আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ ইং

আশুলিয়ায় পাঁচ মাসেও মেয়ের সন্ধান না পেয়ে দিশেহারা মা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নিখোঁজের ৫মাস পরেও সন্ধান মেলেনি জান্নাতুল ফেরদৌস আঁখি(১৭) নামের এক কিশোরীর। জিডি করে বারবার থানায় যোগাযোগ করায় ওই কিশোরীর মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে বলে এমন অভিযোগ উঠেছে আশুলিয়া থানার এক এসআই’র বিরুদ্ধে। এরপরে কোন উপায় না পেয়ে মেয়েকে খুঁজে পেতে র‍্যাব-৪ এ লিখিত অভিযোগ করেন মেয়ের মা সুফিয়া বেগম।

জানা যায়, গত ১৩ই মে রোজ শনিবার আশুলিয়ার কাঠালতলা এলাকার ভাড়াটিয়া আলমগীর হোসেনের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস আঁখি কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ১২ই জুন থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করে ওই কিশোরীর মা সুফিয়া বেগম(৩৬) । জিডির চার মাস পার হলেও মেয়ের সন্ধান না পেয়ে আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন ওই এসআই।

সুফিয়া বলেন, একদিন রাতে ওই এসআই ফোন করে বলেন এক হাজার টাকা নিয়ে দেখা করতে বলেন। আমি সকালে দেখা করবো এই কথা বলায় সে মোবাইলে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। এর দুইদিন পর থানায় ওসি স্যারের সাথে দেখা করতে গেলে, এমদাদ আমার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তিনি আমাকে বলেন মেয়ে কোথায় আছে তুই জানোস, মেয়ে বিয়ে দিয়ে জামাইয়ের কাছ থেকে বসে বসে টাকা খাস, আর জামাই ঠেলা দিলে থানায় আসো এ ছাড়া থানায় আসো না, আমি জানি। সে দীর্ঘক্ষণ ধরে থানা থেকে বের হতে দেয়নি। মেয়ে নিঁখোজের বিষয় ওসিকে জানানোর জন্য তার সাথে দেখা করতে চাইলে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। খারাপ ব্যবহারের কারণে আমি অনেক কান্নাকাটি করেছি এবং সেই থেকে থানায় আসবো না বলে প্রতিজ্ঞা করেছি। পরে কোন উপায় না পেয়ে র‍্যাব-৪ এ একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। র‍্যাবের স্যারেরা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি। তারা আমাকে বলেছে মেয়ের খোঁজ পেলে জানাবে। আমি চাই আমার মেয়েকে দয়া করে জীবিত অথবা মৃত উদ্ধার করে দেন আপনারা।

এবিষয়ে আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদ বলেন, ‘আমি ধারণা করতেছি মেয়েটা হয়তো কারো সাথে সম্পর্ক করে চলে গেছে। যার সাথে গিয়েছে ওই ছেলেটাকে সনাক্ত করতে পারিনি। খারাপ ব্যবহারের বিষয়টি মিথ্যা।’ মেয়েটি কারো সাথে সম্পর্ক করে চলে গেছে এবং মেয়ের মা জানে সে বিষয়ে কি নিশ্চিত হতে পেরেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ তার মেয়ের জামাই প্রবাসী, তাদের খরচ টরস দিচ্ছে, তার মেয়ে কোথায় আছে এটা তার মা জানে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে। মেয়ের স্বামী থাকে বিদেশে। মেয়ের মাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় সে এতে উত্তেজিত হয়। সে অবশ্যই কিছু না কিছু জানে, আমাদের কাছে গোপন করছে। মেয়েটার প্রবাসী স্বামীর কাছ থেকে অনেক টাকা পয়সা নিয়েছে তারা। স্বামী প্রত্যেক মাসে টাকা পাঠায়। মেয়ের মা স্বীকার করেছে তার মেয়ের জামাই টাকা পাঠায় সেই টাকা দিয়ে তাদের সংসার চলে। আমি যে এক হাজার টাকা চেয়েছি এ বিষয়ে সে প্রমাণ করতে পারবে না। ১হাজার টাকা দরিদ্র মানুষকে এমনি দেই।

২ responses to “আশুলিয়ায় পাঁচ মাসেও মেয়ের সন্ধান না পেয়ে দিশেহারা মা”

  1. Roset says:

    This was both informative and hilarious! For more details, click here: LEARN MORE. What’s your take?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও সংবাদ