
ঢাকাঃ রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৪৯ যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছেন। সাইবেরিয়া-ভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইন্স পরিচালিত বিমানটি বৃহস্পতিবার রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং চীনের সীমান্তবর্তী আমুর অঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত শহর টিনদায় অবতরণ করার সময় এটি এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। বার্তা সংস্থা গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা রিয়া নোভাস্তিকে স্থানীয় জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, আকাশপথে তল্লাশি চালিয়ে বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে। সেখানে কোনো বেঁচে থাকা ব্যক্তি পাওয়া যায়নি। তবে মাটিতে গিয়ে খোঁজ চালালে বেঁচে যাওয়া কারও সন্ধান মিলতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টিনদা বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৯ মাইল (১৫ কিমি) দূরে একটি পাহাড়ি অঞ্চলে বিমানের জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে।
রাশিয়ার মিডিয়া প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, ঘন জঙ্গলের ওপর থেকে ধোঁয়া উঠছে, যেটিকে ক্র্যাশ সাইট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আঞ্চলিক গভর্নর ভাসিলি অর্লভ জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন শিশু এবং ছয়জন ক্রু সদস্য ছিলেন।
তিনি টেলিগ্রামে লিখেন, “বিমানটির সন্ধানে প্রয়োজনীয় সব বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে।”
রাশিয়ার পরিবহন তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, টিনদায় বিমান দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যান্ত্রিক ত্রুটি ও মানবিক ভুল—উভয়কেই বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।