০১:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধুপুরে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ৪০ হাজার গাছের চারা ধ্বংস

 

টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ৪০ হাজার ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস করেছে উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই)দুপুরে মধুপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন নার্সারী থেকে ইউক্যালিপটাসের চারা এনে নার্সারী মালিকদের সামনেই ধ্বংস করা হয় এসব চারা।

সরকার আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছ নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর দেশে প্রথমবারের মতো ক্ষতিকর গাছের চারা ধ্বংস করা হলো
পরিবেশের বিপর্যয় সৃষ্টিকারী এই গাছের চারা ধ্বংস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আশেক পারভেজ। এসময় মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেনও বেশ কিছু ইউক্যালিপটাস গাছের চারা কেটে ধ্বংস করেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আশেক পারভেজ বলেন, ইউক্যিালিপটাস, আকাশমনি গাছ পরিবেশের জন্য সম্পূর্ণ ক্ষতিকর। এই গাছে কখনো পাখি বাসা বাঁধেনা। গাছের পাতা মাটিতে পড়ে পচেনা। এই গাছের আশেপাশে বসবাসকারী মানুষের এজমা ও শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। ওই জমিতে অন্য কোন সাথী ফসলও হয়না। তাই এই গাছকে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমরা সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক টাঙ্গাইলের অন্যতম গাছের চারা উৎপাদনকারী এলাকা মধুপুর ও সখীপুরে প্রথমে পরিবেশের ক্ষতিকর গাছ ধ্বংসকরণ কার্যক্রম শুরু করছি। পরবর্তীতে সবকটি উপজেলাতেই এই কার্যক্রম চলবে।

মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, মধুপুরের যেখানেই ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা উৎপাদন বিপনণ হবে সেখানেই সরকারের নীতিমালা অনুযায়ি ক্ষতিকর গাছের চারা ধ্বংস করা হবে।

এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. দুলালুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আতিয়ার রহমান, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাজনী নূর রাত্রী, সহ অন্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

কালিগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিক অ্যাসোসিয়েশনের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

মধুপুরে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ৪০ হাজার গাছের চারা ধ্বংস

প্রকাশের সময়ঃ ০৭:৫৩:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

 

টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ৪০ হাজার ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস করেছে উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই)দুপুরে মধুপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন নার্সারী থেকে ইউক্যালিপটাসের চারা এনে নার্সারী মালিকদের সামনেই ধ্বংস করা হয় এসব চারা।

সরকার আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছ নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর দেশে প্রথমবারের মতো ক্ষতিকর গাছের চারা ধ্বংস করা হলো
পরিবেশের বিপর্যয় সৃষ্টিকারী এই গাছের চারা ধ্বংস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আশেক পারভেজ। এসময় মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেনও বেশ কিছু ইউক্যালিপটাস গাছের চারা কেটে ধ্বংস করেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আশেক পারভেজ বলেন, ইউক্যিালিপটাস, আকাশমনি গাছ পরিবেশের জন্য সম্পূর্ণ ক্ষতিকর। এই গাছে কখনো পাখি বাসা বাঁধেনা। গাছের পাতা মাটিতে পড়ে পচেনা। এই গাছের আশেপাশে বসবাসকারী মানুষের এজমা ও শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। ওই জমিতে অন্য কোন সাথী ফসলও হয়না। তাই এই গাছকে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমরা সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক টাঙ্গাইলের অন্যতম গাছের চারা উৎপাদনকারী এলাকা মধুপুর ও সখীপুরে প্রথমে পরিবেশের ক্ষতিকর গাছ ধ্বংসকরণ কার্যক্রম শুরু করছি। পরবর্তীতে সবকটি উপজেলাতেই এই কার্যক্রম চলবে।

মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, মধুপুরের যেখানেই ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা উৎপাদন বিপনণ হবে সেখানেই সরকারের নীতিমালা অনুযায়ি ক্ষতিকর গাছের চারা ধ্বংস করা হবে।

এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. দুলালুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আতিয়ার রহমান, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাজনী নূর রাত্রী, সহ অন্যানরা উপস্থিত ছিলেন।