০৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে মুখোমুখি চীন-ভারত

আন্তর্জাতিকঃ বৌদ্ধ ধর্মগুরু হিসেবে পঞ্চদশ দালাই লামার নাম ঘোষণা চূড়ান্ত পর্যায়ে। এ উপলক্ষে রোববার (৬ জুলাই) বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। হিমাচলে অনুষ্ঠিতব্য সেই মাহেন্দ্রক্ষণের দিকে তাকিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। তবে অনুষ্ঠানটি যত না ধর্মীয়; তার চেয়ে শক্তিধর দুই দেশের কূটনৈতিক লড়াইয়ের ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচনের উদ্যোগ ঘিরে এখন মুখোমুখি ভারত-চীন। দালাই লামাকে নিয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান কিছুতেই মানতে নারাজ বেইজিং। এ নিয়ে কড়া বার্তাও পাঠিয়েছে শি জিনপিংয়ের সরকার। খবর এনডিটিভির।

তিব্বত-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে ভারতকে সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে বলেছে চীন। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর এক মন্তব্যের বিরোধিতা করে চীন এ সতর্কবার্তা পাঠায়।

সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বলেছেন, কেবল দালাই লামা এবং তার প্রতিষ্ঠিত সংগঠনেরই তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের আধ্যাত্মিক প্রধান হিসেবে তার উত্তরসূরিকে চিহ্নিত করার ক্ষমতা রয়েছে। চীনের দীর্ঘদিনের অবস্থানের বিরোধিতা করে তার এ মন্তব্যে তোলপাড় কূটনীতি পাড়া।

আজ রোববার দালাই লামার ৯০তম জন্মদিনে ধর্মশালা পরিদর্শনে যাবেন রিজিজু। এ প্রসঙ্গে এক বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, পবিত্র দালাই লামার উত্তরসূরি কে হবেন তা হস্তক্ষেপ করার বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কারও নেই। কেবল তিনি বা তার প্রতিষ্ঠানেরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তার অনুসারীরা এটি গভীরভাবে বিশ্বাস করেন।

জবাবে, চীন ভারতকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে প্রতিকূল প্রভাব এড়ানোর পরামর্শ দেয়। বলেছে, ভারত যেন কথা ও কর্মে সতর্কতা অবলম্বন করে।

বেইজিং বলেছে, তিব্বতের উত্তরাধিকার হিসেবে দালাই লামার উত্তরসূরিকে অনুমোদন করার অধিকার তাদের রয়েছে।

এদিকে রিজিজুর অবস্থানের বিরোধিতা করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে আসে। তারা বলেছে, ভারত সরকার বিশ্বাস এবং ধর্মের অনুশীলন সম্পর্কিত বিষয়ে কোনো অবস্থান নেয় না বা কথা বলে না। সরকার সর্বদা ভারতে সকলের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় রেখেছে এবং তা অব্যাহত রাখবে।

কিন্তু চীন হয়তো তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ১৪তম দালাই লামার চীন-বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী স্বভাব সম্পর্কে ভারতের স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। জিজাং (তিব্বত) সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে ভারতের প্রতিশ্রুতি মেনে চলা উচিত।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

জীবন যুদ্ধে হার মানলেন শার্শার যুবক রনি’ মালয়েশিয়ায় ক্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু

দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে মুখোমুখি চীন-ভারত

প্রকাশের সময়ঃ ১১:১৬:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

আন্তর্জাতিকঃ বৌদ্ধ ধর্মগুরু হিসেবে পঞ্চদশ দালাই লামার নাম ঘোষণা চূড়ান্ত পর্যায়ে। এ উপলক্ষে রোববার (৬ জুলাই) বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। হিমাচলে অনুষ্ঠিতব্য সেই মাহেন্দ্রক্ষণের দিকে তাকিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। তবে অনুষ্ঠানটি যত না ধর্মীয়; তার চেয়ে শক্তিধর দুই দেশের কূটনৈতিক লড়াইয়ের ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচনের উদ্যোগ ঘিরে এখন মুখোমুখি ভারত-চীন। দালাই লামাকে নিয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান কিছুতেই মানতে নারাজ বেইজিং। এ নিয়ে কড়া বার্তাও পাঠিয়েছে শি জিনপিংয়ের সরকার। খবর এনডিটিভির।

তিব্বত-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে ভারতকে সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে বলেছে চীন। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর এক মন্তব্যের বিরোধিতা করে চীন এ সতর্কবার্তা পাঠায়।

সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বলেছেন, কেবল দালাই লামা এবং তার প্রতিষ্ঠিত সংগঠনেরই তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের আধ্যাত্মিক প্রধান হিসেবে তার উত্তরসূরিকে চিহ্নিত করার ক্ষমতা রয়েছে। চীনের দীর্ঘদিনের অবস্থানের বিরোধিতা করে তার এ মন্তব্যে তোলপাড় কূটনীতি পাড়া।

আজ রোববার দালাই লামার ৯০তম জন্মদিনে ধর্মশালা পরিদর্শনে যাবেন রিজিজু। এ প্রসঙ্গে এক বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, পবিত্র দালাই লামার উত্তরসূরি কে হবেন তা হস্তক্ষেপ করার বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কারও নেই। কেবল তিনি বা তার প্রতিষ্ঠানেরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তার অনুসারীরা এটি গভীরভাবে বিশ্বাস করেন।

জবাবে, চীন ভারতকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে প্রতিকূল প্রভাব এড়ানোর পরামর্শ দেয়। বলেছে, ভারত যেন কথা ও কর্মে সতর্কতা অবলম্বন করে।

বেইজিং বলেছে, তিব্বতের উত্তরাধিকার হিসেবে দালাই লামার উত্তরসূরিকে অনুমোদন করার অধিকার তাদের রয়েছে।

এদিকে রিজিজুর অবস্থানের বিরোধিতা করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে আসে। তারা বলেছে, ভারত সরকার বিশ্বাস এবং ধর্মের অনুশীলন সম্পর্কিত বিষয়ে কোনো অবস্থান নেয় না বা কথা বলে না। সরকার সর্বদা ভারতে সকলের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় রেখেছে এবং তা অব্যাহত রাখবে।

কিন্তু চীন হয়তো তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ১৪তম দালাই লামার চীন-বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী স্বভাব সম্পর্কে ভারতের স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। জিজাং (তিব্বত) সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে ভারতের প্রতিশ্রুতি মেনে চলা উচিত।