০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যা বললেন ট্রাম্প

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময়ঃ ০৪:০৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতাসীন হওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করতে চান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন। সেদিন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হয় তার। বৈঠকের আগে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং করেছেন ট্রাম্প। সেই ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিগত বাইডেন প্রশাসন যে প্রভাব রেখেছিল এবং যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে— ট্রাম্প প্রশাসনের আমলেও তা অব্যাহত থাকবে কি না।

জবাবে ট্রাম্প বলেন, “এ ক্ষেত্রে আমাদের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না। এটা এমন একটি বিষয় যেটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন এবং সত্য বলতে, শত শত বছর ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। কিন্তু আমি এটা (এ প্রশ্নের জবাব) প্রধানমন্ত্রীর হাতে ছেড়ে দিচ্ছি।

তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে গেছেন নরেন্দ্র মোদি। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইস্যুতে কোনো কথাও বলেননি তিনি।

এর আগে সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তার ৫ দিন পর, নভেম্বরের ৬ তারিখ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভেটগ্রহণ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা সেই বার্তায় ট্রাম্প লিখেছিলেন, “আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দেশটিতে দলবদ্ধভাবে তাদের ওপর হামলা ও লুটপাট চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরিভাবে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে।”

প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পতন ঘটে তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। আওয়ামী লীগ এবং দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বাংলাদেশের সরকার পতনের ক্ষেত্রে কলকাঠি নেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।

তবে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বরাবরই দৃঢ়ভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয়

মধুপুর পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যা বললেন ট্রাম্প

প্রকাশের সময়ঃ ০৪:০৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতাসীন হওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করতে চান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন। সেদিন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হয় তার। বৈঠকের আগে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং করেছেন ট্রাম্প। সেই ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিগত বাইডেন প্রশাসন যে প্রভাব রেখেছিল এবং যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে— ট্রাম্প প্রশাসনের আমলেও তা অব্যাহত থাকবে কি না।

জবাবে ট্রাম্প বলেন, “এ ক্ষেত্রে আমাদের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না। এটা এমন একটি বিষয় যেটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন এবং সত্য বলতে, শত শত বছর ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। কিন্তু আমি এটা (এ প্রশ্নের জবাব) প্রধানমন্ত্রীর হাতে ছেড়ে দিচ্ছি।

তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে গেছেন নরেন্দ্র মোদি। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইস্যুতে কোনো কথাও বলেননি তিনি।

এর আগে সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তার ৫ দিন পর, নভেম্বরের ৬ তারিখ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভেটগ্রহণ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা সেই বার্তায় ট্রাম্প লিখেছিলেন, “আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দেশটিতে দলবদ্ধভাবে তাদের ওপর হামলা ও লুটপাট চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরিভাবে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে।”

প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পতন ঘটে তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। আওয়ামী লীগ এবং দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বাংলাদেশের সরকার পতনের ক্ষেত্রে কলকাঠি নেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।

তবে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বরাবরই দৃঢ়ভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।