
যশোরঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তে ইজিবাইক চালক হাসান আলী (৫০) হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মূল আসামি ইব্রাহিম হোসেন (৩৬) কে গ্রেফতার করেছে কলারোয়া থানা পুলিশ।
গতকাল (১৪ জুলাই) সোমবার ইব্রাহিমকে আদালতে সোপর্দ করলে’ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দিতে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন। এসময় বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত (১২ জুলাই) শনিবার রাত ১০ টা ৪০ মিনিটের দিকে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানাধীন জাফরনগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তার দেওয়া স্বীকারউক্তি মোতাবেক নবীনগর এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়।
আজ (১৫ জুলাই) মঙ্গলবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম।
নিহত ইজিবাইক চালক হাসান আলী যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বেনেয়ালী গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে, এবং অভিযুক্ত আসামি ইব্রাহিম হোসেন একই উপজেলার গদখালি ইউনিয়নের জাফরনগর গ্রামের মৃত মুজিবর রহমানের ছেলে।
উল্লেখ্য: গত (১১ জুলাই) শুক্রবার কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের ইলিশপুর কোটার মোড় নামক স্থানে অবস্থিত রাকিন ইট’ভাটার সামনে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে কালভার্টের নিচ থেকে ইজিবাইক চালক হাসান আলীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় ওই দিন বিকালে নিহত হাসান আলীর ছেলে বাবলুর রহমান বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে’ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিকুঞ্জ রায়ের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের বিভিন্ন স্থানের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিভিন্ন টেকনোলজির মাধ্যমে ঝিকরগাছা উপজেলা থেকে আসামি ইব্রাহিম হোসেনকে গ্রেফতার এবং ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকের চাবিসহ ইজিবাইক উদ্ধার করেন পুলিশ।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত আসামি ইব্রাহিম হোসেন জানান, যশোরের নাভারণ এলাকা থেকে সাতটি ঘুমের ঔষধ কিনে কোমল পানিও স্পিড এর সাথে মিশিয়ে চালক হাসান আলীকে খাওয়ায়ে অজ্ঞান করে। পরে তার গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে’ হা-পা বেঁধে মরদেহ কালভার্টের নিচের পানিতে ফেলে দেয়। হত্যার কারণ হিসেবে আসামি দাবি করেন, সে এলাকায় অনেক টাকা ঋণ। পরিশোধ করতে সে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।