০৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নববর্ষ বরণে ব্যস্ত চারুকলা শিক্ষার্থীরা

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১০:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

 

জাবি প্রতিনিধিঃ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন বর্ষবরণের নানা প্রস্তুতিতে। চারুকলার প্রাঙ্গণজুড়ে এখন যেন এক বিশাল কর্মশালা। শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে কাজ করছেন। কাগজ, বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে বিশাল আকারের ঘোড়া, ব্যাঙ,গাজীর পট ইত্যাদি । আবার কেউ কেউ মাটির সরা রাঙাতে ব্যস্ত। কেউ কেউ কাগজ কেটে মুখোশ তৈরিতে ব্যস্ত। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শিল্পকর্ম তৈরিতে সময় কাটছে তাঁদের। । সব মিলিয়ে চারুকলার আঙিনায় বইছে উৎসবের আমেজ।

দিন-রাত পরিশ্রম করে শিক্ষার্থীরা শুধু শিল্পচর্চা নয়, বরং একটি সামাজিক বার্তা ছড়িয়ে দেয়—অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে। শোভাযাত্রার প্রতিটি উপকরণে থাকে পরিবেশ, সমাজ ও সংস্কৃতির নানা রঙ ও বার্তা।

এসময় আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে ৪৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আরমান বলেন, “আমাদের বাংলাদেশে এত বছর ধরে যে সাম্প্রদায়িকতা চলে আসছে তা থেকে বের হয়ে নতুন ভাবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় একাত্মতা পোষণ এবং এই মোটিভ নিয়ে শোভাযাত্রা আয়োজন করছি। এই শোভাযাত্রায় আমরা বাংলাদেশের যেহেতু লোকশিল্প সমৃদ্ধ তাই আমরা লোক শিল্পের একটা পার্ট হিসেবে গাজীরপট এর আয়োজন করেছি । এই গাজীরপট দ্বারা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আদিবাসী আমরা সবাই যে একত্রিত তা বুঝায়। বাংলায় আমরা কেউ আলাদা নই বরং সবাই এক।

চারুকলা বিভাগের সভাপতি শামীম রেজা বলেন, ” নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান ” এই প্রতিপাদ্যে আমরা শোভাযাত্রা আয়োজন করছি। একটা ফ্যাসিবাদের অবসান যেহেতু হয়ে গেছে তাই আমরা চাইনা এইরকম আর কোন ফ্যাসিস্ট জন্ম নিক এই বাংলাদেশে । আমরা যাতে এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারি এই প্রত্যাশাই করছি নতুন বছরে।

অনুদান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আসলে আমাদের অবস্থান থেকে অ্যাপ্রোচ করা হয়নি। আয়োজনের জন্য যে আমরা সরকারিভাবে একটা ফান্ড আনতে পারি, ইউনিভার্সিটি যদি অ্যাপ্রোচ করতো তাহলে হয়তো পেতো। আমি যতদূর জানি সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় থেকে অনেককেই এই বিষয়ে অনুদান দেওয়া হয়। ইউনিভার্সিটি থেকে উদ্যোগ নিয়ে করতে হবে। ঈদের বন্ধের কারণে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে আমাদের আসলে প্রেসার যাচ্ছে। যারা আয়োজনের কাছে নিযুক্ত তাদের আসলে আপ্যায়নের জন্য কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না, তারা সম্পূর্ণ মানবিক কারণে কাজ করছেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

মধুপুর পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা

নববর্ষ বরণে ব্যস্ত চারুকলা শিক্ষার্থীরা

প্রকাশের সময়ঃ ১০:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

 

জাবি প্রতিনিধিঃ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন বর্ষবরণের নানা প্রস্তুতিতে। চারুকলার প্রাঙ্গণজুড়ে এখন যেন এক বিশাল কর্মশালা। শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে কাজ করছেন। কাগজ, বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে বিশাল আকারের ঘোড়া, ব্যাঙ,গাজীর পট ইত্যাদি । আবার কেউ কেউ মাটির সরা রাঙাতে ব্যস্ত। কেউ কেউ কাগজ কেটে মুখোশ তৈরিতে ব্যস্ত। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শিল্পকর্ম তৈরিতে সময় কাটছে তাঁদের। । সব মিলিয়ে চারুকলার আঙিনায় বইছে উৎসবের আমেজ।

দিন-রাত পরিশ্রম করে শিক্ষার্থীরা শুধু শিল্পচর্চা নয়, বরং একটি সামাজিক বার্তা ছড়িয়ে দেয়—অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে। শোভাযাত্রার প্রতিটি উপকরণে থাকে পরিবেশ, সমাজ ও সংস্কৃতির নানা রঙ ও বার্তা।

এসময় আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে ৪৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আরমান বলেন, “আমাদের বাংলাদেশে এত বছর ধরে যে সাম্প্রদায়িকতা চলে আসছে তা থেকে বের হয়ে নতুন ভাবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় একাত্মতা পোষণ এবং এই মোটিভ নিয়ে শোভাযাত্রা আয়োজন করছি। এই শোভাযাত্রায় আমরা বাংলাদেশের যেহেতু লোকশিল্প সমৃদ্ধ তাই আমরা লোক শিল্পের একটা পার্ট হিসেবে গাজীরপট এর আয়োজন করেছি । এই গাজীরপট দ্বারা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আদিবাসী আমরা সবাই যে একত্রিত তা বুঝায়। বাংলায় আমরা কেউ আলাদা নই বরং সবাই এক।

চারুকলা বিভাগের সভাপতি শামীম রেজা বলেন, ” নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান ” এই প্রতিপাদ্যে আমরা শোভাযাত্রা আয়োজন করছি। একটা ফ্যাসিবাদের অবসান যেহেতু হয়ে গেছে তাই আমরা চাইনা এইরকম আর কোন ফ্যাসিস্ট জন্ম নিক এই বাংলাদেশে । আমরা যাতে এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারি এই প্রত্যাশাই করছি নতুন বছরে।

অনুদান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আসলে আমাদের অবস্থান থেকে অ্যাপ্রোচ করা হয়নি। আয়োজনের জন্য যে আমরা সরকারিভাবে একটা ফান্ড আনতে পারি, ইউনিভার্সিটি যদি অ্যাপ্রোচ করতো তাহলে হয়তো পেতো। আমি যতদূর জানি সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় থেকে অনেককেই এই বিষয়ে অনুদান দেওয়া হয়। ইউনিভার্সিটি থেকে উদ্যোগ নিয়ে করতে হবে। ঈদের বন্ধের কারণে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে আমাদের আসলে প্রেসার যাচ্ছে। যারা আয়োজনের কাছে নিযুক্ত তাদের আসলে আপ্যায়নের জন্য কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না, তারা সম্পূর্ণ মানবিক কারণে কাজ করছেন।