১১:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাণিজ্যযুদ্ধের ঝুঁকি এড়াতে কানাডা-মেক্সিকোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ১১:৫৪:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শুল্ক আরোপের পর পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কানাডা ও মেক্সিকোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

একদিন আগেই কানাডা থেকে আসা পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ এবং দেশটির জ্বালানি পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। একই সময়ে মেক্সিকো থেকে আসা পণ্যে ২৫ শতাংশ এবং চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

আগামী মঙ্গলবার থেকেই এই শুল্ক কার্যকর হবে।

ট্রাম্পের এমন নির্দেশের কারণে নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এর ফলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাবে এবং মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব ধরনের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে পৃথক দুটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। পাশাপাশি চীন যতক্ষণ না ‘ফেন্টানিল’ মাদকের পাচার বন্ধ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে আরেকটি নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র তিন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন পণ্যেও একই হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ওই ঘোষণার পর মেক্সিকোও জানায়- তারাও একই ধরনের পদক্ষেপ নেবে।

সব মেক্সিকান পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছেন তার জবাবে শুল্কসহ পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম।

সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর স্বার্থ সংরক্ষণে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ পদক্ষেপসহ প্লান বি বাস্তবায়নের জন্য অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রিটেইল ইন্ডাস্ট্রি লিডারস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, দেশগুলোকে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে কাজ করা উচিত।

তিনি বলেন, আমরা বুঝতে পারছি যে প্রেসিডেন্ট একটি সমঝোতার জন্য কাজ করছেন। চার দেশের নেতাদের ৪ ফেব্রুয়ারির আগেই একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে কাজ করা উচিত। কারণ ব্যাপক ভিত্তিক শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

গাজায় ইসরায়েলি হামলা, একদিনে নিহত ৮০

বাণিজ্যযুদ্ধের ঝুঁকি এড়াতে কানাডা-মেক্সিকোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প

প্রকাশের সময়ঃ ১১:৫৪:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শুল্ক আরোপের পর পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কানাডা ও মেক্সিকোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

একদিন আগেই কানাডা থেকে আসা পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ এবং দেশটির জ্বালানি পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। একই সময়ে মেক্সিকো থেকে আসা পণ্যে ২৫ শতাংশ এবং চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

আগামী মঙ্গলবার থেকেই এই শুল্ক কার্যকর হবে।

ট্রাম্পের এমন নির্দেশের কারণে নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এর ফলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাবে এবং মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব ধরনের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে পৃথক দুটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। পাশাপাশি চীন যতক্ষণ না ‘ফেন্টানিল’ মাদকের পাচার বন্ধ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে আরেকটি নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র তিন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন পণ্যেও একই হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ওই ঘোষণার পর মেক্সিকোও জানায়- তারাও একই ধরনের পদক্ষেপ নেবে।

সব মেক্সিকান পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছেন তার জবাবে শুল্কসহ পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম।

সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর স্বার্থ সংরক্ষণে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ পদক্ষেপসহ প্লান বি বাস্তবায়নের জন্য অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রিটেইল ইন্ডাস্ট্রি লিডারস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, দেশগুলোকে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে কাজ করা উচিত।

তিনি বলেন, আমরা বুঝতে পারছি যে প্রেসিডেন্ট একটি সমঝোতার জন্য কাজ করছেন। চার দেশের নেতাদের ৪ ফেব্রুয়ারির আগেই একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে কাজ করা উচিত। কারণ ব্যাপক ভিত্তিক শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি