসার নিচ দিয়ে যাওয়া গ্যাস লাইনে লিকেজ ছিল। রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটার দিকে সেই লিকেজ থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে এবং এতে মা ও মেয়ে গুরুতর দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে দ্রুত জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন রুবেল খান নামে এক স্বজন। তিনি জানান, নাজমা বেগম পেশায় বাসাবাড়িতে কাজ করতেন।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, মা নাজমা বেগমের ও মেয়ে আফরোজা আক্তারের শরীরের ২২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। দুজনেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের দুজনকে হাই ডিপেন্ডেন্সি কেয়ার ইউনিট (HDU)-এ ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।