০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাভারে আলোচিত ইয়ামিন হত্যা, পুলিশ সদস্য মাহাফুজ গ্রেপ্তার

 

সাভারঃ জুলাই আন্দোলনে সাভারে আসহাবুল ইয়ামিনকে এপিসি থেকে ছুড়ে ফেলার আগে গুলি করা কনস্টেবল মাহাফুজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গুলির কথা স্বীকার করেন তিনি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এমআইএসটির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন আসহাবুল ইয়ামিন। গত বছরের ১৮ জুলাই সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালান পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। ইয়ামিনকে ধরে টেনে পুলিশের সাঁজোয়া যানের কাছে নিয়ে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বুকের বাঁ পাশে গুলি করেন তারা। গুলিতে তার বুকের বাঁ পাশে অসংখ্য স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়।

একপর্যায়ে ইয়ামিনকে টেনে সাঁজোয়া যানের ওপরে ফেলে রেখে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে ভীতি প্রদর্শনের জন্য গাড়িটি এপাশ থেকে ওপাশ প্রদক্ষিণ করতে থাকেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। প্রায় মৃত অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে দেন। একই সঙ্গে সাঁজোয়া যানের ভেতর থেকে একজন পুলিশ সদস্যকে বের করে তার পায়ে পুনরায় গুলির নির্দেশ দেন। ওই পুলিশ সদস্য ইয়ামিনকে মৃতভেবে পায়ে গুলি না করে রাস্তার ওপরের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে নিয়ে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেন।

গুলিবিদ্ধ ইয়ামিনকে তখনও নিশ্বাস নিতে দেখা যায়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

জাবি অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির নতুন কমিটি ঘোষণা জাবি প্রতিনিধি

সাভারে আলোচিত ইয়ামিন হত্যা, পুলিশ সদস্য মাহাফুজ গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময়ঃ ১০:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

সাভারঃ জুলাই আন্দোলনে সাভারে আসহাবুল ইয়ামিনকে এপিসি থেকে ছুড়ে ফেলার আগে গুলি করা কনস্টেবল মাহাফুজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গুলির কথা স্বীকার করেন তিনি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এমআইএসটির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন আসহাবুল ইয়ামিন। গত বছরের ১৮ জুলাই সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালান পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। ইয়ামিনকে ধরে টেনে পুলিশের সাঁজোয়া যানের কাছে নিয়ে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বুকের বাঁ পাশে গুলি করেন তারা। গুলিতে তার বুকের বাঁ পাশে অসংখ্য স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়।

একপর্যায়ে ইয়ামিনকে টেনে সাঁজোয়া যানের ওপরে ফেলে রেখে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে ভীতি প্রদর্শনের জন্য গাড়িটি এপাশ থেকে ওপাশ প্রদক্ষিণ করতে থাকেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। প্রায় মৃত অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে দেন। একই সঙ্গে সাঁজোয়া যানের ভেতর থেকে একজন পুলিশ সদস্যকে বের করে তার পায়ে পুনরায় গুলির নির্দেশ দেন। ওই পুলিশ সদস্য ইয়ামিনকে মৃতভেবে পায়ে গুলি না করে রাস্তার ওপরের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে নিয়ে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেন।

গুলিবিদ্ধ ইয়ামিনকে তখনও নিশ্বাস নিতে দেখা যায়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।