
ষশেোরঃ অবশেষে সাড়ে তিন মাস পর যশোরের শার্শা উপজেলার সাতমাইল পশুহাটটি উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ডাক পেলেন ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম বাবু।
আগামী শনিবার থেকে প্রতি হাটে ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকার বিনিময়ে গরু ছাগলের খাস আদায় করবেন। তিনি এ বছরের আগামী বাংলা ৩০ চৈত্র ১৪৩৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদে ৭৩ টি হাটের খাস আদায় করবেন।
দক্ষিণবঙ্গের সর্ববৃহৎ পশুহাট যশোরের শার্শা উপজেলার সাতমাইল পশুহাট। এই হাটে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার দুই দিন গরু ও ছাগলের হাট বসে। প্রতি হাটে হাজার হাজার গরু ও শত শত ছাগল বেচাকেনা হয়।
বিগত সরকারের আমলে এই হাটের ইজারা ডাক উঠেছিল ১৪ কোটি টাকা পর্যন্ত। সর্বশেষ এই হাটের ডাক ছিল ৭ কোটি টাকা। এই অবস্থায় গত ৫ আগস্টে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর তখনকার হাট ইজারাদাররা পালিয়ে গেলে সরকারি ভাবে কিছুদিন হাটের খাস আদায় করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ১ মাস হাটের খাস আদায় বন্ধ থাকে। এরপর একটি প্রভাবশালী মহল গত ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর হাটটি দখলে নিয়ে গরু ছাগলের খাস আদায় করে।
এ বছর ১৪৩২ সনের জন্য হাটটি ইজারা দেওয়ার জন্য শার্শা উপজেলা প্রশাসন পত্রিকায় একাধিক বার বিজ্ঞপ্তি দিলেও একটি মহল প্রভাব খাটিয়ে হাটের ইজারা করতে দেয়নি। যে কারণে হাটটি ইজারা না হওয়ায় বুধবার (২৩ জুলাই) হাটের ইজারার জন্য উন্মুক্ত ডাকের আয়োজন করেন উপজেলা প্রশাসন।
ডাকে আশরাফুল আলম বাবু ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ প্রতি হাটে ডাক তোলেন ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা, আব্দুল কুদ্দুস নামে এক ব্যবসায়ী প্রতি হাটে ডাক তোলেন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ও জামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি প্রতি হাটে ডাক তোলেন ১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। ডাকে সর্বোচ্চ দরদাতা ব্যক্তিকে আগামী ৭৩ টি হাটের জন্য শার্শা উপজেলা প্রশাসন ইজারা প্রদান করেন।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডা. কাজী নাজিব হাসান বলেন, সাতমাইল পশুহাটটি ইজারার জন্য একাধিকবার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিলেও কেউ ইজারা নেননি। যে কারণে পুনরায় হাটটি ইজারার জন্য উন্মুক্ত টেন্ডরের আহরান করা হয়েছিল। তিনি আরো বলেন বুধবার সকালে উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা আশরাফুল আলম বাবুকে আগামী দিন ৭৩ টি হাটের জন্য ইজারা প্রদান করা হয়েছে।