১০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৯:৪৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

জবি প্রতিনিধি, মোঃ রাসেল খান: গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় এক প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলটি বাহাদুর শাহ পার্ক হয়ে ভাষাশহিদ রফিক ভবনের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে ছিল ক্ষোভ আর প্রতিবাদের বজ্রধ্বনি—“নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার”, “ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন”, “গর্জে ওঠো বদরের হাতিয়ার”, “ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি”—প্রতিটি স্লোগান যেন পুরো ক্যাম্পাসে জাগিয়ে তোলে বিবেকের ঝড়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাহিন মিয়া বলেন, “গাজার পরিস্থিতি এখন এতটাই ভয়াবহ যে, নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জিহাদের চেতনায় ফিরে আসতে হবে।”

বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, “আমরা অনেক দেখেছি—প্রতিবাদ, সমাবেশ, সংবেদনা। কিন্তু এখন সময় এসেছে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার। মুসলিম দেশগুলোকে জাগাতে হবে। সৌদি আরব, ইরান, মিশর—সবাইকে সামনে এসে একজোট হতে হবে। নইলে আজ গাজা, কাল আর কেউ নিরাপদ থাকবে না।”

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “আমরা আত্মনির্ভরশীল হলে আর কোনো রাষ্ট্রের মুখাপেক্ষী থাকতে হতো না। ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়াতে হলে আমাদের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। বদর ও উহুদের চেতনা ভুলে গেলে চলবে না।”

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের উচিত অবিলম্বে ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা। আমরা আজকের এই মিছিল থেকে আল্লাহর কাছে অঙ্গীকার করছি—ইসরায়েলি সব পণ্য বর্জন করবো। মনে রাখতে হবে, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধু নয়—বরং ইসরায়েলের এই গণহত্যার অন্যতম সহযোগী।”

বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা আরও সংগঠিত প্রতিবাদ ও সচেতনতা কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। তারা বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করতে হবে এবং সরকারের নীতিগত অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

শার্শায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত ৭

ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশের সময়ঃ ০৯:৪৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

জবি প্রতিনিধি, মোঃ রাসেল খান: গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় এক প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলটি বাহাদুর শাহ পার্ক হয়ে ভাষাশহিদ রফিক ভবনের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে ছিল ক্ষোভ আর প্রতিবাদের বজ্রধ্বনি—“নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার”, “ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন”, “গর্জে ওঠো বদরের হাতিয়ার”, “ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি”—প্রতিটি স্লোগান যেন পুরো ক্যাম্পাসে জাগিয়ে তোলে বিবেকের ঝড়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাহিন মিয়া বলেন, “গাজার পরিস্থিতি এখন এতটাই ভয়াবহ যে, নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জিহাদের চেতনায় ফিরে আসতে হবে।”

বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, “আমরা অনেক দেখেছি—প্রতিবাদ, সমাবেশ, সংবেদনা। কিন্তু এখন সময় এসেছে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার। মুসলিম দেশগুলোকে জাগাতে হবে। সৌদি আরব, ইরান, মিশর—সবাইকে সামনে এসে একজোট হতে হবে। নইলে আজ গাজা, কাল আর কেউ নিরাপদ থাকবে না।”

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “আমরা আত্মনির্ভরশীল হলে আর কোনো রাষ্ট্রের মুখাপেক্ষী থাকতে হতো না। ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়াতে হলে আমাদের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। বদর ও উহুদের চেতনা ভুলে গেলে চলবে না।”

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের উচিত অবিলম্বে ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা। আমরা আজকের এই মিছিল থেকে আল্লাহর কাছে অঙ্গীকার করছি—ইসরায়েলি সব পণ্য বর্জন করবো। মনে রাখতে হবে, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধু নয়—বরং ইসরায়েলের এই গণহত্যার অন্যতম সহযোগী।”

বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা আরও সংগঠিত প্রতিবাদ ও সচেতনতা কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। তারা বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করতে হবে এবং সরকারের নীতিগত অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।