০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানিকগঞ্জের শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন

মানিকগঞ্জঃ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মানিকগঞ্জে শহীদ রফিকুল ইমলামের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি,মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সমিতি,রিপোর্টার ইউনিটসহ বিভিন্ন সংগঠন ও নানা শ্রেনী পেশার মানুষ।

মঙ্গলবার সকালে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের রূপসা গ্রামে শহীদ রফিকুল ইমলামের কবরে ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন, শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথমেই জেলা প্রশাসক ড.মানোয়ার হোসেন মোল্লা,পুলিশ সুপার মোছাম্মদ ইয়াসমিন খাতুন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এরপর মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সমিতি এরপর পর্যায়ক্রমে
বিভিন্ন সংগঠন ও নানা শ্রেনী পেশার মানুষ ফুলদিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
রফিকুল ইসলাম মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের রূপসা গ্রামের মো: রহিজ উদ্দিনের একমাত্র ছেলে ছিলেন।

গত বছরের (২০২৪) এর ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের শিবালয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় রফিকুল।

এছাড়া পুলিশের গুলিতে নিহত সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রামর মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম সাদ,সিঙ্গাইর উপজেলার খান পাড়া গ্রামের বাহাদুর খানের ছেলে সাদ মাহমৃদ খান,জেলা শহরের দাশড়া এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে শফিক উদ্দিন আহমেদ এবং হরিরামপুর উপজেলার কৌড়ি এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মহিউদ্দিন মোল্লাসহ মানিকগঞ্জের পাঁচ জন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি শহীদের কবরে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ রফিকুল ইসলামের পিতা রহিজ উদ্দিন বলেন,”যাদের আত্মত্যাগের বিনিময় আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি ঠিক,কিন্ত সেই স্বাধীনতা এখনো পাইনি।যে উদ্দেশ্য নিয়ে তারা প্রাণ দিয়েছে আমাদের তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে হবে।
জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন,জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের সরকার তালিকা করেছেন।

তালিকাপ্রাপ্তদের সম্মানী ভাতার ব্যবস্তা করেছেন। সরকার তাদের কি কি করবেন, সামাজিক নিরাপত্তার বিষয় আছে গুলি কেন্দ্রিয় সরকারের সিদ্ধান্ত। সরকার যখন এগুলি দিবেন আমরা তখন বাস্তবায়ন করবো। পাশাপাসি জেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে তাদের খোজ রাখা হচ্ছে। আহতদের খোজ রাখা হচ্ছে। আমি চলে যাওয়ার পরে যারা আমাদের সহকর্মী হিসেবে আসবে আমি তাদেরকে বলে যাব। উনারা আমার চেয়েও ভাল কাজ করবে বলে আমি আসা করি।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

সিদ্ধিরগঞ্জে আকাশ প্রধানের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে থানা বিএনপির বিজয় র‍্যালিতে যোগদান

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানিকগঞ্জের শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশের সময়ঃ ০৫:০৮:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

মানিকগঞ্জঃ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মানিকগঞ্জে শহীদ রফিকুল ইমলামের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি,মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সমিতি,রিপোর্টার ইউনিটসহ বিভিন্ন সংগঠন ও নানা শ্রেনী পেশার মানুষ।

মঙ্গলবার সকালে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের রূপসা গ্রামে শহীদ রফিকুল ইমলামের কবরে ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন, শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথমেই জেলা প্রশাসক ড.মানোয়ার হোসেন মোল্লা,পুলিশ সুপার মোছাম্মদ ইয়াসমিন খাতুন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এরপর মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সমিতি এরপর পর্যায়ক্রমে
বিভিন্ন সংগঠন ও নানা শ্রেনী পেশার মানুষ ফুলদিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
রফিকুল ইসলাম মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের রূপসা গ্রামের মো: রহিজ উদ্দিনের একমাত্র ছেলে ছিলেন।

গত বছরের (২০২৪) এর ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের শিবালয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় রফিকুল।

এছাড়া পুলিশের গুলিতে নিহত সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রামর মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম সাদ,সিঙ্গাইর উপজেলার খান পাড়া গ্রামের বাহাদুর খানের ছেলে সাদ মাহমৃদ খান,জেলা শহরের দাশড়া এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে শফিক উদ্দিন আহমেদ এবং হরিরামপুর উপজেলার কৌড়ি এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মহিউদ্দিন মোল্লাসহ মানিকগঞ্জের পাঁচ জন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি শহীদের কবরে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ রফিকুল ইসলামের পিতা রহিজ উদ্দিন বলেন,”যাদের আত্মত্যাগের বিনিময় আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি ঠিক,কিন্ত সেই স্বাধীনতা এখনো পাইনি।যে উদ্দেশ্য নিয়ে তারা প্রাণ দিয়েছে আমাদের তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে হবে।
জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন,জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের সরকার তালিকা করেছেন।

তালিকাপ্রাপ্তদের সম্মানী ভাতার ব্যবস্তা করেছেন। সরকার তাদের কি কি করবেন, সামাজিক নিরাপত্তার বিষয় আছে গুলি কেন্দ্রিয় সরকারের সিদ্ধান্ত। সরকার যখন এগুলি দিবেন আমরা তখন বাস্তবায়ন করবো। পাশাপাসি জেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে তাদের খোজ রাখা হচ্ছে। আহতদের খোজ রাখা হচ্ছে। আমি চলে যাওয়ার পরে যারা আমাদের সহকর্মী হিসেবে আসবে আমি তাদেরকে বলে যাব। উনারা আমার চেয়েও ভাল কাজ করবে বলে আমি আসা করি।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।