১১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানুষের দোয়া আছে, আফরোজা খানম রিতা বিজয়ী হবেন

 

মানিকগঞ্জঃ বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) নির্বাহী কমিটি নির্বাচন ২০২৫-২০২৭ এ সভাপতি পদে লড়ছেন মুন্নু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আফরোজা খানম রিতা। দেশের প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলোর সর্বোচ্চ সংগঠনের এই নির্বাচনকে ঘিরে যেমন চিকিৎসা খাতে আগ্রহ ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তেমনি মানিকগঞ্জ জুড়ে বইছে রিতা আপার জয় কামনার ঢেউ। সকলের মুখে একি কথা, রিতা আপার উপর সকল শ্রেনীপেশার মানুষের দোয়া আছে। তিনি বিজয়ি হবেন।

আজ বুধবারর (১৬ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন।

এবারের নির্বাচনে ৫৫টি মেডিকেল কলেজের ১১০ জন ভোটার ২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন করবেন। এই প্রথমবারের মত সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হতে যাচ্ছে। যা এই সংগঠনের ইতিহাসে এক নতুন দিক উন্মোচন করছে।

আফরোজা খানম রিতা নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘আফরোজা–মোয়াজ্জেম’ প্যানেলকে। সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন। তাদের প্যানেলে রয়েছেন বর্তমান ও অভিজ্ঞ সদস্যরা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ‘মহিউদ্দিন–মুকিত’ প্যানেল, যেখানে সভাপতি পদে আছেন ডা. শেখ মহিউদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন ডা. এমএ মুকিত। তারা মূলত নতুন মুখ নিয়ে গঠিত একটি প্যানেল।

মানিকগঞ্জে এ নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। জেলা সদরের চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ক্লিনিক মালিক ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ রিতার জয় কামনা করে দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, ‘মানিকগঞ্জের মেয়ে হিসেবে তিনি শুধু জেলার গর্বই নন, দেশের স্বাস্থ্যখাতেও এক নির্ভরযোগ্য নেতৃত্ব।’
মুন্না মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল করিম‌ বলেন, আফরোজা খানম রিতা শুধু রাজনীতিবিদ নন, তিনি সমাজসেবক, সংগঠক এবং একজন দক্ষ প্রশাসক। তার নেতৃত্বে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরবে। তিনি সভাপতি নির্বাচিত হলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

আফরোজা খানম রিতা এর আগে মুন্নু মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান সুনামের সঙ্গে পরিচালনা করেছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদান ও প্রশাসনিক দক্ষতা দেশব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া, জেলা ও জাতীয় রাজনীতিতে তার ভূমিকা এবং সামাজিক কর্মকাণ্ড মানিকগঞ্জের মানুষদের হৃদয়ে আলাদা স্থান তৈরি করেছে।

নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিলে আফরোজা খানম রিতা বলেন,’আমি চাই একটি দক্ষ, মানবিক ও স্বচ্ছ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হোক। প্রাইভেট মেডিকেল সেক্টরের সমস্যা নিরসনে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় করে সামনে এগোতে চাই।’

তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা, শিক্ষক-কর্মীদের মর্যাদা এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চান।

মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বলছেন, ‘মানিকগঞ্জবাসীর দোয়া আছে, রিতা আপা এবারও জয়ী হবেন।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ‘রিতা আপার পক্ষে ভোট দিন’ এমন প্রচারণা চালাচ্ছেন তার সমর্থকরা।

ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার‌ সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, এই নির্বাচন শুধু সংগঠনের নেতৃত্ব নির্ধারণ নয়, বরং দেশের চিকিৎসা শিক্ষা ও বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে রূপ নিতে যাচ্ছে। আর সেই নেতৃত্বে মানিকগঞ্জের মেয়ে আফরোজা খানম রিতা থাকলে, জেলার মানুষ যেমন গর্বিত হবেন, তেমনি স্বাস্থ্যখাতও পাবে একজন দূরদর্শী ও মানবিক অভিভাবক।

মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. জুলফিকার আহমেদ আমীন বলেন, স্বাস্থ্য খাতের বহু জটিলতা নিরসনে এমন একজন দূরদর্শী নেতৃত্ব অত্যন্ত জরুরি, যিনি মাঠের বাস্তবতা বোঝেন এবং সমন্বয়মূলক ভূমিকা রাখতে পারেন। আফরোজা খানম রিতা সেই মানুষ, যিনি নেতৃত্বে এলে চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উভয় ক্ষেত্রেই ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। তার বিজয়ের ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ আশাবাদী।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ, পাশাপাশি মেডিকেল কলেজ পরিচালনায় অর্জিত অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতা এই সব মিলিয়ে তিনি স্বাস্থ্য খাতে ইতিবাচক ও টেকসই পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

