রাউফুর রহমান পরাগ : আশুলিয়ায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শীতকালীন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবে শিশুরা নানা ধরণের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে, যেখানে ক্রেতাদের অধিকাংশই শিশু। বড়রাও এসেছেন পিঠা কিনে খেতে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর থেকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কোনাপাড়া এলাকার ইকরা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড হাই স্কুলের উদ্যোগে এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো: হুমায়ুন কবিরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

পিঠা উৎসবে নকশী পিঠা ঘর, বাসন্তী পিঠা ঘর, গ্রাম্যসাজ পিঠাঘর, বৈশাখী পিঠা ঘর, রসূই পিঠা ঘর, নবান্ন পিঠা ঘর, কলাপাতা পিঠা ঘর, ইস্টিকুটুম পিঠা ঘর, হরেক রকম পিঠাঘর, রসের হাড়ি পিঠাঘর, নেমন্তন্ন পিঠাঘর সহ ১১টি পিঠার স্টল বসে।

দুধ কুলি, ভাপা পিঠা, পাটি সাপটা, নকশী পিঠা, পুলি পিঠা, চিতই, ঝিনুক পিঠা, তেলের পিঠা, নারু পিঠা, সন্দেশ পিঠা সহ হরেক রকমের পিঠা শোভা পেয়েছে স্টকগুলোতে। দর্শনার্থীরাও এগুলা কেউ কিনে খাচ্ছে আবার কেউ কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। পিঠা উৎসবে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ প্রকারের পিঠা প্রদর্শন করা হয়। ইকরা প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের অভিবাবকরাও পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াতে পিঠা উৎসবে স্থানীয়দেরও ব্যাপক ভিড় ছিল। তারাও আনন্দ সহকারে পিঠার স্টলগুলো ঘুরে দেখেছেন, পিঠা স্বাদ নিয়েছেন। পিঠা উৎসবে আসা দর্শনার্থীরা জানান, শিমুলিয়ায় এবার দ্বিতীয় বারের মত ইকরা-প্রি ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলে পিঠা উৎসব হচ্ছে। এর আগেও গত বছর এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পিঠা উৎসব করা হয়। শীতের তীব্রতা আবার একই সাথে এরকম একটা আয়োজন সত্যিই অসাধারণ। পিঠা পুলির সাথে পরিচয়ও হওয়া যায়।

পিঠা উৎসবের আয়োজক ইকরা প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো: হুমায়ুন কবির জানান, এখন শীতকাল চলছে। শীতের ঐতিহ্য নানান ধরণের পিঠা। কালের বিবর্তনে শীতের পিঠা পুলির ঐতিহ্য বিলুপ্তির পথে। নানা ধরণের পিঠা পুলির সাথে এ প্রজন্মের শিশু-কিশোর সহ সকলের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়াই এ পিঠা উৎসবের মূল উদ্দেশ্য।

এদিকে আশুলিয়ার দূর্গাপুর এলাকাতেও একটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।