নারায়ণগঞ্জঃ বালুর ড্রেজারের পাইপ বসাতে রাতের আঁধারে আদমজী সড়কে সুড়ঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে জাতীয় পার্টির এক নেতার বিরুদ্ধে। এতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ঝুঁকিতে পড়ার পাশাপাশি ডিএনডি লেকে নির্মাণাধীন বিনোদনকেন্দ্রও হুমকিতে পড়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বালু ব্যবসায়ী মহব্বত আলী বাবুর নির্দেশে সড়কে এ সুড়ঙ্গ কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা। গত সোমবার রাতে সুড়ঙ্গ করে পাইপ বসানোর কাজ শুরু হয়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ডিএনডি লেকে বিনোদনকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। কাজ চলমান অবস্থাতেই অসংখ্য দর্শনার্থী প্রতিদিন ভিড় জমান লেকপাড়ে। লেকের পূর্ব পাশে আদমজী-নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও পশ্চিম পাশে সিটি করপোরেশনের নতুন আরেকটি সড়ক নির্মাণ করা হয়। পাশে আদমজী ইপিজেডসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানা থাকায় দুটি সড়ক দিয়েই ভারী যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। ফলে দুটি সড়কই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ড্রেজারের এ পাইপ যাবে মিজমিজি পাগলা বাড়ি পর্যন্ত। মিজমিজি পর্যন্ত নিতে ডিএনডি লেকে বাঁশের খুঁটি পুঁতে তার ওপর দিয়ে পাইপ টানা হয়েছে। আদমজী-শিমরাইল সড়কের সাইলোগেট এলাকায় আদমজী সড়কে সুড়ঙ্গ কেটে সেটি বের করে নেওয়া হবে।
ড্রেজারের পাইপ বসানোর কাজে নিয়োজিত শ্রমিক সর্দার আতাউর রহমান বলেন, জাতীয় পার্টি নেতা বাবু ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ সাদরিলের নির্দেশে তিনি সড়ক সুড়ঙ্গ করে পাইপ বসানোর কাজ করছেন। সিটি করপোরেশন কিংবা নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোনো লিখিত অনুমিত নিয়ে রাস্তায় সুড়ঙ্গ করছেন কিনা– জানতে চাইলে কোনো জবাব দেননি জাতীয় পার্টি নেতা মহব্বত আলী বাবু। সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা গোলাম মোহাম্মদ সাদরিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি পাইপ বসানোর বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, লেকের ওপর দিয়ে ড্রেজারের পাইপ নেওয়ার অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম জানান, সড়কে সুড়ঙ্গ করার অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। বিনা অনুমতিতে কেউ সড়কে সুড়ঙ্গ করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুক। প্রকাশক কর্তৃক বি,এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবী সার্কুলার রোড , ঢাকা- ১২০৩ থেকে মুদ্রিত ও ২ আর কে মিশন রোড (৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত।
© All rights reserved © 2017 Alokito Kantho