রাউফুর রহমান পরাগঃ আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার একটি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিতে আবারও প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে যুবলীগ নেতার অনুসরীরা। শুধু তাই নয় শিল্প পুলিশের পাহারায় ঝুট স্থানান্তরের কাজ করছে ওই নেতা। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি দোকান ও প্রতিষ্ঠান। হামলায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা যায়।

রোববার (১০ই ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জামগড়া চৌরাস্তা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এর আগে দুপুরে প্রীতি গ্রুপের একটি পোশাক কারখানা থেকে শিল্প পুলিশের সহযোগিতায় ট্রাক বোঝাই করে ঝুট স্থানান্তরের কাজ করে। এঘটনায় যুবলীগ নেতার অনুসারীদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন একজন। উদ্ধার করা হয়েছে দুটি গুলির খোসা।

জানা যায়, গত ৫ই আগস্টের পর যুবলীগ নেতা প্রীতি গ্রুপের একটি কারখানার ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর আগেও ২২ই ডিসেম্বর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঝুট স্থানান্তরের কাজ করে। এনিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ করে। তবে একই প্রক্রিয়াতে শিল্প পুলিশের সহযোগিতায় মালামাল স্থানান্তর করে যুবলীগ নেতা রনি ভূইয়ার লোকজন। এসময় মালামাল বোঝাই ট্রাকের পিছনে ও সামনে ছিল শিল্প পুলিশের একাধিক গাড়ি। এছাড়া ট্রাকটির নির্বেঘ্নে যাতায়াতের জন্য শিল্প পুলিশ সদস্যদের সড়ক নিয়ন্ত্রণে দেখা যায়। এসময় শিল্প পুলিশের-১ এর অফিসার ইনচার্জ ইকবাল হোসেন নের্তৃত্বে দিতে দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগ নেতা প্রভাব খাটিয়ে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। আজকেও পুলিশ নিয়ে কারখানার মালামাল ট্রাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এছাড়া প্রভাব বিস্তারে অস্ত্র নিয়ে মহড়া চালায় ও গুলি করে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুপুরে পুলিশ গাড়ি একটি পর্যন্ত পৌছে দিছে। যুবলীগের সভাপতি কবির সরকারের ক্যাডার রনি ভূইয়ার অনুসারীরা গাড়ির সামনে সামনে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় গুলি ছুড়ে তারা। পরে একজন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে থাকা শিল্প পুলিশ -১ এর অফিসার ইনচার্জ ইকবাল হোসেন বলেন, সকালে নিয়মিত টহলের জন্য। তবে কারখার ভিতরে ছিলেন। তিনি যুবলীগ নেতার ঝুট ব্যবসার স্থানান্তরে সহযোগিতা করছিলেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি আমার ডিউটি পালন করেছি। আর কিছু জানি না।

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, আমি মিটিং আছি । বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি।

গুলিবিদ্ধ কাপ্তান (১৬) নড়াইল জেলার লোহাগড়া গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। সে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় থেকে একটি দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। এছাড়া আহত হয়েছেন শেখ আবু জাফর নামের আরও একজন।