০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালিগঞ্জে মৎস্যঘের জবরদখল ও লুটপাটের প্রতিকার দাবি

 

সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে অর্ধ শতাব্দির বেশীয় সময়ের মাছের ঘের জবরদখল ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে গণিয়ার রহমান গণি (৫৬) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

মাছের ঘের ফিরে পেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার কাঁকশিয়ালী গ্রামের মাস্টার আব্দুল ওহাবের ছেলে নাহিন আহম্মেদ।

বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেল ৪ টায় কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মোঃ নাহিন আহম্মেদ (৩৮) লিখিত বক্তব্যে জানান, আমার ভাই ফিরোজ কবির (৪৭) প্রায় তিনবছর পূর্বে কাঁকশিয়ালি গ্রামের মরহুম এন্তাজ আলী গাজীর ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক গাজীর নিকট থেকে তার ৫০ বছরের অধিক সময় ভোগদখলকৃত উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বাথুয়াডাঙ্গা মৌজায় (জেএল-৪৬), এলএ কেস নং ১৮৯/৬৩-৬৪ ও ৮৯/৬৪-৬৫, এসএ ১৭৩৩ ও ১৭৩৪ দাগে ৪০ শতক জমিতে অবস্থিত মাছের ঘের ক্রয় করেন। উক্ত মাছের ঘেরসহ জমি ক্রয়ের পর থেকে আমার সহোদর ভাই ফিরোজ কবির শান্তিপূর্ণভাবে মাছ চাষ করে আসছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আমার ভাই চাকুরি সংক্রান্ত প্রয়োজনে খুলনায় অবস্থান করার কারণে আমি ভাইয়ের মাছের ঘেরটি দেখাশুনা করি। উক্ত ঘেরের পশ্চিম পাশে আমার প্রতিবেশী কাঁকশিয়ালি গ্রামের মরহুম বিলায়েত বিশ^াসের ছেলে গণিয়ার রহমান ওরফে গণির (৫৬) মাছের ঘের রয়েছে। গণিয়ার রহমান গণি দীর্ঘদিন যাবত আমার ভাইয়ের মাছের ঘেরটি জবরদখলের চক্রান্ত চালাতে থাকে।

এক পর্যায়ে গত ২৬/০৬/২০২৫ তারিখ সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে অতর্কিতভাবে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার ভাইয়ের মালিকানাধীন মাছের ঘেরটি জবরদখল করে নেয়। ওই বাহিনী আমার ভাইয়ের মাছের ঘের থেকে তাৎক্ষণিকভাবে লক্ষাধিক টাকার বাগদা চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুট করে নেয়। ঘের দখলের বিষয়টি লোক মারফত জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যেয়ে এর কারণ জানতে চাইল গণিয়ার রহমান গণি ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনী বলেন, সরকারি খাস জায়গা তাই আমরা এখন থেকে দখল করে খাবো। অন্যের ৫০ বছরের দখলকৃত জায়গা জবরদখলের বিষয়টি জানালে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারমুখী আচরণের পাশাপাশি খুন জখম করার হুমকি ধামকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও জবরদখলকারি গণিয়ার রহমান গণি প্রভাবশালী হওয়ায় কোন কার্যকর সমাধান করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।

এমতাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সহায়তায় পূর্বমালিকানার ৫০ বছরের অধিককাল যাবত শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলকৃত মাছের ঘেরটি ফিরে পেতে চান তিনি।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

কালিগঞ্জের বসন্তপুরে সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা

কালিগঞ্জে মৎস্যঘের জবরদখল ও লুটপাটের প্রতিকার দাবি

প্রকাশের সময়ঃ ০৭:২৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

 

সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে অর্ধ শতাব্দির বেশীয় সময়ের মাছের ঘের জবরদখল ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে গণিয়ার রহমান গণি (৫৬) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

মাছের ঘের ফিরে পেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার কাঁকশিয়ালী গ্রামের মাস্টার আব্দুল ওহাবের ছেলে নাহিন আহম্মেদ।

বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেল ৪ টায় কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মোঃ নাহিন আহম্মেদ (৩৮) লিখিত বক্তব্যে জানান, আমার ভাই ফিরোজ কবির (৪৭) প্রায় তিনবছর পূর্বে কাঁকশিয়ালি গ্রামের মরহুম এন্তাজ আলী গাজীর ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক গাজীর নিকট থেকে তার ৫০ বছরের অধিক সময় ভোগদখলকৃত উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বাথুয়াডাঙ্গা মৌজায় (জেএল-৪৬), এলএ কেস নং ১৮৯/৬৩-৬৪ ও ৮৯/৬৪-৬৫, এসএ ১৭৩৩ ও ১৭৩৪ দাগে ৪০ শতক জমিতে অবস্থিত মাছের ঘের ক্রয় করেন। উক্ত মাছের ঘেরসহ জমি ক্রয়ের পর থেকে আমার সহোদর ভাই ফিরোজ কবির শান্তিপূর্ণভাবে মাছ চাষ করে আসছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আমার ভাই চাকুরি সংক্রান্ত প্রয়োজনে খুলনায় অবস্থান করার কারণে আমি ভাইয়ের মাছের ঘেরটি দেখাশুনা করি। উক্ত ঘেরের পশ্চিম পাশে আমার প্রতিবেশী কাঁকশিয়ালি গ্রামের মরহুম বিলায়েত বিশ^াসের ছেলে গণিয়ার রহমান ওরফে গণির (৫৬) মাছের ঘের রয়েছে। গণিয়ার রহমান গণি দীর্ঘদিন যাবত আমার ভাইয়ের মাছের ঘেরটি জবরদখলের চক্রান্ত চালাতে থাকে।

এক পর্যায়ে গত ২৬/০৬/২০২৫ তারিখ সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে অতর্কিতভাবে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার ভাইয়ের মালিকানাধীন মাছের ঘেরটি জবরদখল করে নেয়। ওই বাহিনী আমার ভাইয়ের মাছের ঘের থেকে তাৎক্ষণিকভাবে লক্ষাধিক টাকার বাগদা চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুট করে নেয়। ঘের দখলের বিষয়টি লোক মারফত জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যেয়ে এর কারণ জানতে চাইল গণিয়ার রহমান গণি ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনী বলেন, সরকারি খাস জায়গা তাই আমরা এখন থেকে দখল করে খাবো। অন্যের ৫০ বছরের দখলকৃত জায়গা জবরদখলের বিষয়টি জানালে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারমুখী আচরণের পাশাপাশি খুন জখম করার হুমকি ধামকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও জবরদখলকারি গণিয়ার রহমান গণি প্রভাবশালী হওয়ায় কোন কার্যকর সমাধান করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।

এমতাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সহায়তায় পূর্বমালিকানার ৫০ বছরের অধিককাল যাবত শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলকৃত মাছের ঘেরটি ফিরে পেতে চান তিনি।