জাবি প্রতিনিধিঃ কুয়েটের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং অবিলম্বে কুয়েটের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

আজ সোমবার (১০ মার্চ) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা । এতে বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন জিয়াউদ্দিন আয়ান। এতে বক্তারা কুয়েট আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং সরকারের ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকার সমালোচনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম আবর্তনের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জল বলেন, “গত ১৫ বছরে শিক্ষাঙ্গনের ছাত্রদের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা নিরব থাকতে দেখেছি। এমনকি ওই ফ্যাসিস্ট সরকারকেও আমরা নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখেছি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও একই চিত্র এখনো দেখতে পাচ্ছি কুয়েটের ঘটনায় শিক্ষা উপদেষ্টার কোন বক্তব্য নেই, ছাত্র উপদেষ্টার কোন বক্তব্য নেই ।যে বিপ্লবীদের রক্তের বিনিময়ে আপনারা আজকে এই নরম গতিতে বসেছেন সেই বিপ্লবীদের ৫ আগস্ট এর পরে আবার অনশন করে মরতে হয়, তাহলে এই নরম গতি হতে আপনাদের টেনে-হিচড়ে নামাতে আমরা একপাও পিছপা হব না।
কুয়েটের ভিসি তার পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। আমরা চাই ,অন্তর্বর্তী সরকার কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ভিসির পদ থেকে তাকে অপসারণ করবে অন্যথায় আমরা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে এই আন্দোলন কঠোর হতে কঠোর করব। ফ্যাসিস্ট শক্তিকে বিদায় করেছি অন্য কোন ফ্যাসিস্ট শক্তিকে জায়গা দিতে চায় না। ফ্যাসিস্ট প্রশ্নে ছাত্রজনতা এক। আমরা কাউকে এটা প্রতিষ্ঠিত করতে দেব না। ৫ইআগস্ট ফ্যাসিবাদী কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছি, আর কখনো তৈরি হবে না।”

৪৯তম আবর্তনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, “কুয়েটের শিক্ষার্থীরা যখন আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীদের উপর অন্যায় ভাবে বহিষ্কারাদেশ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র উপদেষ্টারা গদিতে বসে থাকার লেজিটেমেসি হারায়। ছাত্র উপদেষ্টা যদি ছাত্রদের গুরুত্ব না দেন তাহলে গদিতে বসে থাকতে পারবেন না। ইন্টেরিম যদি অভ্যুত্থানের শক্তিকে নিয়ে হেলাফেলা করে তাহলে বলতে চাই পদত্যাগ করেন এবং নির্বাচন দিয়ে দেন। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারিমের কাছে আহবান জানাচ্ছি কুয়েটের ভিসির অপসারণের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেন।”

বক্তারা আরও জানান, ফ্যাসিবাদী শক্তিকে বিদায় জানানো হয়েছে, আর কোন ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হবে না। ছাত্র জনতা এই প্রশ্নে এক ও ঐক্যবদ্ধ।