সিংগাইরে গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরের মৃত্যু

মানুষের দোয়া আছে, আফরোজা খানম রিতা বিজয়ী হবেন

প্রকাশের সময়ঃ ০৪:২৪:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

মানিকগঞ্জঃ বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) নির্বাহী কমিটি নির্বাচন ২০২৫-২০২৭ এ সভাপতি পদে লড়ছেন মুন্নু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আফরোজা খানম রিতা। দেশের প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলোর সর্বোচ্চ সংগঠনের এই নির্বাচনকে ঘিরে যেমন চিকিৎসা খাতে আগ্রহ ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তেমনি মানিকগঞ্জ জুড়ে বইছে রিতা আপার জয় কামনার ঢেউ। সকলের মুখে একি কথা, রিতা আপার উপর সকল শ্রেনীপেশার মানুষের দোয়া আছে। তিনি বিজয়ি হবেন।

আজ বুধবারর (১৬ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন।

এবারের নির্বাচনে ৫৫টি মেডিকেল কলেজের ১১০ জন ভোটার ২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন করবেন। এই প্রথমবারের মত সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হতে যাচ্ছে। যা এই সংগঠনের ইতিহাসে এক নতুন দিক উন্মোচন করছে।

আফরোজা খানম রিতা নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘আফরোজা–মোয়াজ্জেম’ প্যানেলকে। সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন। তাদের প্যানেলে রয়েছেন বর্তমান ও অভিজ্ঞ সদস্যরা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ‘মহিউদ্দিন–মুকিত’ প্যানেল, যেখানে সভাপতি পদে আছেন ডা. শেখ মহিউদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন ডা. এমএ মুকিত। তারা মূলত নতুন মুখ নিয়ে গঠিত একটি প্যানেল।

মানিকগঞ্জে এ নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। জেলা সদরের চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ক্লিনিক মালিক ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ রিতার জয় কামনা করে দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, ‘মানিকগঞ্জের মেয়ে হিসেবে তিনি শুধু জেলার গর্বই নন, দেশের স্বাস্থ্যখাতেও এক নির্ভরযোগ্য নেতৃত্ব।’
মুন্না মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল করিম‌ বলেন, আফরোজা খানম রিতা শুধু রাজনীতিবিদ নন, তিনি সমাজসেবক, সংগঠক এবং একজন দক্ষ প্রশাসক। তার নেতৃত্বে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরবে। তিনি সভাপতি নির্বাচিত হলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

আফরোজা খানম রিতা এর আগে মুন্নু মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান সুনামের সঙ্গে পরিচালনা করেছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদান ও প্রশাসনিক দক্ষতা দেশব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া, জেলা ও জাতীয় রাজনীতিতে তার ভূমিকা এবং সামাজিক কর্মকাণ্ড মানিকগঞ্জের মানুষদের হৃদয়ে আলাদা স্থান তৈরি করেছে।

নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিলে আফরোজা খানম রিতা বলেন,’আমি চাই একটি দক্ষ, মানবিক ও স্বচ্ছ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হোক। প্রাইভেট মেডিকেল সেক্টরের সমস্যা নিরসনে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় করে সামনে এগোতে চাই।’

তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা, শিক্ষক-কর্মীদের মর্যাদা এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চান।

মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বলছেন, ‘মানিকগঞ্জবাসীর দোয়া আছে, রিতা আপা এবারও জয়ী হবেন।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ‘রিতা আপার পক্ষে ভোট দিন’ এমন প্রচারণা চালাচ্ছেন তার সমর্থকরা।

ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার‌ সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, এই নির্বাচন শুধু সংগঠনের নেতৃত্ব নির্ধারণ নয়, বরং দেশের চিকিৎসা শিক্ষা ও বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে রূপ নিতে যাচ্ছে। আর সেই নেতৃত্বে মানিকগঞ্জের মেয়ে আফরোজা খানম রিতা থাকলে, জেলার মানুষ যেমন গর্বিত হবেন, তেমনি স্বাস্থ্যখাতও পাবে একজন দূরদর্শী ও মানবিক অভিভাবক।

মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. জুলফিকার আহমেদ আমীন বলেন, স্বাস্থ্য খাতের বহু জটিলতা নিরসনে এমন একজন দূরদর্শী নেতৃত্ব অত্যন্ত জরুরি, যিনি মাঠের বাস্তবতা বোঝেন এবং সমন্বয়মূলক ভূমিকা রাখতে পারেন। আফরোজা খানম রিতা সেই মানুষ, যিনি নেতৃত্বে এলে চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উভয় ক্ষেত্রেই ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। তার বিজয়ের ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ আশাবাদী।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ, পাশাপাশি মেডিকেল কলেজ পরিচালনায় অর্জিত অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতা এই সব মিলিয়ে তিনি স্বাস্থ্য খাতে ইতিবাচক ও টেকসই পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন।