০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক ম্যাচ হাতে রেখেই পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয় 

  • ডেস্ক নিউজঃ
  • প্রকাশের সময়ঃ ১০:০৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

ঢাকাঃ শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৩ রান, বাংলাদেশের ১ উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমানের করা ওভারে প্রথম বলে ৪ মেরে সমীকরণটাকে ৫ বলে ৯ বানিয়ে দেন আহমেদ দানিয়াল।

পরের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে দানিয়াল বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ হলেন শামীম হোসেনের। পাকিস্তান ১২৫ রানে অলআউট। বাংলাদেশ জিতল ৮ রানে। এই জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।

এর আগে ৬টি টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। যেখানে ৫টিতেই জিতেছিল পাকিস্তান। আর একটি জয় টাইগারদের, সেটি ছিল ১ ম্যাচের সিরিজ।

তাই এক ম্যাচের বেশি এমন টি-টোয়েন্টি সিরিজে এই প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ দল। তৃতীয় ম্যাচে জয় তুলতে পারলে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার ইতিহাস গড়বে।

মঙ্গলবাল (২২ জুলাই) আগে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ১৩৪ রানের সহজ লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই রান হন সাইম। ৪ বলে ১ রান করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় ওভারে ডাক আউট হন মোহাম্মদ হারিস।

সতীর্থদের আশা যাওয়ার মিছিলে নিজেকে ধরার লড়াই করছিলেন ফখর জামান। কিন্তু চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে এই ব্যাটারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন শরিফুল। ৮ বলে ৮ রান করেন ফখর।

পঞ্চম ওভারে তানজিম সাকিবের হাতে বল তুলে দেন লিটন। ওভারের তৃতীয় বলে হাসান নাওয়াজকে ফেরান তিনি। পরে একই বলে লিটন হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। এতে ১৫ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। কিন্তু ২৩ বলে ৯ রান করে মাহেদীর প্রথম শিকার বনে যান তিনি। ১৮ বলে ১৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন খুশদিল শাহও।

তবে আব্বাস আফ্রিদিকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন ফাহিম আশরাফ। দুজনের ব্যাটে ভর করে এগোতে থাকে পাকিস্তান। কিন্তু ১৭তম ওভারের প্রথম বলে আব্বাসকে বোল্ড করে টাইগারদের ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। ১৩ বলে ১৯ রানের এই পাক পেসার। অপর প্রান্ত থেকে লড়াই করতে থাকেন ফাহিম।

তাকে যোগ্য দিয়ে আশা জাগান আহমেদ দানিয়েল। ১৯তম ওভারে রিশাদের বলে বলে বাউন্ডারি মেরে টাইগারদের চমকে দিয়েছিলেন ফাহিম। কিন্তু ওভারের শেষ বলে বোল্ড আউট হন তিনি। ৩২ বলে ৫১ রানে আউট হন এই পাক অলরাউন্ডার।

শেষ ওভারে পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল ১৩ রান। প্রথম বলে চার মেরে আশা জাগিয়েছিলে দানিয়েল। পরের বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ আউট হেলে ১২৫ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

ইসলামে রক্তদানের পুরস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা

এক ম্যাচ হাতে রেখেই পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয় 

প্রকাশের সময়ঃ ১০:০৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

ঢাকাঃ শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৩ রান, বাংলাদেশের ১ উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমানের করা ওভারে প্রথম বলে ৪ মেরে সমীকরণটাকে ৫ বলে ৯ বানিয়ে দেন আহমেদ দানিয়াল।

পরের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে দানিয়াল বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ হলেন শামীম হোসেনের। পাকিস্তান ১২৫ রানে অলআউট। বাংলাদেশ জিতল ৮ রানে। এই জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।

এর আগে ৬টি টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। যেখানে ৫টিতেই জিতেছিল পাকিস্তান। আর একটি জয় টাইগারদের, সেটি ছিল ১ ম্যাচের সিরিজ।

তাই এক ম্যাচের বেশি এমন টি-টোয়েন্টি সিরিজে এই প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ দল। তৃতীয় ম্যাচে জয় তুলতে পারলে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার ইতিহাস গড়বে।

মঙ্গলবাল (২২ জুলাই) আগে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ১৩৪ রানের সহজ লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই রান হন সাইম। ৪ বলে ১ রান করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় ওভারে ডাক আউট হন মোহাম্মদ হারিস।

সতীর্থদের আশা যাওয়ার মিছিলে নিজেকে ধরার লড়াই করছিলেন ফখর জামান। কিন্তু চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে এই ব্যাটারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন শরিফুল। ৮ বলে ৮ রান করেন ফখর।

পঞ্চম ওভারে তানজিম সাকিবের হাতে বল তুলে দেন লিটন। ওভারের তৃতীয় বলে হাসান নাওয়াজকে ফেরান তিনি। পরে একই বলে লিটন হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। এতে ১৫ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। কিন্তু ২৩ বলে ৯ রান করে মাহেদীর প্রথম শিকার বনে যান তিনি। ১৮ বলে ১৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন খুশদিল শাহও।

তবে আব্বাস আফ্রিদিকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন ফাহিম আশরাফ। দুজনের ব্যাটে ভর করে এগোতে থাকে পাকিস্তান। কিন্তু ১৭তম ওভারের প্রথম বলে আব্বাসকে বোল্ড করে টাইগারদের ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। ১৩ বলে ১৯ রানের এই পাক পেসার। অপর প্রান্ত থেকে লড়াই করতে থাকেন ফাহিম।

তাকে যোগ্য দিয়ে আশা জাগান আহমেদ দানিয়েল। ১৯তম ওভারে রিশাদের বলে বলে বাউন্ডারি মেরে টাইগারদের চমকে দিয়েছিলেন ফাহিম। কিন্তু ওভারের শেষ বলে বোল্ড আউট হন তিনি। ৩২ বলে ৫১ রানে আউট হন এই পাক অলরাউন্ডার।

শেষ ওভারে পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল ১৩ রান। প্রথম বলে চার মেরে আশা জাগিয়েছিলে দানিয়েল। পরের বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ আউট হেলে ১২৫ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।